রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - কাঁচা রসুন খেলে কি ক্ষতি হয়
রসুন একটি মসলা জাতীয় খাবার। রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা কয়জনই বা জানি। এছাড়া আমরা কি জানি কাচা রসুন খেলে কি ক্ষতি হয়। রসুনের মধ্যে বিভিন্ন রকমের পুষ্টিকর উপাদান পাওয়া যায়, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, থিয়ামিন, রিবোফ্লোভিন, ভিটামিন সি। এছাড়া রসুনে আয়োডিন, সালফার ও ক্লোরিনও রয়েছে অল্প পরিমানে।
আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে রসুন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, কাচা রসুন খেলে কি ক্ষতি হয়, খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা এ সব কিছু বিষয়ে আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরি। এই পোস্টে আমরা আপনাদেরকে সকল বিষয়ের উপর বিস্তারিত ধারণা দেবো। আশা করি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং আপনি এখান থেকে অনেক উপকৃত হবেন।
রসুন খাওয়ার উপকারিতা
রান্নায় রসুন ব্যবহার করব না, তা কি কখনো হয়। রসুন আমাদের দৈনন্দিন খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। রান্নাকে সুস্বাদু করার জন্য পেঁয়াজ, মরিচের সঙ্গে আমরা রসুন ব্যবহার করি। এটি শুধু রান্নার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় তা কিন্তু না, প্রাচীনকাল থেকে রসুন ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। রসুনের মধ্যে রয়েছে নানা রকমের পুষ্টিগুণ এবং নানান উপকারিতা।
আমরা রসুন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানবো। চলুন তাহলে জেনে নেই রসুন খাওয়ার উপকারিতা-
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করেঃ আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া রসুন খান তাহলে আপনার রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আর রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা যদি আপনার শরীরে বেশি হয় তাহলে আপনার রোগ কম হবে। রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বেশি হলে তা রোগ প্রতিরোধ করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ রসুনের মধ্যে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টিফাঙ্গাল, এই উপাদান গুলো রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সকালে খালি পেটে রসুন খেলে এই উপকারটি বেশি পাওয়া যায়।
রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করেঃ রক্তচাপ কমানোর জন্য রসুন বেশ কার্যকারী উপাদান। মানব শরীরের এলডিএল বেড়ে যাওয়ার কারণে রক্তচাপ বেড়ে যায়, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া রসুন খেলে উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা থাকবে না।
হৃৎপিণ্ডের শক্তিবর্ধকঃ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া রসুন পানি দিয়ে গিলে খেলে হৃৎপিণ্ড শক্তিশালী হবে, রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির কারণে হৃৎপিণ্ডের ব্লকগুলো আর বাড়বে না এবং ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারবে না, বুকের ব্যথা কমে যাবে, সিঁড়ি বেয়ে উঠতে কষ্ট হবে না।
ফুসফুসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করেঃ ফুসফুসে বিভিন্ন কারণে সংক্রমণ হতে পারে। এলার্জি সমস্যা, ঠান্ডা লাগার প্রবণতা থেকে ফুসফুসের সংক্রমণ ঘটতে পারে, যা থেকে মুক্তি পেতে রসুন পিষে রস খেলে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে।
হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করেঃ মানবদেহের ৩০ বছর পার করার পর শরীরের হাড়ের ক্ষয় হতে থাকে। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টা বেশি হয়। আপনি যদি প্রতিদিন ২ গ্রাম করে রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলেন তাহলে, ৩০ বছর পার হওয়ার পরেও আপনার এই সমস্যা দেখা দিবে না।
কোষের ক্ষতিরোধ করেঃ রসুনের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ‘সেল ড্যামেজ’ ও ‘এজিং’ রোধ করে। ব্রেনের কোষের ড্যামেজ কম হয়ে আলঝেইমারস ও ডিমেনশিয়ার মতো রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করেঃ প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খালি পেটে খেলে ত্বক ভালো থাকে, ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে না, চেহারায় কোনো দাগ থাকলে কমে যায়।ব্রণ দ্রুত শুকিয়ে যায়।দাগ দূর করে।
পুরুষের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ পুরুষের যৌন ক্ষমতা নানা কারণে কমে যেতে পারে, সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া রসুন খেলে ধীরে ধীরে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। পুরুষের যৌন ক্ষমতার মূল উৎস হচ্ছে সক্রিয় রক্ত চলাচল। রসুনে এই কাজ করে বলেই যৌনক্ষমতার কথা বলা হয়ে থাকে।
রসুন খাওয়ার অপকারিতা
শরীরের নানা রকম সমস্যা দূর করতে রসুন বেশ উপকারী। তবে সবার শরীরের জন্য যে এটি ভালো ফল নিয়ে আসবে তা কিন্তু নয়। রসুনের কিছু কিছু গুণের জন্য অনেক শারীরিক সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।আবার অতিরিক্ত রসুন খেলে যে সমস্যাগুলো হয়, তা সবকিছু নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
- রসুনের মধ্যে রয়েছে সালফার, যা পেটে গ্যাস তৈরি করে। তাই খালি পেটে রসুন খেলে ডায়রিয়া হতে পারে।
- রক্তচাপ কমে যায় অতিরিক্ত রসুন খেলে। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন রসুন খেলে ঘাম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- রক্তের ঘনত্ব কমায় রসুন। এইজন্য যারা ওয়ারফারিন, অ্যাসপিরিন ইত্যাদি ওষুধ সেবন করে, তাদের অতিরিক্ত রসুন না খাওয়া উচিত। এতে রক্ত অতিরিক্ত পাতলা হতে পারে।
- গবেষণায় জানা যায় যে, অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার ফলে রসুনে থাকার রাসায়নিক উপাদান অ্যালিসিন লিভারে বিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
- গর্ভবতী নারীর রসুন খেলে প্রস্রাব বেদনা বেড়ে রক্তক্ষরণ হতে পারে। এ ছাড়াও শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েরা ও রসুন খাবেন না। এতে দুধের স্বাদ পাল্টে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার কারণে হাইফিমা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ আইরিশ ও কর্নিয়ার মাঝে রক্তকরণ ঘটতে পারে। যার ফলে দৃষ্টিশক্তি চলে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত রসুন খেলে মুখে দুর্গন্ধ হয়। রসুন খাওয়ার ফলে মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ হচ্ছে এর ভেতরে থাকা সালফার উপাদান।
কাঁচা রসুন খাওয়ার নিয়ম
রসুন মূলত একটি মসলা জাতীয় উপাদান। রসুনের নানা পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা রয়েছে। যা আপনারা ইতিমধ্যে উপরে জেনে গিয়েছেন, যে রসুনের মধ্যে কি কি উপকারিতা রয়েছে। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কাঁচা রসুন কিভাবে খেতে হয়। কিভাবে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়-
- কাঁচা রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার তিন মিনিট পরে এটি খাবেন। কেননা রসুনের মধ্যে রয়েছে সালফার। যদি আপনি খোসা ছাড়ানোর পর সঙ্গে সঙ্গে খান, তাহলে আপনার বুক জ্বালাপোড়া হতে পারে।
- আপনি যদি চিবিয়ে না খেতে পারেন তাহলে, রস করে খেতে পারেন। তবে রস করে নেওয়া দুই মিনিট পরে খাবেন।
- আপনি যদি কাঁচা রসুন ভেজে খান তাহলে এর সঠিক উপাদানটি আপনি পাবেন না। এই জন্য চেষ্টা করবেন সব সময় কাচা রসুন খাওয়ার।
- রসুন খেতে যদি আপনার গন্ধ লাগে তাহলে আপনি, রসুনের খোসা ভালো মতো ছাড়িয়ে রসুনকে পাচঁ মিনিটের জন্য পানির মধ্যে ভিজিয়ে রাখবেন। তারপর এটিকে চিবিয়ে খাবেন।
- এছাড়াও আপনি কাঁচা রসুন একটু সিদ্ধ করে নিয়ে খেতে পারেন। তবে এটিতে একটু গুনাগুন টা কম পরিমাণে পাবেন। যদি আপনার কাঁচা চিবিয়ে খেতে সমস্যা হয় তাহলে আপনি এভাবে খেতে পারেন।
সকল আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে কাঁচা রসুনের গুরুত্ব অনেক বেশি। এবং এটির উপকারিতা সম্পর্কে তো আমরা সকলেই ইতিমধ্যে জেনে গেছি। আমাদের দেহকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে রসুন খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। এজন্য আমরা সকলেই রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবো।
কাঁচা রসুন খেলে কি ক্ষতি হয়
রসুনের যেমন উপকারিতা হয়েছে ঠিক তেমনি এর কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। আসল কথা কি কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো না। আমরা অনেকেই আছি বেশি উপকারের আশায় বেশি বেশি করে রসুন খাই। কিন্তু আমরা জানি না কি পরিমান রসুন আমাদের শরীরের জন্য উপকার আনবে এবং কি পরিমান রসুন আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, খালি পেটে কাঁচা রসুন খেলে বুক জ্বালাপোড়া, বমি বমি ভাব এমন কি বমিও হতে পারে। অতিরিক্ত রসুন খেলে হাইফিমা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া আইরিশ ও কর্নিয়ার মাঝে রক্ত ক্ষরণ ঘটে। ফলের দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঝুঁকি বাড়ে।
- গর্ভবতী মহিলাদের সমস্যাঃ গর্ভবতী মহিলাদের রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। দুগ্ধ দানকারী মহিলাদেরও কাঁচা রসুন এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ একটি দুধের স্বাদ পাল্টে দেয়।
- ডায়রিয়াঃ অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার ফোনে ডায়রিয়া হতে পারে, কারণ রসুনের সালফার রয়েছে। যা পেটে গ্যাস তৈরি করে। ফলে বেশি পরিমাণ রসুন খেলে ডায়রিয়া হতে পারে।
- লিভারের ক্ষতিঃ মূলত লিভারের অন্যতম কাজ হচ্ছে রক্ত পরিশোধ করা, চর্বি ও প্রোটিনের বিপাক, শরীর থেকে অ্যামোনিয়া অপসারণ করা ইত্যাদি। গবেষকরা বলেন অতিরিক্ত রসুন খেলে তাতে থাকা ‘অ্যালিসিন’ উপাদান লিভারের বিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। [সূত্র: যুগান্তর]
- বমি ও বুক জ্বালাপোড়াঃ যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট তাদের এক গবেষণায় বলেন খালি পেটে ভাজা রসুন খেলে তা বুক জ্বালাপোড়া, বমি ভাব ও পেটে ব্যথা হতে পারে। [সূত্র: যুগান্তর]
- অতিরিক্ত ঘামঃ বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল স্ট্যাডিতে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রসুন খেতে থাকলে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া রসুনে সালফার থাকার কারণে মুখে দুর্গন্ধও হয়।
- মাথা ঘোরাঃ রসুন বেশি খাওয়ার ফলে রক্তচাপ কমে যায়। আর নিম্ন রক্তচাপের উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে দুর্বলতা, মাথা ঘোরানো, বমি ভাব ইত্যাদি। এই জন্য অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার ফলে মাথা ঘোরা সমস্যা হয়।
মূলত এই সমস্যাগুলো রসুনের মধ্যে পাওয়া যায়, অর্থাৎ এগুলো হচ্ছে রসুনের ক্ষতিকারক দিক। তবে আমরা যদি পরিমাণমতো রসুন খাই তাহলে আমাদের কোন ক্ষতি হবে না বরং আমাদের অনেক উপকার হবে। এবং আমরা রসুনের উপকারিতা সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত ভাবে জেনেছি।
খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা
অনেকে মনে করেন, সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার সাথে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কোন কিছুই জড়িত নেই।আবার অনেকে মনে করেন খালি পেটে রসুন খাওয়ার অভ্যাস ক্ষতিকর হতে পারে। কিন্তু আসল ব্যাপার হচ্ছে খালি পেটে রসুন চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস অত্যন্ত ভালো। কারণ রসুন একটি অনেক উপকারী উপাদান। চলুন খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে-
- গবেষণায় দেখা যায়, সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খেলে তা খুবই শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। কারণ সারাদিনের তুলনায় সকালে খালি পেটে দেহের ব্যাকটেরিয়া কম শক্তিশালী থাকে এবং সহজেই ধ্বংস হয়। [সূত্র: ইনকিলাব]
- পেটের সমস্যায় কাঁচা রসুন সেই প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস পেটের নানা সমস্যা দূর করে নিমিষেই। কাঁচা রসুন পেটের অ্যাসিড উৎপাদনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং পেটের নানা সমস্যা নিরাময় করে। [সূত্র: ইনকিলাব]
- রক্ত পরিষ্কারে প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটি কোয়া ও এক গ্লাস পরিমাণ গরম পানি সেবন করতে হবে। আর দিনে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এতে রক্ত পরিষ্কার হবে এবং ত্বক ভালো থাকবে। আর ওজন কিছুটা কমাতে চাইলে সকালে রসুনের সাথে পান করা গরম পানিতে কিছুটা লেবুর রস দিতে হবে। [সূত্র: WOMEN'S]
- রোগ-প্রতিরোধে আপনি যদি প্রতিদিন সকালে নাস্তা শেষে এক কোয়া রসুন গিলে ফেলেন। চিবিয়ে খাবেন না, শুধু গিলে ফেলবেন। এর ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় স্বাস্থ্যগত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। [সূত্র: WOMEN'S]
- রসুনে এতো উপাদান যে যদি আপনার যক্ষ্মা বা টিবি জাতীয় কোন সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুন কয়েক অংশে বিভক্ত করে বার বার খেতে থাকলে। যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে করা সম্ভাব। [সূত্র: WOMEN'S]
- খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে যকৃত এবং মূত্রাশয় সঠিকভাবে নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করে। এছাড়াও, এর ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় যেমন- ডায়রিয়া। [সূত্র: WOMEN'S]
সবশেষে বলা যায় যে রসুন একটি মসলা জাতীয় উপাদান হলেও এটি অত্যন্ত উপকারী। আপনি যদি এটি কাঁচা খান তাহলে এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিকের মত কাজ করবে। রসুনের আশ্চর্যজনক ক্ষমতা রয়েছে যা মানব শরীরের জন্য খুবই কার্যকারী। এর জন্য আমরা প্রতিনিয়ত রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবো, তবে প্রয়োজনের বেশি অর্থাৎ অতিরিক্ত রসুন খাব না।
SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url