রমজান মাসের ফজিলত ও আমল - ২০২৪ সালে রমজান কোন মাসে
রমজান একটি বরকতময় মর্যাদা সম্পন্ন মাস। এটি একটি রহমতের মাস, প্রত্যেক মুসলিমের জন্য রমজান মাস একটি অফারের মাস। রমজান মাসের ফজিলত ও আমল নিয়েই আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। একজন মুসলিম হিসেবে আপনার অবশ্যই রমজান মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জানার প্রয়োজন।
এছাড়া আজকে আরো আলোচনা করব রমজান মাসে কি কি করা উচিত, ২০২৪ সালে রমজান কোন মাসে, রমজান মাসে কি কি দোয়া পড়তে হয়, রমজান মাসের ফজিলত ও আমল এই সকল বিষয়ে আজকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন।
পোস্ট সূচিপত্র
রমজান মাসের ফজিলত ও আমল
রমজান মাস মানে ইবাদতের মাস। এই মাসে ভালো কাজের নেকি ৭০ গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। আপনি যদি কোন ভালো কাজ করে থাকেন তাহলে সেই ভালো কাজের নেকিকে ৭০ গুণ বৃদ্ধি করে দিবেন আল্লাহ। রমজান মাসের ফজিলত অনেক এই জন্য রমজান মাসে বেশি বেশি আমল করবেন।
রমজান মাস আরবি মাসসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বরকতময় ও মর্যাদাপূর্ণ মাস। এই মাসে কুরআন নাযিল হয়। আর রমজান মাস আগমন হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক খুশি হতেন। রমজান মাসে অনেক আমল রয়েছে যে আমলগুলো করলে আপনার নেকির পাল্লা দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
রমজান মাস একটি বরকতময় এবং মর্যাদাপূর্ণ মাস এবং এই মাসে একটি এমন বিশেষ রাত রয়েছে যে রাত হাজার রাতের চেয়েও উত্তম। যে রাত আমাদের সকলের কাছে লাইলাতুল কদর নামে পরিচিত।কোন বান্দা যদি আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য রমজানের শেষ দশকের বিজয় পাঁচ দিন শবে কদরের রাত তালাশ করে এবং সে যদি সে রাত পেয়ে যায় এবং আল্লাহ তাকে যদি কবুল করেন, তাহলে তার মতো ভাগ্যবান ব্যক্তি আর দ্বিতীয় কেউ নেই।
রমজান মাস আসলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম সাহাবীদের মাঝে ঘোষণা দিতেন, তোমাদের দরজায় বরকতময় মাস রমজান এসেছে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন-
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোজা রাখা ফরজ করা হয়েছে। যেভাবে তোমাদের আগের লোকদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পারো। (সূরা বাকারাঃ আয়াত ১৮৩)
আবু হুরায়রা (রা) বলেন, যখন রমজান মাসের আগমন ঘটল, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, ‘তোমাদের কাছে বরকতময় মাস রমজান এসেছে। আল্লাহ তাআলা তোমাদের ওপর এ মাসের রোজা ফরজ করেছেন।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৭১৪৮)
রমজানের রোজা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আবার রোজার বিনিময়ে অনেক বড় পুরস্কারেরও ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহ্ তাআলা বলেন- ‘রোজা আমারই জন্য। আমি নিজে এর প্রতিদান দেব। আমার বান্দা আমার জন্য পানাহার ছেড়ে দেয়, কামনা-বাসনা ছেড়ে দেয়। রোজাদারের জন্য দু’টি খুশি।
আল্লাহ তাআ'লা এর দিনের বেলায় রোযা ফরজ করেছেন আর রাতে কিয়ামকে করেছেন নফল। সুতরাং, এ মাসে যে ব্যক্তি কোন নফল আদায় করবে সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরজ আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে ৭০ টি ফরজ আদায় করল। এ মাস হল ছবরের মাস। আর ছবরের পুুরস্কার হল জান্নাত।' -মুসনাদুল হারেস, হাদীস নং-৩২১
এ মাসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে, যেগুলো পালন করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার নৈকট্য অর্জনের করতে পারি, জান্নাতপ্রাপ্তির আশা আর জাহান্নাম থেকে মুক্তির প্রত্যাশা পোষন করতে পারি। চলুন তাহলে জেনে নেই রমজান মাসের বিশেষ বিশেষ আমল-
- সিয়াম পালন করাঃ ইসলামের পাঁচটি আরকান বা রোকনের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে সিয়াম পালন করা। আর রমজানের সিয়াম পালন করা ফরজ। সেজন্য রমজান মাসের প্রধান আমল হলো সুন্নাহ মোতাবেক সিয়াম পালন করা। আর সিয়াম পালনের ফজিলত আল্লাহ নিজের হাতে বান্দাকে দিবেন।
- নামাজ আদায় করাঃ এ মাসে সিয়াম পালনের সাথে সাথে সময়মত পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করার প্রতি মনযোগী হতে হবে। এমনটা যেন না হয় যে, আমার কাজ শেষ করে তবেই আমি নামাজ আদায় করে নেব। বরং সময়মত নামাজ আদায় করে আমি আমার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করবো। হাদিসে নামাজকে জান্নাতের চাবি বলা হয়েছে। আর নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়ার মাধ্যমে জান্নাতে যাওয়ার পথ সুগম হয়।
- শুদ্ধভাবে কোরআন শিক্ষাঃ মহা গ্রন্থ আল কুরআন নাযিল হয়েছে পবিত্র রমজান মাসে। তাই এই মাসের বিশেষ আরেকটি আমল হচ্ছে শুদ্ধভাবে বেশি বেশি করে কোরআন তেলাওয়াত করা। শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করার আগে, আপনাকে শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করা শিখতে হবে। তাই আর দেরি না করে এখনই শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করা শিখে নিয়ে রমজান মাসে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করবেন।
- সেহরি খাওয়াঃ সেহরি খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে এবং সিয়াম পালনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘সেহরি হল বরকতময় খাবার। তাই কখনো সেহরি খাওয়া বাদ দিয়ো না। এক ঢোক পানি পান করে হলেও সেহরি খেয়ে নাও। কেননা সাহরীর খাবার গ্রহণকারীকে আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর ফেরেশতারা স্মরণ করে থাকেন।’ -মুসনাদ আহমাদ : ১১১০১, সহীহ
- তারাবীহ সালাত আদায় করাঃ রমজানের প্রতি রাতে সালাতুত তারাবীহ পড়া এ মাসের অন্যতম আমল। তারাবীহ পড়ার সময় তার হক আদায় করতে হবে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াব হাসিলের আশায় রমজানে কিয়ামু রমাদান (সালাতুত তারাবীহ) আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।’ -সহীহ আল-বুখারী : ২০০৯
- আল্লাহর কাছে বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করাঃ রমজান মাসে কি বরকতম এবং মর্যাদা পূর্ণ মাস। এ মাস আপনি আপনার জীবনে পেয়েছেন মানে আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া। এজন্য আপনি যদি রমজান মাস পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি আল্লাহর কাছে বেশি বেশি শুকরিয়া করবেন। আর আপনি দোয়া করবেন, আপনি যেন আবার আগামী রমজান মাস পান।
- অধিক পরিমাণ দান সদকা করবেনঃ পবিত্র এ রমজান মাসে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দান সদকার পরিমাণ অন্যান্য মাসের তুলনায় অনেক অংশে বেড়ে যেত। তিনি নিজেই যখন এই মাসে বিশেষ সওয়াব অর্জনের জন্য বেশি বেশি করে দান করতেন সে জায়গায় আমরা কেন করব না। রমজান মাসে অবশ্যই আপনি আপনার দানের হাতকে প্রসারিত করবেন এবং গরিব মিসকীনদের কে বেশি বেশি দান করবেন।
- ইতেকাফ করাঃ রমজান মাসের অন্যতম আরেকটি আমল হচ্ছে ইতেকাফ করা। এজন্য যদি সম্ভব হয় তাহলে অবশ্যই রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করবেন। শুধু আপনি একাই করবেন এমনটি নয় আপনার আশেপাশে যারা রয়েছে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে ইতেকাফ করবেন। যেমনটা এখন আমাদের পাড়ার মসজিদে হয়ে থাকে।
- ওমরাহ করাঃ যদি সম্ভব হয় তাহলে অবশ্যই রমজান মাসে ওমরাহ করবেন। ওমরাহ করার অনেক ফজিলত রয়েছে। ওমরাহ করার ফজিলত সম্পর্কে আরেকটি পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি আপনি চাইলে সেই পোস্টটি পড়ে আসতে পারেন। (ওমরা করার ফজিলত)
রমজান মাসে কি কি করা উচিত
রমজান মাস মানে বরকতময় মর্যাদা সম্পন্ন দোয়া কবুলের মাস। এ মাসে প্রত্যেক বালেগ ও সক্ষম মুসলিম নারী পুরুষের উপর রোজা রাখা ফরজ হয়ে গেছে। এই মাসে আমরা পাপ কাজ থেকে দূরে থাকবো এবং বেশি বেশি ভালো কাজ করব। কেননা এই মাসে একটি নেকিকে ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ মাসে আল্লাহর দরবারে মাগফেরাত কামনা করলে, গরিব-দুঃখীদের প্রতি দান-সদকার পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে, নিজে সব ধরনের খারাপ কাজ পরিহার করলে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইবাদত-বন্দেগি, তাসবিহ-তাহলিল, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আসকার ও দোয়া-ইস্তেগফার করলে মহান আল্লাহ তা অবশ্যই কবুল করেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘এ মাসে চারটি কাজ অবশ্যই করণীয়। দুটি কাজ এমন যে, তার দ্বারা তোমাদের প্রতিপালক সন্তুষ্ট হন। অবশিষ্ট দুটি এমন, যা ছাড়া তোমাদের কোনো উপায় নেই।
এই চারটির মধ্যে একটি হলো কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করা, দ্বিতীয়টি হলো অধিক পরিমাণে ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা। এ দুটি কাজ আল্লাহর দরবারে অতি পছন্দনীয়। তৃতীয় ও চতুর্থ হলো জান্নাত লাভের আশা করা ও জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের প্রার্থনা করা। এ দুটি এমন বিষয়, যা তোমাদের জন্য একান্ত প্রয়োজন।’ (ইবনে খুজাইমা) [সময়]
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়ে নিষ্পাপ হতে পারল না, তার মতো হতভাগ্য এই জগতে আর কেউ নেই।’ মাতৃগর্ভ থেকে মানুষ যেভাবে নিষ্পাপ অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়, মাহে রমজানের ৩০ দিন যথাযথভাবে রোজা পালন করলে তেমন নিষ্কলুষ হয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই এ মাসে বেশি বেশি আমল ও দোয়া করা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিত।
এছাড়াও রমজান মাসে আপনি যে আরো যে বিষয়ে ইবাদত গুলি আপনি করবেন সেগুলো হল-
- সাওম পালন করবেন
- তারাবির নামাজ আদায়
- সেহরি খাবেন
- ইফতার করবেন
- কোরআন তেলাওয়াত করবেন
- তওবা ইস্তেগফার করবেন
- এতেকাফ করবেন
- নফল ইবাদত করবেন
২০২৪ সালে রমজান কোন মাসে
অনেক মোমিন মুসলমান হয়েছেন যারা পবিত্র মাহে রমজান মাসের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন।রমজান মাসের অপেক্ষায় থাকেন এরকম অনেক মুমিন মুত্তাকী ব্যক্তি এখনো আমাদের মাঝে বিরাজমান রয়েছে। যেহেতু আমরা মুসলমান জাতি যেহেতু আমাদের আগে থেকেই জানা উচিত যে ২৪ সালের রমজান মাস কবে হবে।
গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছিল ২৩ মার্চ। আর ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছিল ২১ এপ্রিল। বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোত ২৪ মার্চ রোজা এবং ২২ এপ্রিল ঈদ উদযাপন করা হয়।
আমিরাতস এস্ট্রোনোমি সোসাইটির বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গণনা অনুযায়ী, ২০২৪ সালে রমজান মাস শুরু হবে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে এবং মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে ১০ এপ্রিল। মহাকাশীয় গবেষণা অনুযায়ী রমজান মাস শুরু হবে ২০২৪ সালের মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে।
যদিও বা গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে যে ২০২৪ সালের মার্চ মাসের রমজান শুরু হবে। তারপরেও রমজান মাস কবে শুরু হবে এবং ঈদ কবে উদযাপিত হবে সেটি সম্পূর্ণ চাঁদ দেখে নির্ধারিত করা হবে।
রমজান মাসে কি কি দোয়া পড়তে হয়
রমজান এটি মর্যাদা সম্পন্ন বরকতময় মাস সেই সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যে বিস্তারিতভাবে জেনেই গেছেন। রমজান মাসে একজন মুসলিমের জন্য অফারের মাস বললেই চলে। এ মাসে আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে শুধু দিতে। থাকেন আর রমজানের সিয়াম পালন করলে সিয়ামের ফজিলত তো আল্লাহ স্বয়ং নিজের হাতে দিবেন।
রমজান মাসের আমল সম্পর্কে তো আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন। তাহলে এবার জানা দরকার রমজান মাসে কি কি দোয়া পড়তে হয়। আমরা তো জানি যে রমজান মাসে দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এজন্য আমরা রমজান মাসে বেশি বেশি দোয়া করব।
প্রিয় নবী (সা.) রমজান মাস জুড়ে তাসবিহ, ইসতেগফার ও দোয়ার মাধ্যমে অতিবাহিত করা ছিল উম্মতের জন্য বিশেষ নসিহত। যাতে মানুষ এ বিশেষ তাসবিহ, ইসতেগফার ও দোয়ার মাধ্যমে নিজেকে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে পরিপূর্ণভাবে তৈরি করতে পারেন। এইজন্য আমাদেরও ভাগ্য বদনের জন্য বেশি বেশি দোয়া করতে হবে।
ইসতেগফার করা অর্থাৎ ক্ষমা চাওয়া। হাদিসে অনেক ইসতেগফার এসেছে। আপনি যেকোনটি পড়তে পারবেন।
বাংলা উচ্চারণঃ আসতাগফিরুল্লাহাল আজিম ইন্নাল্লাহা গাফুরুর রাহিম। অর্থঃ মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।
বাংলা উচ্চারণঃ রাব্বিগফিরলী ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা আনতাত তাওয়াবুর রাহিম। অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা করে দিন, আমার তাওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি অতিশয় তাওবা কবুলকারী, দয়াবান।'
বাংলা উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লাহাল আজিম আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি। অর্থঃ মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি এক ব্যতিত কোনো ইলাহ নেই। তিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী এবং তার দিকেই আমরা ফিরে যাব।
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্বতানি; ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা আ’হদিকা ওয়া’দিকা মাসতাত্বা’তু, আউজুবিকা মিন শাররি মা সানা’তু আবুউলাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়া; ওয়া আবুউ বিজামবি ফাগফিরলি ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোনো উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার বান্দা। আমি আমার সাধ্যমত তোমার প্রতিশ্রুতিতে অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্টতা থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। আমার ওপর তোমার অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমার পাপও স্বীকার করছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। নিশ্চয়ই তুমি ব্যতিত কোনো ক্ষমাকারী নেই।
জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবং জান্নাত লাভের জন্য যে দোয়াগুলো রয়েছে তা হলো-
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান নার। অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আশ্রয় চাই।
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আদখিলনাল জান্নাতা ওয়া আঝিরনা মিনান নার। অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দাও।
আল্লাহ তাআলা রমজানজুড়ে হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী উল্লেখিত তাসবিহ, ইসতেগফার ও দোয়াগুলো বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করে রমজানের রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত লাভের তাওফিক দান করুন, আমিন।
SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url