এফিলিয়েট মার্কেটিং কি - মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করুন
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি - বর্তমান সময়ে এসে আমরা সকলেই অনলাইনে সঙ্গে জড়িত। আমরা অনেকেই আছি অনলাইনের মাধ্যমে অ্যাফিলেট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চাই। কিন্তু আমরা সঠিকভাবে জানি না এফিলিয়েট মার্কেটিং কি। আবার আমরা যারা একটু জানি তারা প্রশ্ন করি মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কি আয় করা যায়।
আমি আজকে আপনাদেরকে জানাবো এফিলিয়েট মার্কেটিং কি, কিভাবে করতে হয়, মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করতে হয়, সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি
অনলাইন থেকে যত টেকনিক বা উপায় অবলম্বন করে টাকা ইনকাম করা যায়, তার মধ্যে উত্তম একটি উপায় হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা।
এফিলিয়েট মার্কেটিং অনেকটা ব্যবসার মতো। তবে ব্যবসা করার আগে আপনাকে টাকা খরচ করতে হয় অর্থাৎ টাকা ইনভেস্ট করতে হয়, কিন্তু এফিলেট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনাকে টাকা খরচ করতে হয় না। আপনি ফ্রিতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মার্কেটিং করে ব্যবসা করতে পারবেন, কোন রকম খরচ ছাড়াই।
অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে প্রমোট এবং বিক্রির ব্যবস্থা করাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। এক্ষেত্রে সাধারণত প্রতিটি ছেলের বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দেওয়া হয়। অর্থাৎ সহজ ভাষায় বলা যায় আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিক্রি করে দেন তাহলে ওই বিক্রয়ের উপর আপনাকে একটি কমিশন দিবে।
মনে করুন আপনি একটি দারাজ এফিলিয়েট একাউন্ট এর মাধ্যমে একটি মোবাইল ফোন বিক্রি করলেন যার মূল্য ৫০০০০ টাকা। এখন আপনি যদি ১০% কমিশন পান তাহলে আপনার এখান থেকে আয় হবে ৫০০০ টাকা। কোম্পানি ভেদে এফিলিয়েট কমিশনের পরিমাণ কম বেশি হয়। আপনি যদি বড় কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাহলে সেখান থেকে একটি হিউজ পরিমাণে এমাউন্ট আয় করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং
বর্তমান সময়ের ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে হিউজ পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমের মধ্যে একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। এখন আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে আমি কি মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারব।
মোবাইল দিয়ে এফিলিট মার্কেটিং করতে পারবেন তা না, আপনি এখান থেকে মাসে লক্ষাধিক আয়ও করতে পারবেন। অনেকের মনে শুধু সংশয় জাগে যে আমি মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারব না, আমার একটি ল্যাপটপ বা পিসি লাগবে, আসলে বিষয়টি এমন না। আপনি চাইলে মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন এবং সেখান থেকে হিউজ পরিমান ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে আগে আপনাকে জানতে হবে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি, কিভাবে করে। আমরা উপরে বর্ণনা করে দিয়েছি যে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি। আপনারা হয়তো এতক্ষণে জেনে গেছেন যে এফিলিয়েট মার্কেটিং টা আসলে কি। এবং এটি কিভাবে করতে হয় সে সম্পর্কে আমরা নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব সুতরাং আপনি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আর আপনি অবশ্যই মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। বিভিন্ন মার্কেটিং ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন সেখানে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে, মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা
আপনি যদি একজন মার্কেটার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই এফিলিয়েট মার্কেটিং এ যুক্ত হবেন, এবং আপনি যুক্ত হন এই জন্যই যে আপনি এখান থেকে উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু আপনি প্রায় সকলকে সাথে কম বেশি উপার্জন করতে পারবেন। বিশেষত এফিলিয়েট মার্কেটিং এই কেন জড়িত হওয়া যেতে পারে এবং এর সুবিধা কি চলুন সে সম্পর্কে জানি।
স্বল্প বা বিনা ইনভেস্টঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর বাজার এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে বিষয়টি এবং সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে তা হলো বীনা ইনভেস্ট। আপনি কোন রকম ইনভেস্ট ছাড়াই এখান থেকে আয় করতে পারবেন। শুধুমাত্র আপনার নিজের কিছু দক্ষতা থাকতে হবে।
ঝুঁকি কমঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে আপনার কোন ধরনের ইনভেস্ট করা প্রয়োজন পড়ে না, এই জন্য এখানে ঝুঁকিও অনেক কম। অন্যান্য অনেক ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে আপনাকে কিছু টাকা ইনভেস্ট করে প্রোগ্রামে জয়েন করতে হয়। সেসব জায়গায় আপনি লস খেতে পারেন, কিন্তু এখান থেকে কোন ধরনের লস খাওয়ার প্রসেস নেই।
ঊর্ধ্বগতি বাজারঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর বাজার কি অবিশ্বাস্য গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে তা পরিসংখ্যান না দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন না। এটি ২০১৭ সালে ৫.৮ বিলিয়ন ডলার বাজার মূল্য থেকে বর্তমানে ১৯ বিলিয়ন ডলারে ঠেকেছে। এটি ভবিষ্যতে আরও কত বাড়বে তার কোন ধারণা করা যায় না। এজন্য এটি করতে থাকলে আপনি কখনো লস হবেন না।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল
এফিলিয়েট মার্কেটিং হল কোন কোম্পানির পণ্য বিক্রি করে দিয়ে কিংবা বিক্রয় করতে সহযোগিতা করে, সে বিক্রয় মূল্য থেকে একটা কমিশন গ্রহণ করা অর্থাৎ কোন কোম্পানির হয়ে প্রচার করে অর্থ উপার্জন হল এফিলিয়েট মার্কেটিং। ইসলামী শরিয়া মতে এভাবে শ্রম দিয়ে অর্থ উপার্জনে কোনো সমস্যা নেই, তবে শর্ত হলো পণ্য হালাল হতে হবে।
আপনার পণ্যটি যদি হালাল হয়, আর আপনি যদি কোন মিথ্যা, প্রতারণা ও অস্বচ্ছতা ধরনের কোন অনাচারে লিপ্ত না হয়ে যান তাহলে সেটি অবশ্যই আপনার জন্য হালাল হবে। অর্থাৎ প্রচার ও বিক্রয় পদ্ধতি শরীয়ত সম্মত হতে হবে।
যদি মার্কেটার তার সাইটে কেবল হালাল পণ্য এর বিজ্ঞাপন দেয়। তারপর সেখান থেকে ভিজিটর উক্ত সাইটে গিয়ে হালাল যা কিছু ক্রয় করবে এর কমিশন মার্কেটারের জন্য নেয়া জায়েজ আছে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিভিন্ন ধরনের হতে পারে বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটে এফিলিয়েট অপশন থাকার পাশাপাশি নিজের কাছে থাকা ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ, ইনস্টাগ্রাম পেইজ টেলিগ্রাম ইত্যাদি ব্যবহার করে এফিলেট মার্কেটিং করা যায়। এক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস থেকে অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কের লিংক কালেক্ট করতে হবে।
ফেসবুক মার্কেটিংঃ বর্তমান সময়ে ফেসবুক একটি জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম। এর মাধ্যমে যোগাযোগ ছাড়াও আমরা ইনকাম করতে পারি। আমরা বেশিরভাগ সময় ফেসবুকের নিউজফিডে ভিডিও দেখে সময় কাটাই। এই ভিডিও দেখার সময় ভিডিওর মাঝে মাঝে বিজ্ঞাপন চলে আসে, আমরা না চাইলেও সেই বিজ্ঞাপন দেখতে হয় মূলত এটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
ইউটিউব মার্কেটিংঃ আমরা ইউটিউব এ নানা ধরনের ভিডিও দেখি। ভিডিও দেখার সময় আমাদের চোখে পড়ে অনেকে এমন ভিডিও দেখাচ্ছেন, যে কোন কোম্পানির কোন একটি পূর্ণ বা প্রোডাক্ট রিভিউ করতেছে। সেই পণ্যের ভালো দিকগুলো আমাদের সামনে তুলে ধরতেছে। মূলত সে ওই কোম্পানির হয়ে ওই প্রোডাক্টটি নিয়ে বা ওই পণ্যটি নিয়ে অ্যাপিলিয়েট মার্কেটিং করতেছে।
ইমেইল মার্কেটিংঃ এই ধরণের এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কাজ হলো বিভিন্ন দেশের ই-মেইল সংগ্রহ করে তা কোম্পানির সে লিংয়ের কাজে লাগানো। উদ্দেশ্য কোম্পানির বিভিন্ন আপডেট, অ্যাড ইত্যাদি ই-মেইলের মাধ্যমে প্রচার করা।
সিপিএ মার্কেটিংঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর এই শাখাটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মোটামুটি সহজেই সেল পাওয়া যায় বলে অনেকেই সেই সেক্টরের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। কেননা এই সেক্টরে ক্লিক করা মাত্র আপনি একটা কমিশন পাবেন। সুতরাং বুঝতেই পারছেন মোটামুটি নতুনদের ইনকাম জেনারেট করার জন্য তুলনামূলক সহজই বলা চলে। তবে এই সেক্টরে সৎ থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
১০ টি এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট
সেরা ১০ টি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট- আমরা অনেকেই চিন্তা করি অ্যাফিলে এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট কোথায় পাবো কিভাবে লিংক কানেক্ট করব, এ বিষয়গুলো আমরা বুঝতে পারি না। আমি আজকে আপনাদেরকে সেরা ১০ টি এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বলব-
দারাজ এফিলেট মার্কেটিংঃ বাংলাদেশের সেরা ই-কমার্স সাইট দারাজ বর্তমানে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু করেছে। দারাজ এফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে আয় করতে পারবেন আপনিও। দারাজ বহুল জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, তাই আপনার ট্রাফিকের চাহিদা বিবেচনা করে প্রোডাক্ট বাছাই করতে হবে।
- SOHOJ AFFILITES প্রোগ্রামঃ সহজবাই.কম এর এফিলিয়েট প্রোগ্রাম সাইট sohojaffliates.com । এটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ই-কমার্স সাইট। এখানে আয় করার দারুন একটি ব্যাপার হলো নতুন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার ইনভাইট করেও তাদের ইনকামের ১০% পাওয়া যায়।
- BDSHOP এফিলিয়েট প্রোগ্রামঃ বিডিশপ মূলত একটি ভিন্ন টেকনোলজি ও গ্যাজেট জাতীয় প্রোডাক্ট এর সমৃদ্ধ ভান্ডার। এখানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আসল প্রোডাক্ট পাওয়া যায় এছাড়াও বিভিন্ন ফ্যাশন, হেলথ এবং গেমিং প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। আপনারা যারা টেক ব্লগে কাজ করেন কিংবা মডার্ন টেকনোলজি নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাদের জন্য বিডি সব বেস্ট চয়েজ।
- SHOHOZSELL এফিলিয়েট প্রোগ্রামঃ এটিও মূলত একটি ই-কমার্স সাইট। এখানে অটো মবিল এবং বাইক পার্টস থেকে শুরু করে স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট পর্যন্ত সবই পাওয়া যাবে। আপনি যে ক্যাটাগরির হন না কেন আপনি যদি এফিলিয়েট করতে চান তাহলে আপনি এই সাইটটি বেছে নিতে পারেন।
- SHOPNOBARI এফিলিয়েট প্রোগ্রামঃ স্বপ্নবাতে মূলত পাঞ্জাবি, শাড়ি, থ্রি পিসহ বিভিন্ন রকমের পোশাক বিক্রি করা হয়ে থাকে। এছাড়াও রয়েছে বেবি কালেকশন, ইলেকট্রনিক্স এবং হেলথ রিলেটেড প্রোডাক্ট। বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ড প্রোডাক্টস এর আলাদা ক্যাটাগরি। এটিও বাংলাদেশের অন্যতম বড় রকমের একটি ই-কমার্স সাইট। আপনি চাইলে এখানেও কাজ করতে পারেন এখান থেকে কাজ করে আপনি ১০% কমিশনে ইনকাম করতে পারবেন।
- পে-পার-ক্লিকঃ এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এবং এফিলিয়েট মার্কেটারদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এফিলিয়েট ব্যবসায়ীক চুক্তি হচ্ছে পে- পার ক্লিক । এখানে আপনি প্রতিটি প্রোডাক্ট সেলের জন্য আপনি একটা ফিক্সড অ্যামাউন্ট পাবেন। এই মডেলের মাধ্যমে আপনি ব্যবসায়ীর ওয়েবসাইটে যে ক্রেতাদের পাঠাবেন তারা সেখান থেকে প্রোডাক্ট ক্রয় করুক বা না করুক আপনাকে আপনার পেমেন্ট দিতে হবে।
- পে-পার স্কেলঃ এফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পেমেন্ট মডেল হচ্ছে পে-পার স্কেল। একজন এফিলিয়েট মার্কেটার এই পেমেন্ট মডেলের মাধ্যমে তার নিজের ওয়েবসাইট থেকে এক্সটারনাল লিংকিং এর মাধ্যমে ক্রেতাদেরকে মূলত ব্যবসায়ীর ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দেয়।
- পে-পার-লিডঃ পে-পার লিডও এফিলিয়েট মার্কেটারদের কাছে বেশ জনপ্রিয় । আপনার ওয়েবসাইট থেকে যত ভিজিটর বা ক্রেতা ব্যবসায়ীর ওয়েবসাইটে যাবে এবং সাইন-আপ বা রেজিস্ট্রেশন করবে তার উপর ভিত্তি করে আপনি ব্যবসায়ী/কোম্পানির কাছ থেকে পেমেন্ট পাবেন। এজন্য ব্যবসায়ী /কোম্পানিরা সাধারণত এ ধরণের চুক্তি করতে চায় না।
- হোস্টিং বাংলাদেশঃ ডায়নাহোস্টের পরেই এর অবস্থান। তবে এর কিছু আলাদা সুবিধা রয়েছে এখানে অর্ডারপ্রেস সাইটের জন্য স্পেশাল হোস্টিং প্যাকেজ পাওয়া যায়। হোস্টিং যারা ক্রয় করে তাদের বেশিরভাগই ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে সাইট তৈরি করেন।
- BOHUBRIHI ONLINE COURSE - ইংরেজি ভাষায় যাদের জন্য সমস্যা বাংলায় তাদের অনেকেই অনলাইন কোর্স করতে আগ্রহী। বাংলাদেশে যারা অনলাইন কোর্স অফার করে তাদের মধ্যে অন্যতম বহুব্রীহি। বহুব্রীহিতেও ৩০ দিন পর্যন্ত ভিজিটর রেকর্ড রাখা হয় ফলে আপনার রেফার করা কোন ক্লায়েন্ট কোর্স করলে কমিশন মিস করার সম্ভাবনা নেই।
এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর আরো কিছু প্রোগ্রাম সাইট রয়েছে-
আপনি যদি মোবাইল নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম সাইটগুলোতে একাউন্ট তৈরি করতে হবে । চলুন এক নজরে দেখে নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রোগ্রাম সাইডগুলো-
- Daraz
- Alibaba
- Evaly
- eBay
- Etsy
- Amazon Associates
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই অনলাইনে সাথে জড়িত। আর আমরা অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য অনেকেই আগ্রহী। এর মধ্যে আমরা অনেকে রয়েছি যারা কিনা এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে চাই। এখন আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে অ্যাফিলেট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব।
আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকতে হবে। আর আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই জেনে গেছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি।
এফিলেট মার্কেটিং এ কিভাবে কাজ করা যায়, কোন সাইটে কিভাবে কাজ করতে হয়। এবং এটি কিভাবে করলে আমাদের জন্য হালাল হবে সে সম্পর্কেও বিস্তারিত উপরে আলোচনা করেছি। আপনি যদি সম্পূর্ণটি পড়ে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই এতক্ষণে জেনে গেছেন, যে এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করতে হয়।
সর্বশেষে বলা যায় যে আপনি যদি একজন দক্ষ এফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারেন, তাহলে আপনি অনলাইন থেকে হিউজ পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন। আর আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে আপনাদেরকে তো বলেই দিলাম যে কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়। আশা করি এই পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। কাজ করার সময় কোন ধরনের সমস্যা হলে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন, এবং আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য টি আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন, ধন্যবাদ।
SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url