জাফরান খেলে কি ত্বক ফর্সা হয় - গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে কি হয়

সিনেমা বা টেলিভিশনের পর্দায় তারকাদের দেখলে মনে হয়তো প্রশ্ন জাগে কিভাবে পাওয়া যায় এত সুন্দর দীর্ঘদিন উজ্জ্বল ত্বক। এসব কিছু আসলে জাফরানের গুণ। এজন্য আমাদের জাফরানের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা বিশেষ প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে কি হয়, সে বিষয়ে কি আমরা কেউ জানি, এই পোস্টটি পড়লে আপনি জাফরান এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

জাফরান এর উপকারিতা ও অপকারিতা

আসল বাস্তবে কি এমন তো পাওয়া সম্ভব। হ্যাঁ অবশ্যই সম্ভব। জাফরান এবং দুধ দুটি প্রাকৃতিক উপাদান যা ব্যবহার করে আপনি আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করতে পারবেন। আসুন আমরা জেনে নেই জাফরান খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়। এর থেকে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়, এটি কিভাবে খেতে হয়। এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

    জাফরান খেলে কি ত্বক ফর্সা হয় 

    জাফরানে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ ম্যাগনেসিয়াম কপার আয়রন ভিটামিন সি সহ প্রায় ১৫০ টি উপাদান যা শরীরের উপকারে অত্যন্ত কার্যকারী। জাফরান দুধের সাথে মেশানো হলে তা হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে, ত্বকের রং ফর্সা করে, ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল করে। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। জাফরানকে আপনি ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। চলুন জেনে নেই কিভাবে এটিকে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করা যায়- 

    জাফরান ও মধুঃ দুই টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে চার চিমটি জাফরান মিশন। এরপর এটি ভালোমতো পেস্ট করে নিন। এরপর এই পেস্টটি ভালো করে ত্বকে মাসাজ করুন। ভালোমতো মাসাজ করার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, এটি ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে সাহায্য করে। 

    জাফরান, দুধ ও চন্দনঃ এক কাপ ঘন দুধের মধ্যে চার চিমটি জাফরান ভিজিয়ে রাখুন, প্রায় এক ঘণ্টার মতো। এরপর দুই টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন, জাফরান মিশ্রিত দুধের সঙ্গে।সবগুলোকে ভালোমতো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ফেলুন। এবার এই পেস্ট ভালো মতো মুখে, গলায় সব জায়গাতে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হয়ে গেলে, পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি প্রতিদিন এটি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হয়ে যাবে। 

    জাফরান, দুধ ও লেবুঃ হালকা গরম দুধের সঙ্গে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিবেন। এরপর এ দুধের সঙ্গে জাফরান মিশিয়ে নিবেন। ফেস প্যাকটি গরম থাকতে থাকতে ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। এরপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধরে ফেলুন। আপনি যদি সপ্তাহে এটি তিন দিন করেন, তাহলে আপনার ত্বকের রোদে পড়া দাগ দূর হয়ে যাবে। 

    জাফরান এবং গোলাপজলঃ জাফরান ও গোলাপজনের মিশ্রণ একটি প্রাকৃতিক টোনার। টোনার ত্বকের মরা চামড়া ও অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব দূর করতে পারে। ৪ চিমটি জাফরানের সঙ্গে ৪ টেবিল চামচ গোলাপ জল এক ঘন্টার মত ভিজিয়ে রাখুন। এরপর নরম কাপড় অথবা তুলা  ডুবিয়ে চেপে চেপে ত্বক মুছে নিবেন। আপনি চাইলে এই টোনার ফ্রিজে রেখেও ব্যবহার করতে পারবেন। 

    জাফরান ও পুদিনা পাতাঃ আপনি যদি আপনার ত্বকের ব্রণ দূর করতে চান তাহলে এই ফেসপ্যাকটি অত্যন্ত কার্যকারী। প্রথমে গোলাপ জলের সঙ্গে জাফরান মিশিয়ে সেটা ভিজিয়ে রেখে দেবেন। এরপর পুদিনা পাতার পেস্ট তৈরি করে নিবেন। এরপর এগুলো সব একসঙ্গে নিয়ে ভালো করে একটি পেস্ট বানিয়ে নিবেন। এরপর এটি আপনার ত্বকের যেখানে যেখানে ব্রণ রয়েছে, সেখানে সেখানে লাগাবেন। আপনি যদি এটি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ব্রণ চিরতরে দূর হয়ে যাবে। 

    জাফরান খাওয়ার নিয়ম 

    আমাদের অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে জাফরান কিভাবে খেতে হয়। আবার অনেকে ভাবে এটা কি ভাতের মত করে খাব। কিভাবে খেলে এটির উপকার পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেই কিভাবে খেলে এটি অধিক উপকার হয়- 

    জাফরান খাওয়ার সবচেয়ে উত্তম সময় হচ্ছে রাত। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধের সাথে মিশিয়ে পান করুন। আপনাকে অবশ্যই আসল জাফরান খেতে হবে। জাফরানের মধ্যে অনেক ভেজাল পাওয়া যায় এজন্য আপনাকে দেখেশুনে জাফরান কিনতে হবে। আর ভেজালমুক্ত জাফরান খেতে হবে। এক কাপ খাঁটি গরুর দুধ, গুঁড়ো দুধ নয়। ২ চিমটি জাফরান, অল্প কিসমিস, ২ চামচ খাঁটি মধু।

    প্রথমে ভালোভাবে দুধ ফুটিয়ে নিবেন। ফুটানো দুধের সাথে জাফরান দিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট ফুটিয়ে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। এর মধ্যে কিসমিস দিবেন। এরপর ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিট ঢেকে রাখবেন।এরপর হালকা গরম দুধের সঙ্গে 2 চামচ মধু মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করবেন। অবশ্যই দুধ ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার আগেই পান করে নেবেন। 

    গর্ভবতী মায়ের জন্য জাফরানের উপকারিতা 

    জাফরানের উপকারিতা- মহিলাদের জীবনে গর্ভ অবস্থা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও সুন্দর একটা সময়। এই সময় একজন নারীর মনে আনন্দ উত্তেজনা উদ্বেগ এইসব নানা অনুভূতি মিলেমিশে থাকে। এই সময় মুড সুইমিং করা কমন একটা বিষয়। গর্ভ অবস্থায় নানা রকম হরমোনের তারতম্য, মহিলাদের শরীরে ঘটে। 

    আপনার গর্ব অবস্থায় ঔষধি প্রকৃতির কারণে জাফরান প্রয়োজনীয় এবং ব্যাপকভাবে প্রভাবিত। এ প্রাথমিক সুবিধা হল এটি পচনতন্ত্রের প্রতিরক্ষামূলক আবরণ গঠনের মাধ্যমে হজমে সহায়তা করে।আসুন জেনে নিয়ে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য জাফরানের উপকারিতা- 

    রক্তচাপ পরিচালনা করেঃ গর্ভ অবস্থায় মহিলার হার্টবিটের হার ২৫% গতিতে বাড়ে, রক্তচাপে ওঠানামা সৃষ্টি করে। জাফরানের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ক্রোসটিন,  যা আপনার রক্তচাপকে হ্রাস করতে সাহায্য করে। এই বৈশিষ্ট্যটি গর্ভ অবস্থায় হতে পারে। 

    মেজাজ ঠিক রাখেঃ গর্ব অবস্থায় মহিলাদের শরীরে বেশ কয়েকটি হরমোনাল পরিবর্তন ঘটে এবং এটি অনুভূতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। আপনি এক মুহূর্তে ঘ্যানঘ্যানে হয়ে অন্য মুহূর্তেই আবেগি বা সংবেদনশীল হয়ে যেতে পারেন। এই সময় জাফরান খাওয়া, আপনার এই সমস্যা দূর করতে পারে।জাফরান এন্টি-ডিপ্রেশন হিসেবে কাজ করে এবং আপনার মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহকে বাড়িয়ে তোলে। 

    হজমে সহায়তা করেঃ গর্ভ অবস্থায় বেশিরভাগ মহিলা পেটের ব্যথায় ভোগেন। গর্ভ অবস্থায় হজম ক্ষমতা কম হয় এবং গর্ভবতী মায়ের এই প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য কিছু উত্তেজক এজেন্টের প্রয়োজন হতে পারে। জাফরান আপনার পচনতন্ত্রের রক্ত প্রবাহকে বাড়িয়ে তুলতে পারবে, এভাবে আপনার বিপাকে বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে। এটি হজমের জন্য অধিক কার্যকারী। 

    ভালো ঘুমের জন্য সহায়তা করেঃ গর্ব অবস্থার অগ্রগতির সাথে সাথে ঘুমানো একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে, হর মনের উচ্ছ্বাসের প্রভাব গুলি মোকাবেলা করতে এবং হাড়ের প্রসারিত অস্তিত্ব হ্রাস করার জন্য সারারাত এপাশ-ওপাশ করতে থাকেন, কিন্তু ঘুম আসে না। এই সময়ে আপনি জাফরান চা বা দুধ দিয়ে খেতে পারেন। জাফরানের হালকা শালিন বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ঘুমাতে সাহায্য করে। 

    সকালের অসুস্থতাকে শান্ত করেঃ সকালে সিকনেস প্রায় আপনাকে নিষ্ঠেশ এবং অলস বোধ করায়।বেশ কিছু কাহিনী প্রমাণ করে যে, জাফরান চা প্রায় বমি বমি ভাব এবং মাথা ঘোরার সাথে লড়াইয়ে সাহায্য করে। 

    আয়রনের স্তর বৃদ্ধি করেঃ গর্ব অবস্থায় থাকাকালীন, আপনাকে লোহা সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পক্ষে প্রস্তাব দেওয়া হয়। কারণ আপনার দেহের সুস্থ থাকতে লোহার প্রয়োজন। জাফরানের আয়রনের পরিমাণ বেশি এবং এটি আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ও লাল রক্ত কণিকা গঠনে সহায়তা করে। 

    চুল পড়া কমায়ঃ গর্ভ অবস্থায় হরমোনের উঠান আমার জন্য চুল পড়া অনেক বেড়ে যায়। জাফরানের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুলি চুলকে পুষ্ট করে তোলে এবং চুলকে অনেক মজবুত করে। 

    হৃদযন্ত্র ভালো রাখেঃ গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলারাই জাঙ্ক ফুডের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়। ফলে কোলেস্টেরল বেড়ে গিয়ে হার্টের ক্ষতি হতে পারে। কোলেস্টেরল লেভেল ঠিক রাখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে, আপনি জাফরান খেতে পারেন। জাফরান হবুমা ও তার গর্ব অবস্থার শিশুর হার্ট ভালো রাখে। শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। 

    ব্যথা বেদনা দূর করেঃ গর্ভবতী মায়েদের শরীরের অনেক সময় নানা ধরনের ব্যথা বেদনা হয়। কোমরে হাঁটুতে ক্র্যাম্প লেগেই থাকে। হরমোনের তারতম্য মূলত এর কারণ। কখনো কখনো এই ব্যথা সহনশীল থাকলেও অনেক সময় তা সহ্যের বাইরে চলে যায়। গর্ব অবস্থায় এই ব্যথা বেদনা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে জাফরান। জাফরানের মধ্যে থাকা অপকারণ প্রাকৃতিক পেন কিলার হিসেবে কাজ করে। 

    এলার্জি দূর করেঃ গর্ভ অবস্থায় আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আপনি নানা সংক্রমণ এবং এলার্জির ঝুঁকিতে থাকেন। জাফরান আপনার কাশি হাঁপানি এলার্জি এবং নাক বন্ধ হওয়া দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়া জাফরান ও চন্দনের পেস্ট লাগিয়ে জ্বর কমানো যায়। 

    রূপচর্চায় জাফরানের ব্যবহার 

    জাফরানের উপকারিতা- জাফরান ত্বকের জন্য একটি বেশ উপকারী উপাদান। আপনার ত্বকের হারিয়ে যাওয়া লাবণ্য ফিরিয়ে আনতে জাফরান বেশ কার্যকারী। জাফরানের ফেসপ্যাক তৈরি করে আপনি আপনার রূপচর্চার জন্য এটি ব্যবহার করতে পারবেন। চলুন জেনে নেই কিভাবে জাফরান ব্যবহার করবেন- 

    উজ্জ্বল ত্বকের জন্যঃ এই ফেসপ্যাকটি তৈরি করতে আপনার প্রয়োজন হবে দুই থেকে তিনটে জাফরান, ২ চামচ দুধ, ২ চামচ পানি, ৪ ফোঁটা নারিকেল তেল এবং ২ চিমটি চিনি। একটি পাত্রে জাফরান নিয়ে অল্প পানি দিয়ে সেটি সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে জাফরান মিশ্রিত পানির সঙ্গে, উপরের উপকরণগুলি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ফেলুন। এরপর সেটি ভালোভাবে আপনার ত্বকে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পরে, ভালোমতো পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

    নরম ত্বকের জন্যঃ এর জন্য লাগবে আপনার ২ চামচ চন্দন গুঁড়ো, ৩ থেকে ৪ টি জাফরান, ৪ চামচ দুধ। এই উপকরণ গুলো সবগুলো একসঙ্গে নিয়ে ভালোমতো পেস্ট বানিয়ে নিবেন। এরপর পুরো মুখে, গলায়, ঘাড়ে সব জায়গায় ভালোমতো লাগিয়ে নিবেন। শুকিয়ে গেলে হালকা করে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি সপ্তাহে দুইদিন এটা ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি নিজেই আপনার পরিবর্তন বুঝতে পারবেন। 

    নিস্তেজ ত্বকের জন্যঃ এটি তৈরি করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে, এক চিমটি জাফরান এবং ছয় টেবিল চামচ দুধ। একটি পাথরের দুধ ঢেলে জাফরান কয়েক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখবেন। এরপর এটি আপনার মুখে এবং আপনি যেখানে লাগাতে চান সেখানে লাগিয়ে নিবেন। তারপর এটি শুকিয়ে গেলে, পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এটি ত্বকের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। 

    শুষ্ক ত্বকের জন্যঃ এটি তৈরি করতে আপনি শুধুমাত্র দুইটি উপাদান প্রয়োজন হবে। এটি তৈরি করতে প্রথমে আপনাকে ৩ থেকে ৪ টি জাফরান এবং ২ টেবিল চামচ মধু লাগবে। একটি পাত্রে করে এই উপাদান গুলো ভালোমতো মিশিয়ে নিবেন। তারপর সেটি আপনার ত্বকে আলতো ভাবে মাসাজ করে নিবেন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পরে, ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। 

    আসল জাফরান চেনার উপায় 

    বিভিন্ন মসলার মধ্যে জাফরান অত্যন্ত দামী একটি মসলা। গ্রিজ প্রথমে মশলার চাষ শুরু করেন।প্রাকৃতিক কারণে আমেরিকা চীন পাকিস্তান ও ভারতের কিছু জায়গা ছাড়া অন্য চাষ এখনো সম্ভব হয়নি। জাফরান চাষ করা অত্যন্ত কঠিন এবং ব্যয়বহুল।জাফরান ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে তার তুলে নিতে হয়। মসলা জাফরান তৈরি করতে এর ফুল অবশ্যই হাতে তুলতে হবে। 

    ফুলের শুধু লালবাগ খয়েরি রঙ্গের গর্ভদণ্ড দিয়ে জাফরান মসলা তৈরি হয়।  প্রায় পাঁচ লাখ ফুল থেকে জাফরান পাওয়া যায় মাত্র ৫০ গ্রাম। আসল জাফরান পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ওই পানি ধীরে ধীরে হলুদ বর্ণ হয়। পানিতে ভেজানো জাফরান কখনো গলে যায় না। 

    অনেক সময় আমাদের দেশে জাফরানের পরিবর্তে কুসুম ফুল ব্যবহার করা হয়। এটাকে জাফরান নামে বিক্রি করে ক্রেতাদের ঠোকানো হয়। এক কেজি প্রকৃত জাফরানের মূল্য তিন থেকে চার লাখ টাকা।ঢাকা মৌলভীবাজারের পাইকারি দোকানগুলোতে আপনি পেয়ে যাবেন আসল জাফরান।

    মসলা হিসেবে নকল জাফরানের রং করার ক্ষমতা বেশি হয়।  অনেক সময় অনেকেই এটা আসল জাফরান মনে করে ধোঁকা খায়। ক্রেতাকে খেয়াল খেয়াল রাখতে হবে, নকল আপনার পানিতে মিশালে সেটির সঙ্গে সঙ্গেই পানিকে লাল রং করে দেয়, এবং হাতের তালুতে ঘষলে লাল রঙের দন্ডটি গলে যেতে থাকে। অন্যদিকে  আসল জাফরান পানিকে হলুদ করতে, নকল জাফরানের তুলনায় বেশি সময় নেয়। 


    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url