শীতে শিশুর ত্বকের যত্ন - শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়, শীতে শিশুর ত্বকের যত্ন, শীতে মুখের ক্রিম, শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়, শীতকাল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য এ বিষয়গুলো নিয়ে আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু। আশা করি এ বিষয়গুলো এই শীতের মৌসুমী আপনার জন্য জানা অনেক প্রয়োজন।
শীতে শিশুর ত্বকের যত্ন - শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় আমরা কে বা না চাই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতে। একজন মা হিসেবে আপনার অবশ্যই জানা প্রয়োজন শীতে শিশুর ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন। আমি আজকে এগুলো সম্পর্কে এই পোস্টে আলোচনা করব। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং আমাদের সঙ্গে থাকবেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ শীতে শিশুর ত্বকের যত্ন - শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়
শীতকাল মানেই ত্বকের একটু বেশি যত্ন নেওয়া। আরে ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য আমরা কতজনে না কত কিছু করি। কত ধরনের ক্রিম ব্যবহার করি, বিদেশি লোশন ব্যবহার করি ইত্যাদি ইত্যাদি। এর পরেও আমরা কাঙ্খিত ফল পাই না। এজন্য অনেকে হতাশায় ভুগি। আর শীতকালে ত্বক একটু রুক্ষ শুষ্ক হবে এটাই স্বাভাবিক।
শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ও ধুলাবালির প্রভাব কিছুটা হলেও ত্বকের উপর পড়বে। এই সময় ত্বকের খসখসে ভাব দূর করতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে আপনি কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন। শীতে ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে ত্বকের যত্ন নিবেন সেই সম্পর্কে আমি আজকে আপনাদেরকে জানাবো। চলুন দেরি না করে তাহলে জেনে নেই কিভাবে শীতে ত্বকের যত্ন নিবেন ঘরোয়া উপায়-
- অলিভ অয়েল ও কলাঃ কলা ত্বকের রুক্ষ ও শুষ্কভাব প্রাকৃতিকভাবে দূর করতে অনেক কার্যকরী। ১টি পাকা কলার সাথে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করে নিন । ১৫-২০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে সপ্তাহে এটি দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।
- পেঁপে ও মধুঃ ১ কাপ পাকা পেঁপের সাথে ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরী করে নিন। এবার এই মাস্কটি পুরো শরীলে লাগিয়ে কমপক্ষে ১৫ মিনিট রাখুন। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন ব্যবহার করলেই দেখবেন ত্বকের শুষ্ক ভাব অনেকটা কমে ত্বকে এক্সট্রা গ্লো দেখা দিচ্ছে ।
- শসা ও অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরা ত্বক ও চুল দুটির সুরক্ষায়ই বেশ উপকারী। ত্বকের জন্য ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল নিয়ে ১ টেবিল চামচ শশার পেস্টের সাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরী করে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এই প্যাকটি ত্বকের কালো বা রোদে পোড়াভাব দূর করতে সাহায্য করবে।
- লেবুঃ মধুর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে তা মুখে লাগিয়ে রাখুন ফেসপ্যাকের মতো। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
- নিম পাতাঃ নিমপাতা পাউডারের সঙ্গে মধু ও হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে মেখে রাখুন ১০ মিনিট। তার পরে ধুয়ে ফেলুন।
- নারকেলের তেলঃ নারকেল তেল নিয়ে নতুন করে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। শরীরের যে অংশ বেশি রুক্ষ, তার জন্য ব্যবহার করতে পারেন এই নারকেল তেল।
- দইঃ আধা কাপ দইয়ের সঙ্গে তিন চামচ মধু এবং তিন চামচ চিনির দানা মিশিয়ে নিন। হালকা করে মিশিয়ে এই পেস্ট দিয়ে ভালো করে মুখে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
- ঘিঃ এতে রয়েছে ময়েশ্চারাইজিং উপাদান। রোজ রাতে মুখে, হাতে-পায়ে মাখলে ত্বক নরম থাকবে।
- কলাঃ নারকেল তেলের সঙ্গে কলা মিশিয়ে তৈরি করুন ফেসপ্যাক। মিনিট ২০ মুখে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুবার এমন প্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
- শসাঃ যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা শসার রস ব্যবহার করতে পারেন। শশার রসে মুলতানি মাটি এবং চন্দনের গুঁড়া দিন। চামচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। পেস্টটি মুখে, হাত ও পায়ের ত্বকে লাগান। শুকিয়ে যাওয়ার ১০ মিনিট পর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের তৈলাক্ততা কেটে উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।
- জলপাইঃ জলপাই তেল অলিভ অয়েল বা জলপাই তেলে রয়েছে ভিটামিন 'এ', 'ই' এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা ত্বককে সতেজ রাখে ও ময়েশ্চারাইজ করে।
এই ফেসপ্যাক গুলো ব্যবহার করে আপনি শীতেও আপনার উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে পারবেন। কথায় আছে আগে ব্যবহার করুন তারপরে বিশ্বাস করুন, ঠিক তেমনি ভাবে এই পেস্ট গুলো ব্যবহার করলে বুঝতে পারবেন। এগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা কতটা বাড়িয়ে দেয় এবং শীতে শুষ্ক ত্বকের আদ্রতা দূর করে।
শীতে শিশুর ত্বকের যত্ন
শীতে সবারই ত্বক বিবর্ণ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে। আবহাওয়ার প্রভাবে এ সময় ত্বকের নানা সমস্যাও বাড়ে। শিশুদের ত্বক যেহেতু বিশেষভাবে সংবেদনশীল, তাই শিশুর ত্বকের সুরক্ষায় এই সময়ে একটু বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
শীতের সময় রোদে আরাম লাগে। কিন্তু বেশি সময় সূর্যরশ্মির সংস্পর্শ শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। আবার বেশি ঠান্ডাতে শিশু দ্রুত তাপমাত্রা হারায়। এমন আবহাওয়ায় শিশুকে প্রয়োজনে কয়েক আস্তরণের কাপড়চোপড় পরানো উচিত। মাথা ও কানের পাশ ঢেকে রাখার জন্য শীতটুপি ব্যবহার করা বেশ কাজে দেয়।
- ত্বকের যত্নঃ শিশুদের ত্বক বড়দের থেকে অনেক বেশি সেনসিটিভ। তাই তাদের ত্বক অনেক বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। শিশুর মুখে ও সারা শরীরে বেবি লোশন, বেবি অয়েল, গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করুন।
- ঠান্ডা বাতাস ও ধুলাবালি থেকে বেঁচে থাকাঃ শীতের সময় শিশুদেরকে ধুলাবালি এবং ঠান্ডা বাতাস থেকে যত সম্ভব তত দূরে রাখতে হবে, কেননা এই সময়ে শিশু না একটু রোগাক্রান্ত বেশি হয়। এজন্য এ বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে।
- উষ্ণ পোশাক পরিধানঃ শিশুদের অবশ্যই সুতি কাপড়ের গরম জামা পরিয়ে রাখা উচিত। তবে সরাসরি উলের পোশাক পরানো ঠিক নয়। এতে উলের ক্ষুদ্র লোমে শিশুদের অ্যালার্জি হতে পারে। সুতি কাপড় পরিয়ে তার ওপর উলের পোশাক পরানো উচিত এবং পোশাকটি যেন নরম কাপড়ের হয়। কারণ খসখসে বা শক্ত কাপড়ে শিশুদের নরম ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- গরম পানি ব্যবহার করবেনঃ শীতের এই সময়ে শিশুদের হালকা কুসুম গরম পানি পান করানো ও ব্যবহার করানো উচিত। গোসলের হালকা গরম পানির সঙ্গে নিমপাতা মিশিয়ে গোসল করানো যায়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দাঁত ব্রাশ করা, হাত-মুখ ধোয়া, খাওয়াসহ নানা কাজে শিশুরা হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করলে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকবে। শীতেও শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে।
- খাবারদাবারঃ শীতের সময় অবশ্যই শিশুদের খাবারের ক্ষেত্রে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ এই সময় এদের খাবার প্রবণতা কমে যায়, ফলে তাদের শরীর খারাপ হয়ে যায়। এজন্য তাদের ঘনঘন পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। তাদের ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধির জন্য ডিমের কুসুম, সবজির সুপ, ফলের রস বেশি বেশি খাওয়াতে হবে।
- ময়শ্চারাইজঃ শীতে আপনার বাচ্চার ত্বকের যত্নে সব থেকে যেটি বেশি জরুরী সেটা হল ময়েশ্চারাইজার। শিশুকে গোসল করানোর পর কোমল কোন টাওয়েল দিয়ে শরীর মুছিয়ে তারপর মশ্চারাইজার লাগান। তবে এটি লাগানোর আগে নিশ্চিত হোন সেটি যাতে সুগন্ধি, অ্যালকোহল ও অন্যান্য কেমিক্যাল বিহীন হয়।
- পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহারঃ আপনার ছোট্ট সোনামণির ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন। গোসলের পর সামান্য পরিমাণ পেট্রোলিয়াম জেলি হাতে নিয়ে হালকা করে শিশুর ত্বকে লাগিয়ে দিবেন।
- অ্যালোভেরার জেল ব্যবহারঃ শিশুর ত্বক শীতে সুরক্ষা দিতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা কাণ্ড ভেঙ্গে সেখান থেকে জেল নিয়ে ত্বকের শুষ্ক জায়গায় লাগিয়ে দেখুন ত্বক নরম ও কোমল থাকবে।
শীতে মুখের ক্রিম
ঠাণ্ডা বাড়লে শরীরেও সেই প্রভাব পড়ে। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে জল পড়া, শ্বাস নিতে সমস্যা, হাঁচি-কাশি এসব লেগেই থাকে। এছাড়াও ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, ত্বক প্রাণহীন হয়ে যাওয়া, হাজার তেল লাগালেও সাদা চামড়া ওঠা এসব একমাত্র শীতকালেই হয়ে থাকে। শীতে তাই বেশি করে ক্রিম, লোশন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
আর ধুলো, বালি, ময়লা এসব দিনের পর দিন যদি মুখে জমতে থাকে তাহলে ত্বক আরও বেশি প্রাণহীন হয়ে যায়। শীত আসলেই বাজারে যেন ক্রিমের ছড়াছড়ি। সেই সঙ্গে বিজ্ঞাপনের দৌড় তো আছেই। সকলেই বলতে চান যে তাঁদের ক্রিমই সেরা।
আপনি যদি ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন না করে বাজার থেকে ক্রিম ব্যবহার করতে চান তাহলে আমি আপনাদেরকে কিছু বিশ্বস্ত ক্রিমের নাম বলে দিতে পারি, আপনি চাইলে সেগুলো ইউজ করতে পারেন। আপনি চাইলে কিছু বিশ্বস্ত ক্রিম ইউজ করতে পারেন, তাহলে চলুন জেনে সেই ক্রিম গুলোর নাম-
- কিউট ক্রিম
- নেভিয়া ক্রিম
- গোল্ড ক্রিম
- নাইট ক্রিম
- সানস্ক্রিন ক্রিম
- পন্স ক্রিম
- আয়ুষ ক্রীম
- হিমালয়া ক্রিম
- লিমইয়াকা ক্রিম
আপনি চাইলে শীতের মধ্যে আপনার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে আমাদের দেওয়া ঘরোয়া টিপস ফলো করে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে, আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারেন।
শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
শীত আসলেই আমাদের ত্বকের একদম বারোটা বেজে যায়, মানে আমি বোঝাতে চাচ্ছি যে আমাদের ত্বক একদম না যেহাল অবস্থা হয়ে যায়। তাই শীতে আমরা তোকে কত রকমের ক্রিম ইউজ করি।একগাদা লোশন, বিদেশী ক্রিম কোন কিছুই আমরা বাদ রাখি না আমাদের ত্বকে ব্যবহার করার জন্য।
তবু কেন জানি আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় না, বরং শীতে ত্বক আরো রুক্ষ, সূক্ষ্ম হয়ে যায়।আমরা অনেকেই হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকি যে কোন প্রোডাক্টটি ইউজ করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা যায়। কিন্তু আপনি যদি বিদেশী ক্রিম ব্যবহার না করে শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারেন তাহলে কেমন হয়।
চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিই, শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়-
- গ্লিসারিনঃ শীতকালে ত্বকের জন্য গ্লিসারিন বেশ উপকারী। কিন্তু আমরা অনেকেই এটা চিটচিটে হওয়ার কারণে এটাকে ব্যবহার করি না। কিন্তু এই গ্লিসারিন ত্বকের কালো দাগ দূর করে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে বেশ সহায়তা করে। এজন্য আপনারা অবশ্যই শীতকালে গ্লিসারিন ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
- গাজরঃ গাজর আমরা অনেকেই খাই, আবার অনেকে খেতে পছন্দ করি না। আপনি হয়তো জানলে অবাক হবেন গাজর ত্বকের উজ্জ্বলতা দ্বিগুণভাবে বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে। গাজরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ রয়েছে। যা ত্বকের কালো ভাব দূর করতে সহায়তা করে। আর সেই সাথে রোদে পড়া ত্বককে উজ্জ্বল করে।
- কমলা লেবুঃ কমলায় থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের কালো দাগ কমানোর পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে বেশ সহায়তা করে। কমলার খোসার ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করলে আপনি বেশ উপকৃত হবেন। ফেসপ্যাকটি আপনি যেভাবে তৈরি করবেন- কমলার খোসা পরিমাপ মতো, ১ চামচ মধু ও ২ চামচ দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নেবেন।
- পর্যাপ্ত পানি পানঃ শীতকালে পানি পান করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। শীতকালে আমরা অনেকেই বেশি ঠান্ডা লাগার ভয়ে পানি পান করি না। যার ফলে আমাদের ত্বক আরো রুক্ষ এবং সূক্ষ্ম হয়ে যায়। সেজন্য আমাদেরকে শীতকালে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এতে করে আমাদের ত্বক টানটান থাকবে।
শীতকাল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
পৃথিবী যখন তার নিজ কক্ষপথের সমতলে ২৩.৪৪° কোণে হেলে পড়ে , যার ফলে পৃথিবী তার কক্ষপথের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন অক্ষাংশ সরাসরি সূর্যের মুখোমুখি হয়। যার ফলে এই শীতকাল ঋতু আসে। আবার যখন উত্তর গোলার্ধে শীতকাল থাকে, তখন দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের মুখোমুখি হয় এবং এইভাবে উত্তর গোলার্ধের তুলনায় উষ্ণ তাপমাত্রা অনুভূত হয়।
শীত মানে কারো কাছে আনন্দ আবার কারো কাছে কষ্টদায়ক। যেমন বৃদ্ধ মা-বাবা, দাদা-দাদী দের জন্য শীত একটু কষ্টদায়ক। তবে যাই বলি না কেন আমার কিন্তু গরমের তুলনায় শীতকে অনেক বেশি ভালো লাগে। তো চলুন শীতকাল সম্পর্কে ১০ বাক্য জেনে নেই-
- শীতকাল গ্রামের ভিন্ন এক রুপ নিয়ে, শীতের সকাল উপস্থিত হয়।
- শীতের সকালে গ্রাম-বাংলার ঘরে ঘরে নানা ধরনের পিঠা-পুলি তৈরি করা হয়।
- শীতের সকালে খেজুর গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করে, সেগুলো খেতে অনেক মজা।
- শীতের সকালে গ্রামের মানুষেরা শীত দূর করার জন্য আগুনের কুণ্ড জ্বালিয়ে তার চারপাশে বসে গা গরম করে।
- শীতকালীন সকাল কুয়াশা আচ্ছন্ন থাকে, এরপর সূর্যের কিরণ চারিদিকে পৌঁছাতেই সকল কুয়াশা কেটে যায়।
- শীতকালে মানুষ উষ্ণ পোশাক পরিধান করে থাকে, আর মানুষ বেশিরভাগ সময় ঘরের ভিতরে কাটায়।
- শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ঋতু, এই সময় আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং আমরা বেশি কাজ করতে সক্ষম হই।
- শীতকালীন এর সময়ে শীতকাল উপভোগ করার জন্য, উষ্ণ পোশাক পরা প্রয়োজন, সেই সাথে গরম খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
- শীতকালে বাতাস সাধারণত ঠান্ডা এবং শুষ্ক থাকে, ফলে গাছপালার পাতা ঝরে যায়।
- শীতকালে কমলা, আঙুর, আপেল, পেঁপে, পেয়ারার মতো সুস্বাদু ফল পাওয়া যায়, তরতাজা সবজি মুলা, বেগুন, ফুলকপি, সরিষা ইত্যাদি বিভিন্ন সবজি পাওয়া যায়।
সর্বশেষে বলা যায় শীতে একটু ত্বকের যত্ন বেশি প্রয়োজন পড়ে। আর ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন এবং কিভাবে আপনার উজ্জ্বলতা ধরে রাখবেন আশা করি আপনি ইতিমধ্যে এ বিষয়গুলি সম্পর্কে জেনে গেছেন। এছাড়াও আপনি আর কোন বিষয়ে জানতে চান অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। যাই হোক শীত যেহেতু চলে এসেছে আপনারা অবশ্যই সর্বদা নিজেদের খেয়াল রাখবেন।
SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url