অধ্যবসায় রচনা - অধ্যবসায় রচনা class 6 - 10 সহজ

ছাত্র জীবনে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব অত্যাধিক। নিচে অধ্যবসায়ের দুই রচনা বর্ণনা করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে ছোট রচনা আরেকটি হচ্ছে বড় রচনা। আপনি যে কোন শ্রেণীর হন না কেন এই দুটো রচনা আপনি পড়লে, আপনার আর আলাদা করে অন্য কোথাও পড়তে হবে না। সম্পূর্ণ রচনাটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন, আশা করি আপনি উপকৃত হবেন। 

অধ্যবসায় রচনা - অধ্যবসায় রচনা class 6 - 10 সহজ


অধ্যবসায় রচনা - অধ্যবসায় রচনা class 6 - 10 সহজ

জীবনে সাফল্যের স্বর্ণশিখরে আরোহণের সোপান হলো অধ্যবসায়। 'অধ্যবসায়' শব্দের আভিধানিক অর্থ বারবার চেষ্টা বা অবিরাম সাধনা। কোনো কাজের সফলতার জন্য মানুষ বারবার যে চেষ্টা করে, তাকে বলে অধ্যবসায়। কোনো কাজ প্রথমবারের চেষ্টায় সফল হবে, এ কথা নিশ্চিত করে বলা যায় না।

একবারের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সে কাজ থেকে বিরত থাকলে জীবনে সফলতা আসে না। কবি কালীপ্রসন্ন ঘোষের ভাষায়: 'পারিব না এ কথাটি বলিও না আর/ একবারে না পারিলে দেখ শতবার'- এই হচ্ছে অধ্যবসায়ের মূলকথা। অধ্যবসায়ের প্রয়োজন মানবজীবনে অনেক বেশি। ছাত্রজীবনে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব অত্যধিক। জাতীয় জীবনেও অধ্যবসায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। 

কোনো জাতি যদি অধ্যবসায়ী হয়, তবে সে জাতি অবশ্যই মর্যাদার শীর্ষে অবস্থান করবে। বাঙালি জাতির অধ্যবসায়ের ফসল হচ্ছে পৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা। অনেকের ধারণা, প্রতিভার জোরেই শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করে। কথাটা আংশিক সত্য হতে পারে, কিন্তু সর্বাংশে সত্য নয়। প্রতিভার সঙ্গে অধ্যবসায় না থাকলে কোনো মতেই ভালো ফল করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া অনেক সময় দেখা গেছে, অধ্যবসায়ের গুণে অল্প মেধাবী শিক্ষার্থীরাও উত্তম ফল লাভে সমর্থ হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে কর্মজীবনেও। 

অধ্যবসায়ী ব্যক্তি জাতির সম্পদ। অধ্যবসায়ী ব্যক্তিকে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখে যুগের পর যুগ। যেমন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সমগ্র জাতির কাছে স্মরণীয়। অধ্যবসায়হীন জীবনে নেমে আসে ব্যর্থতার গ্লানি। তাই জীবনে সফল ও সার্থক করে তুলতে অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই। অধ্যবসায়ের কারণে যুগে যুগে অনেক ব্যক্তি সাফল্য লাভ করে সুপরিচিত হয়ে আছেন আমাদের মাঝে।

অধ্যবসায় রচনা

ভূমিকা: জীবনের প্রতি অধ্যায়/ চাই দৃঢ় প্রত্যয়, চাই ঘাত-প্রতিঘাত/লৌহকঠিন সত্য হৃদয়।'

কবিতার এ ছত্রেই লুকিয়ে আছে অধ্যবসায়ের সারাংশ। বিখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিস বলেছেন, 'Our life is full of struggle. জীবনে সাফল্য লাভের একমাত্র হাতিয়ার হলো অধ্যবসায়। এটি মানুষের একটি মহৎ গুণ। তাই জগতে যে অধ্যবসায়ীর ক জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে পারে। কোনো কাজে সাফল্য লাভের জন্য বারবার চেষ্টা করার নাম অধ্যবসায়। তাইতো কবির উচ্চারই। 'পারিব না এ কথাটি বলিও না আর/ একবার না পারিলে দেখ শতবার।' কবির এ উদ্দীপনামূলক বাণীই সাহস জোগায় তাকে। সত্যিকার অর্থে কাজে বিফলতা সত্ত্বেও অসাধ্য কাজটি সুসম্পন্ন করার জন্য। অবিচল উৎসাহ, দৃঢ়সংকল্প, অসীম ধৈর্য- সবই অধ্যবসায়। অধ্যবসায় ছাড়া পৃথিবীতে কোনো মহৎ কাজ সাধিত হয় না। জনা লুৎফর রহমানের উক্তি এ প্রসঙ্গে স্মরণীয়। তিনি বলেন, 'সাধনার কোনো কোনো ব্যাপারে যদি প্রথমবারে ব্যর্থ মনোরথ ২৫. তবে তড়িৎ যেও না-বারেবারে আঘাত কর, দুয়ার ভেঙে যাবে।' আবার Try again and again. একেই বলে অধ্যবসায়।

অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা: উদ্যম ব্যতিরেকে জগতে কোনো কাজই সম্পন্ন হয় না। কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার বলেছেন, 'কেন পান্থ ক্ষান্ত হও, হেরি দীর্ঘ পথ / উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ?'

মানবজীবনে চলার পথে বাধাবিপত্তি আসবেই। এ বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে হবে। রাতের ঘন অন্ধকার কাটার পরে সোনালি প্রভাত দেখা দেওয়া এক বাস্তবতা। পুনঃপুন চেষ্টা করার ফলে মানুষের ভাগ্যাকাশে তেমনি উদিত হয় সাফল্যের শুকতারা। জীবনের প্রথম ব্যর্থতাকে মনে করতে হবে সাফল্যের সোপান। Failure is the pillar of success, জগতের কোনো কিছু অর্জন সাধনা ব্যতিরেকে সম্ভব নয়। চলার পথে যে জিনিস যত মূল্যবান, যত দুষ্প্রাপ্য, যত রহস্যময়, যত আকাঙ্ক্ষিত, তাকে লাভ করার জন্য চাই তত বেশি পরিশ্রম, ধৈর্য ও সাধনা। এসবই হচ্ছে অধ্যবসায় নামক চরিত্রশক্তির একটি বিন্দু। এর সাথে যখনই মানুষের অপরিসীম মনোবল বা ইচ্ছাশক্তি মিশ্রিত হয়, তখনই সে হতে পারে অধ্যবসায়ী। জগতে যেসব ব্যক্তি উন্নতি করে সুনাম অর্জন করেছেন, তারা সবাই অধ্যবসায়ী ছিলেন। বড় বড় শিল্পী, সাহিত্যিক, বৈজ্ঞানিক, সেনানায়ক, ধর্ম প্রবর্তক সবাই অধ্যবসায়ী ছিলেন। তারা বারবার ব্যর্থ হয়েও নিরলস পরিশ্রম করে অসীম ধৈর্য সহকারে নিজ নিজ আদর্শের পথে অগ্রসর হয়েছেন।

মানবসভ্যতায় অধ্যবসায়: আজকের সভ্য জগৎ আমাদের পূর্বপুরুষদের অধ্যবসায়েরই ফল। এ পৃথিবী একদিন ছিল মানুষের বাসের অনুপযোগী। মানুষ ছিল বনচর জন্তুর মতো। তখন তাদের ভাষা, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, নির্মাণকৌশল ইত্যাদি কোনো কিছুই ছিল না। গুহাবাসী মানব অনন্ত সাধনা ও অধ্যবসায়ের গুণে আজ সভ্যতার চরম শিখরে আরোহণ করেছে। যুগ যুগ ধরে মনীষীদের সাধনালব্ধ জ্ঞানের সমন্বয়ে আজ প্রকৃতি এসেছে মানুষের হাতের মুঠোয়। যাত্রা করেছে মানুষ গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে।

ছাত্রজীবন ও অধ্যবসায়: Students are the future of the country and the nation, ছাত্ররাই দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। ছাত্রজীবনই উন্নত ভবিষ্যতের সোপান। কিন্তু ছাত্রজীবনে যে পরিশ্রম করে না, সে কখনো ভবিষ্যতে উন্নতি কামনা করতে পারে না। ছাত্রজীবন বীজ বপনের মৌসুম। ছাত্রজীবন অধ্যবসায়ের জীবন। অধ্যবসায়ী ছাত্র অল্প মেধাসম্পন্ন হলেও জীবনে সে উন্নতি করতে পারে। আরবি প্রবাদে বর্ণিত আছে, 'মানজাদ্দা ফাওয়াজাদা' অর্থাৎ যে চেষ্টা করে, সে-ই পায়। অধ্যবসায়ী ছাত্ররাই জীবনের গৌরবময় আসনে অধিষ্ঠিত হয়।

অধ্যবসায় ও প্রতিভা: প্রবাদ আছে Rome was not built in a day, সুতরাং অবিশ্রান্ত শ্রম করবার প্রবৃত্তিতেই প্রতিভা বলে। আধার কেউ কেউ বলেন সহিষ্ণুতাই প্রতিভা। বৈজ্ঞানিক নিউটন বলেছেন, লোকে আমাকে প্রতিভাবান বলে, কিন্তু আমি এরশ্রম ব্যতীত কিছুই বুঝি না। প্রকৃতপক্ষে প্রতিভা আকবের মধ্যস্থিত মলির মতো।

অধ্যবসায়ীর জীবনাদর্শ: ১৬ইল্যান্ডের রাজা রবার্ট হ্রস অধ্যবসায়ের এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। তিনি অগণিত ইংরেজ সৈন্যের সাথে যুদ্ধে বারবার পরাজিত হয়েও ইংরেজ বাহিনীকে পরাজিত করার বাসনা পরিত্যাগ করেননি। তিনি মাকড়সা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে শত্রুর বিভূখে যুদ্ধ করে জয়ী হলেন এবং স্কটল্যান্ডের ওপর অপ্রতিরোধ। আধিপত্য বিস্তার করলেন। পৃথিবীতে বস্তু ব্যর্থতা, বহু পরাভব, বহু হতাশাকে শেষ পর্যন্ত অতিক্রম করা সম্বর হয়েছে অধ্যবসায়ের কল্যাণে। ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট দরিদ্র পরিবারে জন্ম নিয়ে সামান্য অবস্থা থেকে পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের গুণে ফরাসি জাতির ভাগ্যবিধাতা হয়েছিলেন। তিনি বলেন Impossible is a word enly found in the dictionary of the fools, 'বোকাদের অভিধানেই শুধু অসম্ভব শব্দটি দেখা যায়।' আমেরিকা আবিষ্কারক কলম্বাস, বিজ্ঞানী নিউটন, মনীষী কার্লাইল, ডালটন এরা সবাই অধ্যবসায়ের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

অধ্যবসায়ের মূল্য: আমাদের জীবনে অধ্যবসায়ের মূল্য অপরিসীম। ভারতীয় দর্শনমতে, যদিও আমরা দুঃখবাদী এবং দুঃখে আমাদের জীবনগড়া তথাপি আমাদের মধ্যে অনেকেই দুঃখ-দৈন্যের সাথে পাঞ্জা লড়ে। মানুষ অধ্যবসায়ী না হলে বিশ্বের এত উন্নতি আদৌ সম্বব হতো না।

ব্যক্তিজীবনে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব: ব্যক্তিজীবনে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব সর্বাধিক। সব মানুষের শক্তি সমান নয়। কিন্তু সবাইকে উন্নত জীবনের সম্মানে যেতে হয়। সেখানে যদি অধ্যবসায়ের যথার্থ প্রয়োগ করা যায়, তবে শক্তির স্বল্পতা সাফল্যের পথে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।

বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অধ্যবসায়: পৃথিবীর সব ক্ষেত্রেই অধ্যবসায়ের গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও অধ্যবসায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। বিজ্ঞানের প্রতিটি বড় বড় অবিষ্কারের পেছনেও অধ্যবসায়ের ভূমিকা রয়েছে। বৈজ্ঞানীদের অনেক পরিশ্রম, সাধনা ও অধ্যবসায়ের ফলেই তারা আবিষ্কার করতে পেরেছেন নতুন কিছু।

অধ্যবসায়হীন ব্যক্তির পরিণাম: যাদের জীবনে অধ্যবসায় নেই, তাদের জীবন ব্যর্থতায় পূর্ণ। যেকোনো কাজ প্রাথমিক অবস্থায় কঠিন মনে হয়। কিন্তু দৃঢ়সংকল্প নিয়ে কাজে অগ্রসর হলে হাজারও বাধা অতিক্রম করা সন্ধব। অধ্যবসায়হীন মানুষ জীবনে সাফল্য লাভ করতে পারে না। একসময় তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়। একমাত্র অধ্যবসায়ের গুণেই মানুষ পৃথিবীতে অমরত্ব লাভ করতে পারে।

জাতীয় জীবনে: অধ্যবসায় জাতীয় জীবনে অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কোনো জাতি যদি অধ্যবসায়ী হয়, তবে সে জাতি অবশ্যই মর্যাদার শীর্ষে অবস্থান করবে। যেমন: জাপান একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ হয়েও পৃথিবীর একটি উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত, যা সঙ্কর হয়েছে অধ্যবসায়ের দ্বারা। যে জাতি যত বেশি অধ্যবসায়ী, সে জাতি ততো বেশি উন্নত। বাঙালি জাতির অধ্যবসায়ের ফসল হচ্ছে গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা।

অধ্যবসায়ী ব্যক্তির সম্মান: অধ্যবসায়ী ব্যক্তি সমগ্র জাতির সম্পদ। অধ্যবসায়ী ব্যক্তিকে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখে যুগের পর যুগ, জানায় বিনম্র সম্মান। যেমন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সমগ্র জাতির কাছে স্মরণীয়।

অধ্যবসায় জীবনের চিরায়ত সংগ্রামী শক্তি: কোনো কাজে অধ্যবসায়ী হওয়া মানে জীবন দিয়ে সংগ্রাম করা। জীবনের প্রতিটি কর্মে অধ্যবসায় ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জনের পথরেখা আমাদের সামনে হাজির হবে।

মানুষের সংগ্রাম ও সত্যতার ক্রমবিকাশ: আদিম যুগে মানুষ ছিল গুহাবাসী, কিন্তু সেই গুহাবাসী মানুষের নিরলস পরিশ্রম ও চিন্তাভাবনায় এবং কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আজ আমাদের সামনে হাজির হয়েছে এক আধুনিক বিশ্ব। আমাদের কাছে পৌছে দিয়েছে এক চলমান, স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন। সংগ্রামের লক্ষ্য জীবনের সাফল্য। প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকা উচিত। শুধু লক্ষ্য থাকলেই হবে না, তাকে ধরে নিতে হবে জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছানো মানে সংগ্রামের সাগর পাড়ি দিয়ে কূল খুঁজে পাওয়া। তাই জীবনের লক্ষ্য অর্জন করতে হলে সংগ্রামের পথ পাড়ি দিতে হবে।

সংগ্রামের জয়-পরাজয়: মানবজীবনের যেমন সংগ্রাম আছে, তেমনি আছে জয়-পরাজয়। আর এটাই স্বাভাবিক যে মানুষ খুব সহজেই কোনো সংগ্রামে জয়ী হতে পারে না। তাই বলে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। বরং জয়ের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। তাহলেই কেবল জয়লাভ করা সম্ভব।

ব্যর্থতাই সাফল্যের চাবিকাঠী: জীবনে যেমন সফলতা আছে, তেমনি আছে ব্যর্থতা, আর ব্যর্থতাই হলো সফলতা লাভের সোপান। কোনো কাজে ব্যর্থ হয়ে মানুষকে ধৈর্য হারালে চলবে না বরং বারবার অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। কারণ ব্যর্থতাই সাফল্যের মূল।

সাধারণ মানুষের জীবনে অধ্যবসায়: আমরা জন্মের সময় সাধারণ মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করি। কিন্তু কর্মময় পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকতে হলে অধ্যবসায়ী হতে হবে। তাই আমাদের মতো প্রত্যেকটি সাধারণ মানুষের অধ্যবসায়ী হওয়া উচিত।

অধ্যবসায়ের দৃষ্টান্ত: ধৈর্যশীল ও অধ্যাবসায়ী ব্যক্তিরাই মানবজীবনকে সার্থক করতে পারেন, জীবনকে করে তুলতে পারেন সাফল্যমণ্ডিত। যারা অধ্যবসায়ী তারা জীবনে শত বাধাবিপত্তির পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে গেছেন। তারা শোষকের রক্তচক্ষু ও শাসনে ভীত হননি। তারা ত্যাগে ও ধৈর্যে মানুষের কাছে অমৃতের পাত্র তুলে ধরেছেন আর নিজেরা পান করেন জীবন মন্ম্মনের গরন এমনই কয়েকজন হলেন হযরত মুহম্মদ (স.), গৌতম বুদ্ধ। সাহিত্য-শিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে ম্যাক্সিম গোর্কি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম সবাই ছিলেন অধ্যবসায়ী। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানী গ্যালিলিও, লুইপাস্তুর, নিউটন, মাদামকুরি, আইনস্টাইন সবার জীবন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তারা ব্যক্তিগত জীবনে অধ্যবসায়ী ছিলেন।

উপসংহার: কথায় আছে, A man's best friend is his ten fingers, তাইতো অধ্যবসায়ই বিশ্বের সব তোরণ খুলে দেয়। সে জন্য অধ্যবসায়কে আমাদের সবার আঁকড়ে ধরা উচিত। কেননা অধ্যবসায়ের গুণেই ছেঁড়া ন্যাকড়ার পৃথিবী আজ সোনার পুতুল। অধ্যবসায়ের জন্য চাই আত্মবিশ্বাস ও সুদৃঢ় মনোবল। পরিশেষে, আমাদের মন্ত্র হওয়া উচিত 'ভেজো যাবে বাঁধন/ ভাঙবে না তবু প্রত্যয় সাধন ভাঙবে না কভু সৃজন মনন। ধিক! শত প্রণয় মহা প্রলয় দীপ্ত বাহুতে উড়াও আজি/ আত্মার মহাবিজয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url