হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় - প্রতিদিন বীর্য ফেললে কি হয়
হস্তমৈথুন কোন রোগ নয়, এটি একটি নেশা এবং খুব ভয়ঙ্কর এবং মারাত্মক রকমের ক্ষতিকর নেশা। যে একবারে নেশায় আসক্ত হয় তার পক্ষে এখান থেকে বের হওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। তবে হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় বা ছাড়ার উপায় সম্পর্কে জানলে এখান থেকে বের হওয়া অসম্ভব কিছু নয়।
আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন প্রতিদিন বীর্য ফেললে কি হয়। আসলে আমরা কেউ এমনটা গভীরভাবে চিন্তা ভাবনা করি না। হস্তমৈথুনের এই নেশায় আমরা এতটাই আসক্ত হয়ে থাকি যে আমাদের কোন চিন্তা ভাবনা মাথাতেই আসে না। হস্তমৈথুনকে কিভাবে ছাড়া যায় বা এখান থেকে কিভাবে বাঁচা যায় সে সম্পর্কে আজকের আমাদের এই পোস্ট।
হস্ত মৈথুনের অর্থ কি
হস্তমৈথুন বা স্বমেহন হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে মানুষ নিজের যৌনাঙ্গে যৌন উদ্দীপনা প্রদান করে যাতে যৌন উত্তেজনা তৈরি হয় এবং যৌন সুখ লাভ হয়। হস্তমৈথুন মূলত এক ধরনের যৌনক্রিয়া যাতে একজন ব্যক্তি কোন সঙ্গী বা সঙ্গিনীর অংশগ্রহণ ব্যতীত যৌন সুখ অর্জনের চেষ্টা করে।
সাধারণত এই যৌনক্রিয়া আঙ্গুল তথা হাতের সাহায্যে পুরুষ তার লিঙ্গ এবং নারী তার যোনি ধর্ষণ করে বলে এটাকে হস্তমৈথন হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। এটি এমন একটি অভ্যাস যা একবার কেউ করে ফেললে তা ত্যাগ করা খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। শুধু তাই নয় এই অভ্যাসটি এক সময় অনেকের যৌন জীবন বিপর্যস্ত করে তুলে।
হস্ত মৈথুনের ছাড়ার ঔষধ
কোন সঙ্গী বা সঙ্গিনী ছাড়া নিজে নিজেই যৌন উদ্দীপনা সৃষ্টি করে নিজের হাতের আঙ্গুল বা হাত দ্বারা বা নিত্য প্রয়োজনীয় কোন জিনিস দ্বারা নিজের যৌন উত্তেজনা মেটানোকেই হস্তমৈথুন বলা হয়।সাধারণত হস্তমৈথুন ছাড়ার কোন প্রকৃত ও ওষুধ নেই।
তবে হস্তমৈথুন কিভাবে ছাড়া যায় বা এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কিভাবে বাঁচা যায় অথবা এই নেশা কিভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় সেই উপায় নীচে বিস্তারিত ভাবে বলে দেওয়া হবে। হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় সহ হস্তমৈথুন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
প্রতিদিন বীর্য ফেললে কি হয়
কোন পুরুষ যদি সহবাস ব্যতীত নিজে নিজে প্রতিদিন বীর্য ফেলে তাহলে সেটি তার শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কেননা বীর্য বের করার ফলে শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যায়। যা শরীরকে অত্যন্ত দুর্বল করে দেয়। তাই প্রতিদিন বীর্য ফেলা বা বের করা একটা পুরুষের জন্য ক্ষতিকর।
এছাড়াও প্রতিদিন বীর্য ফেলার কারণে আরো কয়েকটি মারাত্মক রকমের সমস্যা হয়। পুরুষের জন্য সমস্যা দুইটি অনেক মারাত্মক। প্রতিদিন বীর্য ফেলার কারণে যে সমস্যা হয় তা হচ্ছে-
- যৌন সঙ্গম স্থাপন করতে অক্ষম হয়ে যায়
- প্রতিদিন বীর্য ফেলার কারণে শুক্রানুর সংখ্যা কমে যায়
- অকাল বীর্যপাতের ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয়
প্রতিনিয়ত বীর্য ফেলার কারণে শরীর দুর্বল হওয়ার পাশাপাশি এই সব বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিদিন ভিডিও ফেলার কারণে সংখ্যা ২০ মিলিয়নের কম হয় যার ফলে সন্তান জন্মদানে ব্যর্থতার দেখা দেয়। আমরা যে বীর্য গুলো প্রতিনিয়ত ফেলে দিয়ে সেখানে ৪২ কোটির মতো শুক্রাণু থাকে। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের মতে কোন পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির কম শুক্রাণু বের হয় তাহলে সে পুরুষ থেকে কোন সন্তান জন্ম হয় না।
এজন্য আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিদিন বীর্য ফেনা যাবে না। আর আপনারা তো উপরে হস্তমৈথুনের ওষুধ সম্পর্কে ইতিমধ্যে জেনে গেছেন। আসলে হস্তমৈথুনের কোন প্রকৃত ঔষধ নেই। তবে এটি ছাড়ার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করা যায়। সে উপায় গুলো আমরা নিচে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করব।
হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায়
হস্তমৈথন এমন একটি রোগ বা নেশা, কেউ যদি একবার কি নেশায় আসক্ত হয় তাহলে সেটা থেকে বের হয়ে আসা অত্যন্ত কষ্ট কর তবে অসম্ভব কিছু নয়। মানুষ চাইলে নিজের মনকে শক্ত করে সবকিছু করতে পারে। তাই আপনি যদি চান আপনার মনকে শক্ত করে এখান থেকে বের হতে তাহলে অবশ্যই বের হতে পারবেন।
হস্তমৈথুনের এই মারাত্মক রোগ বা নেশা থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কেই আজকে আপনাদেরকে জানাবো। আপনি যেহেতু এই পোস্টটি পড়তে এসেছেন তার মানে আপনি হস্তমৈথুন ছাড়ার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা করে নিয়েছেন। আপনি যদি আপনার মনকে এভাবেই শক্ত করে রাখেন তাহলে অবশ্যই হস্তমৈথুন থেকে বাঁচতে পারবেন বা ছাড়তে পারবেন।
আর হস্তমৈথুন ছাড়ার জন্য আমরা আপনাদেরকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কার্যকারী উপায় বলে দেব, আপনি যদি এই উপায় গুলো অবলম্বন করেন এবং আপনার মনকে শক্ত রাখেন তাহলে অবশ্যই হস্তমৈথুন থেকে বাঁচতে পারবেন বা এই মারাত্মক নেশা থেকে বের হতে পারবেন।
- হস্তমৈথুন ছাড়ার জন্য আপনি সর্বপ্রথম যে কাজটি করবেন সেটি হচ্ছে, আপনি নিজেকে সর্বদা ব্যস্ত রাখবেন আর সব সময় অন্যদের মাঝে থাকবেন কখনো একাকী থাকবেন না। কেননা সাইন্স বলতেছে আপনি যদি একাকী থাকেন তাহলে আপনার হস্তমৈথুন করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
- এরপর আপনি আপনার হাতে থাকা সেলফোন বা মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ যা রয়েছে সবকিছু থেকে খারাপ ভিডিও, ছবি, ফুটেজ সবকিছু ডিলিট করে দিয়ে ক্লিয়ার করে রাখবেন। কেননা আপনার হাতে থাকা সেলফোনে যদি ১৮+ ভিডিও থাকে তাহলে আপনার হস্তমৈথুন করার প্রবণতা দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
- এরপর আপনি মেয়েদের দিকে কুনজরে তাকানো থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। রাস্তাঘাটে যেখানেই বের হবেন সর্বদা মেয়েদেরকে মা অথবা বোনের দৃষ্টিতে দেখবেন। তাহলে আপনি হস্তমৈথুন ছাড়ার জন্য একধাপ এগিয়ে থাকবেন। অবশ্যই নিজের চোখকে হেফাজতে রাখবেন।
- হস্তমৈথুন যেহেতু এক ধরনের নেশা তাই আপনি এটি একদিনেই ছাড়তে পারবেন না। আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আর যখনই আপনার হস্তমৈথনের উদ্বেগ তৈরি হবে তখনই আপনি নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখবেন বা সকলের মাঝে নিয়োজিত থাকবেন। একাকী কখনোই থাকবেন না।
- সেক্সুয়াল সকল ধরনের চিন্তাভাবনা কখনোই মাথায় আনবেন না। কেউ যদি সেক্সুয়াল মন্তব্য করে সেখান থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। কখনোই সেক্সুয়াল মন্তব্য বা সাউন্ড শুনবেন না। আপনি যদি এমনটা করেন তাহলে আপনার হস্তমৈথুন করার প্রবণতা দ্বিগুণ হবে, তাই এমনটা করা যাবে না।
- নিজের মাইনকে সেট করে নিবেন এবং ছোট ছোট টার্গেট পূরণ করার চেষ্টা করবেন। যেমন ধরুন প্রথমে আপনি এমনটা করবেন যে আমি আগামী দুই দিন হস্তমৈথুন করবো না এবং আপনি আপনার সেই টার্গেট পূরণ করবেন। এরপরে আবার নতুন টার্গেট নিবেন, এবার একটু দিন সংখ্যা বৃদ্ধি করে নিবেন। এভাবে প্রতিনিয়ত টার্গেট নিবেন আর নিজের টার্গেটগুলো পূরণ করবেন।
- যদি বাথরুমে গোসল করার সময় হস্তমৈথুন করার অভ্যাস থাকে তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাথরুম থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করবেন। কেননা আপনি যদি বাথরুমে বেশি সময় ধরে থাকেন তাহলে আপনার পূর্বের অভ্যাস আপনার মধ্যে জায়গা দিবে এবং আপনাকে হস্তমৈথুনের জন্য উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে।
- সর্বদা নিজের মাইনকে মোটিভেট করে রাখবেন। সকল ধরনের খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকবেন সাথে খারাপ চিন্তা ভাবনাও করবেন না। আপনি যদি আপনার মাইনকে সেট না করতে পারেন তাহলে এই নেশা আপনি কখনোই ছাড়তে পারবেন না। কেননা প্রতিটা মানুষ তার চিন্তা ভাবনা অনুসারে কাজ করে থাকে। তাই নিজের মাইন্ড কে সঠিকভাবে সেট করে নিবেন এবং মোটিভেট রাখবেন।
- আপনার যদি রাতে হস্তমৈথুন করার কখনো তা বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই কারো সঙ্গে রুম শেয়ার করবেন। কেননা আপনি যদি একা একা থাকেন তাহলে আপনার মাইন্ড আপনাকে ওই কাজের উদ্দীপনা জাগাতে বেশি সাহায্য করবে। তাই যতটা সম্ভব অন্য কারো সঙ্গে রুম শেয়ার করে থাকবেন।
- নিজেকে ইবাদতের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখবেন। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত মসজিদে গিয়ে আদায় করার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার হস্তমৈথুন করার প্রবণতা একদমই কমে যাবে।
আপনি যদি আপনার মনকে শক্ত রেখে উপরে দেওয়া উপায়গুলো বা নির্দেশনা গুলো ফলো করে চলেন তাহলে অবশ্যই আপনি হস্তমৈথুন থেকে বের হতে পারবেন। হা এই নেশা কাটিয়ে ওঠা অনেক কঠিন, কিন্তু অসম্ভব কিছুই না। আশা করি আপনি এই নিয়মগুলো ফলো করলে এই মারাত্মক নেশা থেকে বের হতে পারবেন।
হস্ত মৈথুনের প্রাকৃতিক চিকিৎসা
আপনি যদি মাত্রা অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার ফলে আপনার শরীরকে একদম দুর্বল করে ফেলেন বা এমন ক্ষতি হয়ে গেছে যা সহ্য করতে পারতেছেন না। তাহলে আপনি কিছু প্রাকৃতিক ট্রিটমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন যেগুলো গ্রহন করার মাধ্যমে আপনি পুনরায় আপনার শক্তি ফিরে পেতে পারেন এবং পুনরায় আপনার স্বাস্থ্য ভালো হতে পারে।
আপনার জানা উচিত হস্তমৈথুন কোন রোগ বা অসুখ নয়। এটি একটি বয়স জনিত নেশা। আপনি যদি আপনার মন মাইন্ড কে ঠিক রেখে হস্তমৈথনের থেকে দূরে থাকেন তাহলে আপনার শরীর সর্বদা ভালো থাকবে। তাই যতটা সম্ভব হস্তমৈথুন থেকে সর্বদা দূরে থাকবেন।
আর আপনি যদি হস্তমৈথুন নেশায় অতিরিক্ত ভাবে আসক্ত হন তাহলে এর থেকে কিভাবে বের হবেন সে উপায় আপনারা ইতিমধ্যে উপরে জেনে গেছেন। মনকে শক্ত রেখে এইসব উপায় অবলম্বন করে এই মারাত্মক নেশা থেকে বের হতে পারবেন। খারাপ চিন্তা ভাবনা না করে ভালো চিন্তা ভাবনা করুন এবং নিজেকে সুস্থ রাখুন।
হস্তমৈথুন কোন রোগ নয়, যার ফলে এর প্রাকৃতিক কোন চিকিৎসাও নেই। তবে হ্যাঁ যদি আপনি অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে যান তাহলে কিছু গাছামো ওষুধ রয়েছে, যে ওষুধগুলো সেবন করে আপনি আপনার দুর্বল শরীরটাকে আবার পুনরায় পূর্বের অবস্থায় নিয়ে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনাকে হস্তমৈথুন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
হস্ত মৈথুনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার উপায়
আপনি যদি এই হস্তমৈথুনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে হস্তমৈথুন করা ছেড়ে দিতে হবে। হস্তমৈথুন কিভাবে চিরতরে ছেড়ে দিবেন বা এই নেশা থেকে কিভাবে বের হবেন সেই সম্পর্কে আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে উপরে জেনে গেছেন। এখন জানা দরকার হস্তমৈথুনের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার উপায় কি বা কিভাবে হস্তমৈথুন এর ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা যায়।
হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব যদি কাটিয়ে উড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি, সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, দুধ, কলা, বাদাম, খেজুর, কিসমিস, আঙ্গুর এসব পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এছাড়াও কালিজিরা খেতে হবে, কালিজিরা আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন ভর্তা করে, ভাত দিয়ে বা কালিজিরার তেল।
হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে ওঠার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার হল মধু। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই চামচ মধু এক চামচ কালিজিরার তেল অথবা এক চিমটি কালিজিরা যদি খেতে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণরূপে হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব ও ভাব দূর করা যায়। এছাড়াও আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে যেমন মাছ, ডিম, ডাল, মাংস, দুধ ইত্যাদি ইত্যাদি।
প্রতিদিন সকালে ১৫-২০মিনিট সূর্যের আলোতে থাকার চেষ্টা করবেন। সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি তৈরি হয়ে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়বে। এ ব্যাপারে ডা. জাহাংগির কবির স্যারের ভিডিওগুলো ফলো করতে পারেন।-রাতে ১১ টার ভেতর ঘুমাতে হবে। দেরি করা যাবে না। সকাল সকাল উঠতে হবে। পারলে দুপুরে একটু ঘুমুতে হবে।
জিংক এবং ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে বীর্যে শুক্রাণুর ঘনত্ব এবং গুনাগুণ বৃদ্ধির জন্য।-ভিটামিন এ,সি,ডি,ই, জিংক+ফলিক এসিড, জিনসেং, অশ্বগন্ধা, কড লিভার ওয়েল, পিংক সল্ট ইত্যাদি সাপ্লিমেন্ট হিসেবে নিতে পারেন। তবে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলে আপনার শরীরের অবস্থা বুঝে ডোজ ঠিক করবেন।
জিনসেং সাপ্লিমেন্ট আর রসুন লিঙ্গোত্থানজনিত সমস্যায় একদম টনিকের মত কাজ করে। প্রতিদিন খালি পেটে এক কোয়া কাঁচা রসুন খেতে পারেন। আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দু’আ করতে থাকুন। আল্লাহ্ বলেছেন, ‘আর তোমাদের যদি কোন দুঃখ দৈন্য স্পর্শ করে তখন তা দূর করার জন্য তাকেই তোমরা বিনীতভাবে ডাকতে শুরু কর’। (সূরা আন নাহলঃ আয়াত ৫৩)
এই হলো প্রাথমিক চিকিৎসা।.নরমালি পর্ন দেখার ফলে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ( লিঙ্গোত্থানে সমস্যা/PIED) হলে পর্ন মাস্টারবেশন ছেড়ে দিলে এবং একটু ভালোমতো খাওয়া দাওয়া করলে ৩-৬ মাস বা কারো কারো আরেকটু বেশি সময় লাগে। তবে আপনি এই নিয়মগুলো মেনে খাবারগুলো যদি নিয়মিত খান তাহলে আপনি ১০০% সুস্থ হয়ে যাবেন।
হস্তমৈথুহস্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাচার উপায়
আপনি যদি এই হস্তমৈথুনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে হস্তমৈথুন করা ছেড়ে দিতে হবে। হস্তমৈথুন কিভাবে চিরতরে ছেড়ে দিবেন বা এই নেশা থেকে কিভাবে বের হবেন সেই সম্পর্কে আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে উপরে জেনে গেছেন। এখন জানা দরকার হস্তমৈথুনের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার উপায় কি বা কিভাবে হস্তমৈথুন এর ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা যায়।
হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব যদি কাটিয়ে উড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি, সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, দুধ, কলা, বাদাম, খেজুর, কিসমিস, আঙ্গুর এসব পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এছাড়াও কালিজিরা খেতে হবে, কালিজিরা আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন ভর্তা করে, ভাত দিয়ে বা কালিজিরার তেল।
হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে ওঠার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার হল মধু। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই চামচ মধু এক চামচ কালিজিরার তেল অথবা এক চিমটি কালিজিরা যদি খেতে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণরূপে হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব ও ভাব দূর করা যায়। এছাড়াও আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে যেমন মাছ, ডিম, ডাল, মাংস, দুধ ইত্যাদি ইত্যাদি।
প্রতিদিন সকালে ১৫-২০মিনিট সূর্যের আলোতে থাকার চেষ্টা করবেন। সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি তৈরি হয়ে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়বে। এ ব্যাপারে ডা. জাহাংগির কবির স্যারের ভিডিওগুলো ফলো করতে পারেন।-রাতে ১১ টার ভেতর ঘুমাতে হবে। দেরি করা যাবে না। সকাল সকাল উঠতে হবে। পারলে দুপুরে একটু ঘুমুতে হবে।
জিংক এবং ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে বীর্যে শুক্রাণুর ঘনত্ব এবং গুনাগুণ বৃদ্ধির জন্য।-ভিটামিন এ,সি,ডি,ই, জিংক+ফলিক এসিড, জিনসেং, অশ্বগন্ধা, কড লিভার ওয়েল, পিংক সল্ট ইত্যাদি সাপ্লিমেন্ট হিসেবে নিতে পারেন। তবে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলে আপনার শরীরের অবস্থা বুঝে ডোজ ঠিক করবেন।
জিনসেং সাপ্লিমেন্ট আর রসুন লিঙ্গোত্থানজনিত সমস্যায় একদম টনিকের মত কাজ করে। প্রতিদিন খালি পেটে এক কোয়া কাঁচা রসুন খেতে পারেন। আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দু’আ করতে থাকুন। আল্লাহ্ বলেছেন, ‘আর তোমাদের যদি কোন দুঃখ দৈন্য স্পর্শ করে তখন তা দূর করার জন্য তাকেই তোমরা বিনীতভাবে ডাকতে শুরু কর’। (সূরা আন নাহলঃ আয়াত ৫৩)
এই হলো প্রাথমিক চিকিৎসা।.নরমালি পর্ন দেখার ফলে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ( লিঙ্গোত্থানে সমস্যা/PIED) হলে পর্ন মাস্টারবেশন ছেড়ে দিলে এবং একটু ভালোমতো খাওয়া দাওয়া করলে ৩-৬ মাস বা কারো কারো আরেকটু বেশি সময় লাগে। তবে আপনি এই নিয়মগুলো মেনে খাবারগুলো যদি নিয়মিত খান তাহলে আপনি ১০০% সুস্থ হয়ে যাবেন।
SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url