আদার উপকারিতা ও অপকারিতা - আদার ক্ষতিকর দিক

আদা আমরা প্রতিদিন নানা ভাবে খেয়ে থাকি। কিন্তু আদার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কি আমরা জানি। অনেকেই প্রশ্ন করে আদার উপকারিতা ও অপকারিতা কি, আদার ক্ষতিকর দিক কি।আমরা অনেকেই আদা রস করে খাই। আর রান্নার ক্ষেত্রে তো আদা আমরা সবাই খাই। 

আদার উপকারিতা ও অপকারিতা - আদার ক্ষতিকর দিক

আজকে আমরা আদার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানব। আদার ক্ষতিকর দিক, আদার উপকারিতা ও অপকারিতা সবকিছু বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আপনি যদি সকল বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

আদা খেলে কি হয়

আদা–মধু–পানি, সুস্থ দেহ ও সতেজ মনের জন্য খুবই কার্যকর। আমাদের শরীরে প্রায় সব ধরনের রোগ নিরাময়ের জন্য আদা যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে সক্ষম। আদায় পটাশিয়াম, আয়রণ, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, বি৬, ই ও সি, অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট ও অ্যান্টি–ইনফ্লামেটরি এজেন্ট বিদ্যমান। যার কারণে সব বয়সী মানুষ আদা খেতে পারেন।

প্রতিদিন আদা খেলে কি হয় সে বিষয়ে সবার জানা অত্যন্ত জরুরি। আসুন জেনে নেই প্রতিদিন আদা খেলে কি হয়-

ক্যান্সার দূর করেঃ ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি রোগ। ধূমপান মধ্যপান এবং বিভিন্ন বদ অভ্যাস থাকার কারণে মানুষ এই মরণব্যাধি রোগে আক্রান্ত হয়। গবেষণা করে দেখা গেছে আদা এই মরণব্যাধি রোগের মূলকৌশ ধ্বংস করে দিতে পারে। আদার মধ্যে থাকা শক্তিশালী উপাদান গুলো ক্যান্সারের কোষগুলোকে ধ্বংস করে। তাই প্রতিদিন আদা খেলে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

ওজন কমাতেঃ বর্তমানে ওজন নিয়ে প্রায় সবাই চিন্তিত থাকে। একটু বসে থাকলে কিংবা বিভিন্ন কারণেই ওজন দ্রুত বেড়ে যায়। এখনকার আধুনিক যুগের ফ্যাট জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার জন্য ওজন বেড়ে যায়। যে কোন খাবার তৈরিতে আদার বাটা ব্যবহার করে খেলে ওজন দ্রুত কমে যায়। এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিত কাঁচা আদা খান তাহলে ওজন অল্প কিছুদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।

এসিডিটি দূর করেঃ এসিডিটি তে যিনি ভুগেন একমাত্র শুধু তিনি জানেন এ রোগ কতটা কষ্ট ও যন্ত্রণাদায়ক। সাধারণত পেটের এসিডিটি খাদ্যনালীতে উঠেই এই সমস্যা হয়ে থাকে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের কারণ আছে যার জন্য এসিডিটি হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা দূর করতে আপনি যদি প্রতিদিন একটু করে কাঁচা আদা চিবিয়ে খান তাহলে এই সমস্যা দূর হতে থাকবে।

এখন অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন প্রতিদিন কি পরিমান আদা খাওয়া উচিত। দৈনিক ৫ গ্রাম পর্যন্ত আদা খেলে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু তার বেশি খেলেই হতে পারে সব মারাত্মক বিপদ।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ হেলথের তথ্য অনুযায়ী, আদার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে হজমে সমস্যা ও পেটফোলা ভাব দেখা দিতে পারে অতিমাত্রায় আদা খাওয়া হলে। প্রতিটি উপাদানেরই নিজস্ব ডোজ থাকে, তেমনি আদার বেলায় ১৫ গ্রাম রস সারা দিনে খাওয়া উচিত।

আদার ক্ষতিকর দিক

পেটের গণ্ডগোল, বুকজ্বালা, বমিবমি ভাব— এ সবই হতে পারে আদার কারণে। শুধু তাই নয়, রক্তে শর্করার মাত্রা ব্যাপক ভাবে কমে যেতে পারে অতিরিক্ত আদার ফলে। কমে যেতে পারে ঘুমও। চলুন জেনে নেই আদা খেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে-

হৃদযন্ত্রের সমস্যাঃ না না খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা দিতে পারে রিজনদের গতি বেড়ে যাওয়ার মত সমস্যা। এছাড়া দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা, অনিদ্রাও হতে পারে অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে। এভাবে রক্তচাপের উঠান আমার ফলের হৃদ রোগ দেখা দিতে পারে। এজন্য হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে আদা খাওয়ার বিষয় সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

ডায়রিয়ার হওয়ার আশঙ্কাঃ খাবারের অনিয়ম করলে বাড়ে ডায়রিয়ার ঝুঁকি। এমনকি উপকারী খাবার অতিরিক্ত খেলেও এ সমস্যা হতে পারে। তাই খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অর্থাৎ অতিরিক্ত আদা খেলে তা ডায়রিয়ার সমস্যায় পরিণত হয়। এজন্য কাঁচা আদা খাওয়া বা রান্নায় আদা খাওয়ার পরিমাণ এর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়েঃ আদাতে এন্টিপ্লেটলেট পাওয়া যায়। যে কারণে অতিরিক্ত আদা খেলে তা হতে পারে রক্তক্ষরণের কারণ। প্রসূন ও লবঙ্গের সাথে আধা খেলে রক্তপাতের ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। এ ধরনের সমস্যা দূর করতে, অতিরিক্ত আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। 

ত্বকের সমস্যাঃ ত্বকে নানা রকম সমস্যা হয়। তাকে সমস্যা সৃষ্টির জন্য বাইরে ধুলাবালি কিংবা রোদ তো দায়ী থাকেই, সেই সঙ্গে দায়ী থাকে আমাদের খাদ্য অভ্যাস। অতিরিক্ত আদা খাওয়ার কারণে চোখ ও ত্বকে দেখা দিতে পারে সংক্রমণ। হতে পারে ঠোঁট ফুলে ওঠা, গলায় অস্বস্তির মতো সমস্যাও। এজন্য অতিরিক্ত আদা খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

অন্তসত্ত্বা নষ্ট করেঃ আদায় যে বিশেষ কয়েক ধরনের স্টিমুলেট আছে সেগুলো শরীর হার কিংবা পেশি মজবুত করতে সাহায্য করে।তবে কোন অন্তসত্তা নারীর জন্য এটি খুব ক্ষতিকর।বিশেষ করে প্রথম তিন মাস এবং শেষের ৩ মাস আদা এরিয়ে চলা উচিত।

আদা খেলে কি গ্যাস হয়

আপনারা অনেকে আদার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন। এখনো অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে আদা খেলে কি গ্যাস হয়। আমরা অনেকেই মনে করি আদা খেলে গ্যাস হয়, কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আপনি যদি পরিমাণ মতো, সঠিকভাবে আদা খান তাহলে এটি গ্যাস দূর করতে সহায়তা করবে।চলুন জেনে নিয়ে কিভাবে আদা খেলে তা আমাদের শরীরের জন্য উপকারে আসবে-

  • হজমের সমস্যা বা পেটে ব্যথা হলে আদা কুচি খেলে নিরাময় পাওয়া যায়। গ্যাসের ব্যথার জন্য আদা খুবই কার্যকারী। খুব তাড়াতাড়ি ভালোভাবে কাজ করে।
  • লবণ ও লেবুর রসে ডুবিয়ে রেখে আদা খেলে মুখে রুচি বাড়ে, মুখের স্বাদ ও বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি প্রতিদিন অল্প একটু আদা কুচি খান তাহলে সেটি সাইনাসের সমস্যা সমাধান করতে সহায়তা করবে।
  • আদাকে একটি অত্যন্ত উপকারী উপাদান হিসেবে দেখা হয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে। আধার মধ্যে থাকা এন্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে। আদা নিয়মিত খেলে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হয় না।
  • তেলের মধ্যে আদা ফুটিয়ে সেটা রস লাগালে যে কোন রকমের ব্যথা দূর হয়ে যায়। আদার এন্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান ব্যাথা দূর করতে সহায়তা করে।
  • এছাড়াও আপনার যদি সর্দি বা কফ বুকে জমে থাকে তাহলে আপনি নিয়মিত আদা খেতে পারেন।

আদার উপকারিতা ও অপকারিতা

আদা মূলত একটি মসলা, এটি প্রায় সকল দেশেই পাওয়া যায়। এটি প্রথমে এশিয়ায় জন্মালেও এটি পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সেই সঙ্গে অর্জন করেছে বেশ জনপ্রিয়তা। এটি বর্তমানে প্রায় আমাদের সকলের বাসায় থাকে। নানা রকমের খাবার, পানীয় ও ডেজার্ট তৈরিতে আদা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ভেষজ উপকারিতা থাকার কারণে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতেও কাজ করে।

আদার অনেক পুষ্টিগুণ বা উপকারিতা রয়েছে, যা আমরা অনেকেই জানিনা। আসুন আমরা জেনে নেই আদার কি কি উপকারিতা রয়েছে-

সর্দি কাশি দূর করতেঃ আদতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। তাই সর্দি কাশি এবং গলা ব্যথা থেকে সহজে মুক্তি পেতে সকালে আদা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতেঃ পেট খারাপ হলে ঘরোয়া উপায়ে তা দূর করার একটি ভালো মাধ্যম হলো আগা খাওয়া। পেট খারাপের বিরুদ্ধে এটি খুবই উপকারী একটি খাদ্য। এটি পেট খারাপ হওয়া রোধ করে। পাশাপাশি এর গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট পেটের পেশি শিথিল করে, ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও দূর হয়। এজন্য গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে এটি খেতে পারেন।

কোলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রণেঃ আদাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। আদা খাওয়ার ফলে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে, যার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়। এইজন্য আদার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে আদা খাওয়া শুরু করুন। 

মাসিকের ব্যথা দূর করতেঃ মেয়েদের পিরিয়ড বা মাসিকের সময় তলপেটে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হয়। এ ব্যাথা থেকে মুক্তি দিতে পারে আদা। আপনি যদি এই সময় আদা চা খান তাহলে অনেক আরাম পাবেন।এছাড়াও যেকোনো ব্যথা দূর করতে আদার রস অনেক কার্যকারী।

ডায়াবেটিস দূর করতেঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদা বেশ কার্যকারী। কারণ আদা দেহের শর্করাবাদ চিনি হ্রাস করে এবং দেহে ইনসুলিন তৈরি করতে সহায়তা করে। এজন্য ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত আদা খেতে পারেন।

বমি ভাব দূর করতেঃ অনেক সময় বমি বমি ভাব হয়। আদা এই বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে। অপারেশন বা কেয়ামতেরাপির পর অনেকেই বমির সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। এমন অবস্থায় এক টুকরো আদা সামান্য লবণ দিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

মুত্র জনিত সমস্যা দূর করতেঃ মূত্র জনিত যে কোন সমস্যা দূর করতে আদা বেশ কার্যকারী। কারণ আদতে রয়েছে ভিটামিন বি৬ যা মলমত্রজনিত সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া আমাশা নিরাময়ে আদা একটি কার্যকর ওষুধ।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেঃ আদাতে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণ। এটি ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি খেলে ক্যান্সার সৃষ্টি কারী কোষ ধ্বংস করে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও এতে রয়েছে এন্টি-ভাইরাল, এন্টি-ফাঙ্গাল গুণ। এ সকল গুন দেহকে গরম করতে সাহায্য করে। ঠান্ডার দিনে তাই বেশি শীত করলে দেহকে গরম করতে আধা খেতে পারেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি দাঁতের যত্নেও এটি বেশ উপকারী। দাঁতের ফাঁকে থাকা ধ্বংস করতে আদার রস খুবই উপকারী। এছাড়াও আদাতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা দেহের বিভিন্ন ক্ষত সারাতে বেশ দারুন কাজ করে তাই দেহের কথাও কেটে গেলে বা জখম হলে বেশি করে আদা খান।

এতক্ষণ তো জানলেন আদার উপকারিতা গুণ সম্পর্কে, কিন্তু অতিরিক্ত আদা খেলে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা। তাহলে চলুন এখন জেনে নেই আদাতে কি কি অপকারিতা রয়েছে-

  • এলার্জির সমস্যা রয়েছে যাদের তারা আদা খেলে শরীরের চুলকানি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি শরীর ও মুখ ফুলে যেতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় আদা খাওয়া উচিত নয় কারণ আদা শরীরের উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। গর্ভ অবস্থায় আদা খেলে শিশু প্রিম্যাচিউর হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তাই গর্ভবতী নারীদের আদা খাওয়া আর আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • যারা উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের জন্য ওষুধ সেবন করেন তারা আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।কারণ আদার পরিমাণ বেশি হলে সমস্যা আরো দ্বিগুণ হতে পারে।
  • পরিমাণের বেশি আদা চা খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। এমনকি অনিদ্রার সমস্যা ও দেখা দিতে পারে। তাই পরিমাণ মতো আদা চা পান করুন।
  • এছাড়াও পরিবারের বেশি আদা খেলে ডায়রিয়া, পেট ব্যথা সমস্যা ইত্যাদি হতে পারে।

সহবাসের আগে আদা খেলে কি হয়

আদাতে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে তবে সেটা যদি সহবাসের আগে খাওয়া হয় তাহলে সেটা কতটা কার্যকরী সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান বা প্রশ্ন করে থাকেন, আজকে আমরা সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানবো।

সাধারণত অনেক পুরুষের যৌন সমস্যা রয়েছে এবং সেই যৌন সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে তারা বিবাহ পূর্ববর্তী সময়ে অনেক চেষ্টা করে। কিন্তু আমার মতে বিবাহ পূর্ববর্তী সময়ে এই চেষ্টাগুলো একেবারেই বৃথা তার কারণ হলো আপনি বিবাহের পরবর্তী সময়ে মূলত জানতে পারবেন আপনার কোথায় কি সমস্যা আছে। মূলত অনেকের ধারণা রয়েছে যে সহবাসের আগে আদা খেলে পারফরম্যান্স ভালো হয়।

তবে স্বাভাবিকভাবে সহবাসের আগে আদা খেলে পারফরম্যান্স ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুব কমই আছে। আমি পরিষ্কারভাবে এটা বোঝাতে চাচ্ছি যে শুধুমাত্র আদার উপর নির্ভর করে যদি আপনি সহবাসের পারফরম্যান্স ভালো করতে চান তাহলে এটা আপনার কাছে ভুল সিদ্ধান্ত হবে।

অবশ্যই শুধুমাত্র সহবাসের আগে আদা খেলে চলবে না আপনি নিয়মিত আদা খেতে পারেন এবং সেটা একটি অভ্যাসে পরিণত করতে পারেন যেটা আপনার শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে।


সবশেষে বলা যায় যে আদায় একটি অত্যন্ত উপকারী উপাদান। তবে এটি পরিমাণের তুলনায় বেশি খাওয়া যাবে না। আপনি যদি পরিমাপ প্রতিদিন আদা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। আপনি যদি আমাদের এই পোষ্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আদার উপকারিতা এবং আদার ক্ষতিকর দিক ও আদা কিভাবে খেতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url