গরমকালে ত্বকের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং অতিরিক্ত গরমের কারণে ত্বকে নানা সমস্যা হয়। গরম কালে কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে আপনার ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন সে সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি। কোনরকম বাড়তি খরচ না করে ঘরোয়া উপায়েই ফর্সা হতে পারবেন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে গরমের সময় ত্বকে যত্ন নেয়া যায় এবং ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়, ত্বকের ব্রণ কিভাবে দূর করা যায়, ছেলেদের তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ কিভাবে দূর করা যায় এইসব বিষয়ে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন।
গরমে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া টিপস
গ্রীষ্মকালে প্রখর সূর্যের তাপের গরম, আমাদের ত্বক নিস্তেজ, শুষ্ক এবং ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তো গরম থেকে কিভাবে আপনি আপনার ত্বকের যত্ন নিবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন-
সানস্কিন ব্যবহার করেঃ গরমের সময় ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সানস্ক্রিন। এটি সূর্যের প্রখর তাপ থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এজন্য বাহিরে যাওয়ার আগে, এটি ভালো মতো ত্বকে লাগিয়ে নিন।
পানি পান করেঃ সূর্যের আলো আমাদের ত্বকরকে দ্রুত ডিহাইড্রেট করতে পারে। এজন্য প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এতে ত্বকের হাইড্রেট ঠিক থাকবে।
ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার খেয়েঃ ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। লেবু, আঙ্গুর, টমেটো, কমলালেবু ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি পাওয়া যায়। এইজন্য গ্রীষ্মকালে এগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
কম মেকআপ ব্যবহার করেঃ গরমের সময় কম পরিমাণে মেকআপ ব্যবহার করতে হবে। গ্রীষ্মকালে বাতাসের আদ্রতা এবং তাপ ত্বকের শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। সেজন্য মুখে কম পরিমাণে মেকআপ লাগানো উচিত, যাতে ত্বক শ্বাস নিতে পারে।
এক্সফোলিয়েট করুনঃ ঘাম এবং তাপ ত্বকের মৃত কোষ বৃদ্ধি করে। যা ত্বকের ছিদ্রগুলি বন্ধ করে দেয়। এজন্য সপ্তাহে একবার এক্সফোলিয়েট করা দরকার।
এলোভেরা ব্যবহার করুনঃ রোদে ত্বক পড়ে যায়, ত্বকের এই পোড়া দাগ দূর করার জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ত্বককে মসৃণ এবং চকচকে করে দিবে। দিনে অন্তত একবার ব্যবহার করুন।
মাক্স ব্যবহার করুনঃ তীব্র রোদে বাহিরে বের হওয়ার সময় মুখে মাক্স পরে বের হবেন। এটি আপনার ত্বককে সূর্যের তাপ থেকে অনেক রক্ষা করতে পারে।
টোনার ব্যবহার করেঃ ত্বক সুস্থ রাখতে টোনার উপকারী উপাদান। টোনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে। আর ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হওয়ার পরে ত্বকের অনেক সমস্যা কমে যায়। শসা অথবা এলোভেরা টোনার ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়
ত্বক সুন্দর হোক কে বা না চায়। ব্যস্ততার কারণে যত্নের অভাবে দিনে দিনে ত্বকের লাবণ্য হারিয়ে যায়। তবে আপনি চাইলে বাড়িতে অল্প সময়েই সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করে, ত্বকের লাবণ্য ফিরিয়ে আনতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়-
এলোভেরাঃ অ্যালোভেরার সঙ্গে বাদাম মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেই পেস্ট টি ভালো করে ১৫ থেকে ২৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন, তারপরে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেল ত্বক ফর্সা করে।
মধু-দইঃ পরিমাণ মতো দইয়ের সঙ্গে অল্প করে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর এই পেস্টটি মুখে ১৫ মিনিট এর মত লাগিয়ে রাখুন। তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মধু ত্বকের ভিতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা কে বৃদ্ধি করে দেয়।
টমেটোঃ টমেটোর মধ্যে লাইকোপেন নাম ক একটি উপকারী উপাদান পাওয়া যায়। যা ত্বকের মৃত কোষ সারিয়ে দেয় এবং ত্বকের সব ধরনের দাগ দূর করে দেয়। টমেটোর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে, এরপর এটি ৩০ মিনিটের মতো মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
ডাবের পানিঃ ত্বকে কে ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলতে ডাবের পানি খুবই উপকারী। দিনে দুবার করে যদি ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়া যায়, তাহলে ফর্সা হতে বেশি সময় লাগে না। শুধু মুখ নয়, পুরো শরীরের দাগ দূর করার জন্য ডাবের পানি অনেক উপযোগ।
দুধ-কলাঃ অল্প সময়ের মধ্যে ত্বক উজ্জ্বল করতে চাইলে কলা ব্যবহার করুন। তার সাথে যদি দুধ মিশানো হয় তাহলে তো আরো তাড়াতাড়ি ত্বক উজ্জ্বল হবে। একটা কলার সঙ্গে পরিমাণ মতো দুধ মিশিয়ে ব্লেন্ডারে দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর পেস্ট টি মুখে লাগিয়ে রাখুন, কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখার পরে খেয়ে ফেলুন।
লেবুর রস এবং চিনিঃ লেবু থেকে রস নিয়ে তারমধ্যে চিনি মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন যতক্ষণ না চিনি গলে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত। তারপরে শুকিয়ে নিয়ে, ধুয়ে ফেলুন।
সোডা এবং পানিঃ পরিমাপ মত সোডা নিয়ে তার মধ্যে একটু পানি মিশিয়ে নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর ২০ মিনিটের মত মুখে লাগিয়ে রাখুন, তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কমলার খোসাঃ কমলার খোসা রোদে রেখে শুকিয়ে নিন। তারপরে ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালোমতো পেস্ট তৈরি করে নিন এর সঙ্গে এক চামচ দই, এক চামচ গুড় মিশিয়ে নিন। এরপর ২০ থেকে ৩০ মিনিট এটি ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে রাখুন।
শসা এবং মধুঃ শসা ব্লেন্ডারে নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্ট তৈরি করা হয়ে গেলে, সে পেস্ট টি থেকে রস বের করে নিন। এবার এই রস এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এভাবে একসপ্তাহ করলেই আপনি আপনার মুখের উজ্জ্বলতা নিজেই বুঝতে পারবেন।
আলুঃ কাঁচা আলুর রস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আলো ছোট করে কেটে নিয়ে ব্লেন্ডারে দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্ট তৈরি করার পরে আলু থেকে রস বের করে নিন। তারপরে সে রস মুখে লাগিয়ে রাখুন।
রাতে ঘুমানোর আগে মুখের যত্ন
সারাদিনের কাজকর্মে মুখে ধুলাবালি জমাট বাঁধবে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আরে ধুলাবালি সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে ত্বকের ক্ষতি হবে এটাও স্বাভাবিক বিষয়। চলুন তাহলে জেনে নিন, রাতে ঘুমানোর আগে কিভাবে মুখের যত্ন নিতে হয়-
- দিনের বেলা করা মেকআপ, কখনো না তুলে রাতে ঘুমাতে যাবেন না। কারণ আপনি দিনের বেলায় যে অধিক পরিমাণে মেকআপ মুখে লাগিয়ে রাখেন, আপনি ঘুমায় গেলে সেই মেকআপ আপনার মুখের লোমকূপ ঘন্টার পর ঘন্টা বন্ধ করে রাখে। যা আপনার ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
- সারাদিন কাজকর্মের ফলে মুখে ধুলোবালি জমাট বেধে যায়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে, এতে করে ত্বক সতেজ থাকবে।
- ত্বকের PH এর মান যাতে কমে না যায় সে অনুযায়ী ক্রিম বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।
- রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বক ময়শ্চারাইজার করা বা ভালো কোন নাইট ক্রিম লাগিয়ে রাখতে হবে। এতে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকবে।
- চোখের নিচের কালি বা ডার্ক সার্কেল দূর করার জন্য ঘুমাতে যাওয়ার আগে আন্ডার আই ক্রিম লাগিয়ে রাখতে হবে। এর থেকে আপনি অনেক উপকার পাবেন।
- সপ্তাহে অন্তত দুই দিন মুখে মাস্ক লাগিয়ে ঘুমান। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ হালকা উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে মাক্সটি ব্যবহার করবেন আপনার ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী।
- আপনি যদি প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখের যত্নের তালিকায় ফেস ম্যাসেজ যুক্ত করেন, তাহলে আপনার অনেক উপকার হবে। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুই থেকে চার মিনিট ফেস ম্যাসেজ করুন।
মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায়
ত্বকে সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদনের জন্য ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়। সিবম হলো চর্বি দিয়ে তৈরি একটি তৈলাক্ত পদার্থ যার কাজ তত্ত্বের রক্ষা করা এবং চুলকে চকচকে করা। জেনেটিক কারণ, হরমোনের পরিবর্তন, মানসিক চাপে সিবামের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
মুখ ধোয়াঃ গরমের সময় আমরা অস্থির বোধ করি, এই জন্য দিনের বেলা বারবার মুখ ধুই। বারবার মুখ ধুইলে ত্বকে আরো বেশি সিবাম উৎপাদন হয়। দিনের অন্যতম দুইবার মুখ ধুইতে হবে। আর ক্ষারীয় সাবান এড়িয়ে চলতে হবে এবং মৃদু সাবান ব্যবহার করতে হবে।
টমেটোঃ ত্বকে অতিরিক্ত তেল এবং ত্বকের ছিদ্র গুলিতে ময়লা জমে বন্ধ হয়ে গেলে সেগুলো পরিষ্কার করার জন্য টমেটো ব্যবহার করতে হবে। টমেটোর সঙ্গে এক চামচ চিনি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এরপর এই পেজটি মুখে ভালোমতো ম্যাসাজ করে, পাঁচ মিনিট রাখতে হবে, তারপরে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
অ্যালোভেরাঃ এলোভেরা ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে। রাতে ঘুমানোর আগে এলোভেরা পেস্ট ভালোভাবে মুখের মধ্যে লাগিয়ে নিতে হবে, তারপর মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলবেন।
লেবু - ডিমঃ লেবু একটি সাইট্রাস ফল এজন্য এটি ত্বকের তেল শোষণ করতে সাহায্য করে। আর লেবুর এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতাও আছে। লেবুর রস এবং ডিমের সাদা অংশ দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার এই পেস্ট টি মুখে লাগিয়ে রাখুন যতক্ষণ না শুকায়, এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
জোজোবা তেলঃ জোজোবা তেল দিয়ে তৈরি মাক্স সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে ত্বকের হালকা ব্রণ গুলো কমে যায়। তবে এটি খুব বেশি ব্যবহার করেলে, তৈলাক্ত ত্বকে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
বাদামঃ বাদামের গুড়ো ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করে। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল চুষে নিতেও সাহায্য করে। বাদাম ব্লেন্ডারে দিয়ে গুঁড়ো করে নিয়ে বাদামের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন না শুকানো পর্যন্ত। তারপর শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টক দইঃ এক্সফোলিয়েশন হচ্ছে সৌন্দর্যের আদি রহস্য। টক দই ত্বকের জন্য খুবই উপকারী উপাদান। টক দই এর মধ্যে ল্যাট্রিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
গ্রিন টিঃ গ্রীন টি তে প্রচুর এন্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। পলিফেনল, সিবাম ত্বকের তেল উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে। তাই গ্রিন টি এর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন।
ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
সুন্দর ত্বক তো আমরা সবাই চাই। কিন্তু আমাদের এই ত্বকের মাঝে অবাঞ্চনীয় ব্রণ বের হয়ে ত্বক টাকে জঘন্য করে দেয়। এ ব্রনের দাগ সহজে যেতেই চায়না, ত্বক কে একদম নষ্ট করে দেয়। চলুন জেনে নেই কিভাবে এই ব্রণ দূর করা যায়-
অ্যালোভেরাঃ এক চামচ এলেভেনার সঙ্গে ৫-৬ টা তুলসী পাতা এবং নিম পাতা পেস্ট করে নিয়ে নিয়মিত খেলে ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
মধু ও দারচিনিঃ পরিমাণ মতো মধু এবং দারচিনি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার পেস্টটি মুখে যেখানে যেখানে ব্রণ বের হইছে তার ওপর লাগিয়ে সারারাত দিয়ে রাখুন।
নিম ও তুলসী পাতাঃ নিম পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল আর তুলসির মধ্য রয়েছে অ্যান্টিব্যাকোটেরিয়াল। এই দুটি একসঙ্গে পেস্ট করে নিয়ে, ভালো মতো আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে।
ডিমের সাদা অংশঃ ডিমের সাদা অংশ ব্লেন্ডার দিয়ে পেস্ট করে নিয়ে যেখানে যেখানে ব্রণ রয়েছে তার ওপর লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন এবং পরের দিন সকালে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ওটসঃ ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে ওটস অনেক উপকারী। মধুর সঙ্গে ওটস মিশিয়ে ব্যবহার করলে মুখের ব্রণ-ফুসরী সবকিছু দূর হয়ে যায়।
শসার রসঃ শসার রস ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে খুবই কার্যকারী। প্রতিদিন বাহিরে থেকে আসার পরে শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
কাঁচা হলুদ ও চন্দনকাঠের গ্রুড়োঃ হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো দুটোই ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য খুব কার্যকরী। দুটোই পরিমাণ মতো নিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন, তারপর যেখানে ব্রণে আক্রান্ত সেখানে ভালোভাবে লাগান।
আপেল এবং মধুরঃ আপেল এবং মধুর মিশ্রণ দিয়ে ব্রণ দূর করা হচ্ছে সবচেয়ে সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি। প্রথমে আপেলের পেস্ট তৈরি করে নিয়ে তারপরে তার মধ্যে মধু দিতে হবে। মধু দিয়ে ভালোমতো মিক্স করে নেওয়ার পরে পেস্ট টি যেখানে ব্রণে আক্রান্ত সেখানে ভালোভাবে লাগাতে হবে।
পুদিনা পাতাঃ অতিরিক্ত গরমের কারণে ত্বকে যেসব ব্রণ বা ফুসকুড়ি বের হওয়ায় সেগুলো দূর করতে পুদিনা পাতা অনেক কার্যকরী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিটের মতো, এরপরে ধুয়ে ফেলুন।
ছেলেদের তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
ব্রণ কেবল নারী নয় পুরুষের ক্ষেত্রেও একটি মারাত্মক সমস্যা। তৈলাক্ত ত্বক, ত্বকের অযত্ন বিভিন্ন কারনে ব্রণের সমস্যা হয়ে থাকে। ব্রণের অতিরিক্ত সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে এর আগে কিছু ঘরোয়া উপায়ে ব্রন দূর করা যায়, চলুন জেনে নিই সে সম্পর্কে-
বরফঃ বরফের ঠান্ডা ভাব ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। ত্বক ভালোমতো পরিষ্কার করে নিয়ে, এক টুকরো বরফ পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে যেখানে যেখানে ব্রণ তার ওপর কয়েক মিনিট করে ধরে রাখুন।
ডিমের সাদা অংশঃ ডিমের হয়েছে ভিটামিন, এমাইনো এসিড, প্রোটিন যা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। মুখ ভালো মত পরিষ্কার করে নিয়ে, ডিমের সাদা অংশ বের করে হাত দিয়ে ব্রণের উপর ভালো মতো লাগিয়ে নিন, লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পেঁপেঃ পেঁপে ব্রণ দূর করতে খুবই কার্যকরী উপাদান। এটি ত্বকের তেল দূর করে এবং মৃতকোষ দূর করতে পারে। পেপে ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো মতো পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপরে পেস্ট মুখের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন তারপর ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ দূর না হওয়া পর্যন্ত এভাবে লাগাতেই থাকুন।
চুলে সাবধানে তেল দিতে হবে যাতে মুখে না লাগে।
পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে এবং প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি খেতে হবে।
পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।
মূলত এভাবেই আপনি আপনার ত্বক সুন্দর এবং ঠিক রাখতে পারবেন। আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন কিভাবে ফর্সা হতে হয় প্রাকৃতিক উপায়। আরো জানতে পারবেন কিভাবে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করা যায়, মুখের ব্রণ দূর করা যায়, তৈলাক্ত ত্বকের কিভাবে যত্ন নিতে হয়।
SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url