চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির উপায় - কি খেলে চোখের দৃষ্টি বাড়ে
চোখ আমাদের শরীরের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। চোখ দ্বারা আমরা এই পৃথিবীর সকল আলোক বস্তু দেখতে পাই। অনেকেই চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির উপায় জানতে চায়। বর্তমান সময়ে কম বয়সেই আমাদের চোখ ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। মূলত এগুলো আমাদেরই কিছু ভুলের জন্য হয়। তো এই ভুলগুলো থেকে আমরা কিভাবে দূরে থাকতে পারি এবং চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির উপায় জানা দরকার।
চোখের জ্যোতি কেন কমে
বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ ইলেকট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে দিনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে দেয়। যেটি চোখের জ্যোতি কমার অন্যতম এক কারণ। বর্তমান সময়ে ছোট থেকে বড় সব বয়সী মানুষ মোবাইল ফোন ইউজ করি। এই মোবাইল ফোনে আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করি, আবার কেউ বিনোদনের জন্য ব্যবহার করি।
দীর্ঘক্ষণ সময় ধরে, মোবাইল ইউজ করা চোখের জন্য অনেক ক্ষতি কর। বিশেষ করে রাতে রুমের আলো নিভিয়ে চোখের কাছে মোবাইল রেখে ঘন্টার পর ঘন্টা সিনেমা দেখা বা ঘন্টার পর ঘন্টা মেসেঞ্জারে চ্যাট করা, চোখের জ্যোতি কমার এক অন্যতম কারণ। এটি আমাদের নিরবে ক্ষতি করে কিন্তু আমরা সেটা বুঝতেই পারিনা। এটা থেকে দূরে থাকতে হবে।
আমরা অনেকেই ধূমপান করি, সঙ্গে আরো নানা ধরনের মাদক দ্রব্য সেবন করি। ধুমপান যে কেবল হার্টের জন্য ক্ষতিকর তা নয়, এটি চোখের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর। সিগারেটের ধোয়া ক্যাটারাক্ট তো বটেই, বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশানকেও (রেটিনার অসুখ) বাড়িয়ে দেয় । চিকিৎসকরা দৃষ্টিশক্তি কম হওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে এই ধূমপানকেই চিহ্নিত করেন।
মানুষের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার আরো নানা ধরনের কারণ রয়েছে। ছানিপড়া, গ্লুকোমা, নানা ধরনের প্রদাহ, ডায়াবেটিস, বয়সজনিত- এমন নানা কারণে চোখের জ্যোতি কমে যায়। তবে চোখের জ্যোতি কমে যাওয়াটা কোনোভাবেই স্বাভাবিক ঘটনা নয়। চোখের সমস্যা নিয়ে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
আর আমাদের অল্প বয়সে মোবাইলে ভিডিও গেম খেলা, মনিটরকে কাছে থেকে দেখা, অন্ধকার রুমে মোবাইল দেখা, ধূমপান ও মাদকদ্রব্য গ্রহণ করা এসব কাজগুলো থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। এসব কিছু দিন দিন আমাদের চোখের জ্যোতি কমিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু তা আমরা বুঝতেই পারতেছি না। সুতরাং এসব কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন, এবং অন্যকে বলবেন।
আল্লাহ তা'আলা মানুষকে পরম যত্নে সৃষ্টি করেছেন। আর মানবদেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক সুস্থতা দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকা ও শ্রবণ শক্তির প্রখরতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ভাল রাখতে সতর্কতা থাকার পাশাপাশি আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। আমরা অনেকেই জানিনা চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির জন্য কোন দোয়া পাঠ করতে হয় বাকি আমল করতে হয়।
আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত, আমি আমার পিতাকে বললাম, হে আব্বাজান। আমি আপনাকে প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যায় তিনবার বলতে শুনি- হে আল্লাহ আমাকে সুস্থ রাখুন দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নাই। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ বাক্যগুলো দ্বারা দোয়া করতে শুনেছি, সেজন্য আমিও তার নিয়ম অনুসরণ করতে ভালোবাসি। (আবু দাউদ, হাদিস; ৫০৯০)
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির জন্য আমরা নিজের দোয়াটি পাঠ করতে পারি-বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি সাম-ই, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাসারি, লা-ইলাহা ইল্লা আনতা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নাই।
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন শাররি সাময়ি ওয়া শাররি বাসারি ওয়া সাররি লিসানি ওয়া সাররি ক্বালবি ওয়অ সাররি মানিয়্যি।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আমার কানের অপকারিতা, চোখের অপকারিতা, জবানের অপকারিতা, অন্তরের অপকারিতা এবং বীর্জের অপকারিতা থেকে আশ্রয় চাই। (মিশকাত, আবু দাউদ)
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির উপায়
আসলে চোখে দৃষ্টিশক্তি কখনো বাড়ানো সম্ভব না। যা আছে সেটা যাতে না কমে যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া যায়। চোখ মানবদেহের সবচেয়ে সংবেদনশীল অঙ্গ। এ চোখ দিয়ে আমরা পুরো পৃথিবী দেখি। এই চোখের যত্ন না নিলে অল্প বয়সে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে। চোখের মায়োপিয়া এমন এক রোগ বা চোখের বিকৃতি যে ক্ষেত্রে চোখের পিছনের রেটিনায় আলোর ঠিকভাবে সঠিক জায়গায় পড়ে না বলে লোকজন চশমা ব্যবহার করে থাকেন।
- চোখের পিছনের দিকটা যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হয়ে যায়, তখন রেটিনায় আলো ঠিক জায়গায় পড়ে না। যার কারনে চোখে কম দেখা বা চোখে ঘোলা দেখে মানুষ। এই অবস্থা ছোটবেলায় বা কিশোর বয়সে হয়ে থাকে।
- বাড়ন্ত বয়সে চোখের উপর বেশি প্রেসার দিলে যেমন চোখের খুব কাছে মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকা বা খোলা মাঠে বা বাইরের পরিবেশে চলাফেরা না করা, ঘরের ভিতর সারাক্ষণ পড়ে থাকা, বইপত্র সারাক্ষণ পড়া, চোখের বিশ্রাম না দেওয়া এসব কারণে ছোটবেলায় চোখের পিছনে বেড়ে যায়। এর ফলে মাইওপিয়া রোগ হয়। আর এর কারনে মাইনাস পাওয়ার এর চশমা পড়তে হয়, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।
- তাই চোখের এই মারাত্মক ক্ষতি যেন না হয় তাই এসব কাজ বেশি করা যাবে না। অনেকের পরিবারে কারো দৃষ্টিশক্তি খারাপ থাকলে বাচ্চাদেরও দৃষ্টিশক্তি কম হতে পারে। তাই এসব ক্ষেত্রে আগে থেকে সতর্ক থাকতে বাচ্চাকে বেশি বেশি আলোতে মুক্ত পরিবেশে রাখতে হবে। সব সময় মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না।
- যদি কারো এই মাইওপিয়া হয়েই যায় তবে ডাক্তারের দেয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী চশমা পড়তে হবে এবং চোখ যাতে আরো খারাপ না হয় সেই জন্য চোখে বেশি প্রেশার দেয়া যাবে না। দূরে তাকাতে হবে কিছুক্ষন পর পর। চোখে একবার দৃষ্টিশক্তি কমে গেলে শত গাজর, সবুজ শাক খেলেও চোখ ভালো হবে না কিন্তু চোখ যাতে আরো খারাপ না হয় সেজন্য ভিটামিন এ যুক্ত খাবার খেতে হবে বেশি।
কি খেলে চোখের দৃষ্টি বাড়ে
চোখ মানবদেহের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্বাভাবিক চলাফেরা, শিক্ষাগ্রহণ, খাদ্য গ্রহণসহ জীবন চলার সব স্তরে চোখের প্রয়োজনিয়তা অপরিসীম। তাই চোখের দৃষ্টিশক্তি সচল রাখা খুবই জরুরি। দৃষ্টিশক্তি সচল রাখতে, চোখের কার্যক্ষমতা বা উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য কিছু বিশেষ খাবার আছে।আসুন জেনে নেই কোন খাবারগুলো খেলে চোখের দৃষ্টি বাড়ে-
ডিমঃ চোখের জন্য ডিম অত্যন্ত উপকারী। ডিমে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন, খনিজ, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রোটিন, যা চোখের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিমের কুসুমে থাকা ভিটামিন এ, লুটেইন ও জিঙ্ক দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
মাছঃ মাছ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কার্যকর। এটি রেটিনা ভালো রাখতে সাহায্য করে। তা ছাড়া চোখ শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করে।
সবুজ শাক-সবজিঃ আমাদের জীবনের সবার সেরা বন্ধু হলো সবুজ শাক-সবজি। এতে আছে লুটেইন এবং জিয়াক্স্যানথিন এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা মাংসপেশির ক্ষয় রোধ করে। এরা চোখের মাংসপেশিকেও শক্তিশালী করে এবং রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
গাজরঃ ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাজর ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিনের দারুণ উৎস, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
বাদামঃ দৃষ্টিশক্তির মান বাড়াতে বাদাম ও বীজ অত্যন্ত উপকারী। বাদাম ও বীজে ভিটামিন, খনিজ, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোকেমিক্যাল থাকে, যা চোখের জন্য খুবই ভালো। পেস্তা, আমন্ড, আখরোট, চিয়া সিড, তিলের বীজ, চিনাবাদাম খাদ্যতালিকায় যুক্ত করুন।
ডালঃ ডাল প্রোটিনের দারুণ উৎস। ডালে থাকা বায়োফ্ল্যাভোনয়েডস ও জিঙ্ক দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। তাই খাদ্যতালিকায় ডাল রাখুন।
টমেটোঃ টমেটো তে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি। প্রতিদিন টমেটো খেলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয় এবং দৃষ্টিশক্তি হারায় না।
সাইট্রাস ফলঃ লেবু এবং কমলার মতো সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি-তে পূর্ণ। যা খুবই শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই ফল চোখের স্বাস্থ্য খুবই ভালো রাখে। এবং চোখের পেশির ক্ষয়রোধ করে। এছাড়া ভিটামিন সি আমদের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
সূর্যমুখী ফুলের বীজঃ এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং জিঙ্ক যা আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং রোগমুক্ত রাখতে সহায়ক। এসব বীজ থেকে পাওয়া তেলে আছে ক্যারোটিনয়েড যা ছানি পড়া রোধ করে।
পূর্ণ শস্যঃ পূর্ণ শস্যজাতীয় খাদ্যে গ্লিকেমিক ইনডেক্স কম থাকে। যা চোখের পেশির ক্ষয় এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করে। এই শস্য রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসও প্রতিরোধ করে যা দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসার প্রধান কারণ।
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির ব্যায়াম
আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়র অন্যতম ইন্দ্রিয় হল চোখ। অথচ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই চোখের উপযুক্ত যত্ন নিতে আমরা ভুলে যাই। চোখের নানা খুঁটিনাটি সমস্যাকে আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তেমন গুরুত্ব দিই না। বর্তমান যুগে বাড়তে থাকা দূষণ, কাজের পরিবর্তিত ধরন, পরিবেশগত পরিবর্তন, এ রকম নানা কারণে চোখের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।
অনেকটা সময় কম্পিউটার, টিভি বা মোবাইলফোন ব্যবহারের পর চোখের কিনারে হালকা চিনচিনে ব্যথা অনুভূত হওয়া, চোখ চুলকানোর ফলে চোখ ব্যথা হয়ে যাওয়া এবং নানা ধরণের চোখের ছোটোখাটো সমস্যা নিয়ে অনেকেই ভুগে থাকেন। কিন্তু এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া এবং দৃষ্টিশক্তির সুরক্ষা খুব সহজেই করা সম্ভব।
কোন কোন ব্যায়াম করে আপনি চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করতে পারেন-
- হাতের তালুর ব্যবহারঃ প্রায় ১০-১৫ মিনিট দু’হাতের তালু একটির সঙ্গে অপরটি ঘষে নিন। এতে হাতের তালুতে যে হালকা উষ্ণতা সৃষ্টি হবে তা নিয়ে হাত দুটো চোখ বন্ধ করে চোখের উপরে রাখুন। চোখের মনির অংশে জোরে চাপ দেবেন না। শুধু আলতো করে হাত রাখুন চোখের উপর। এ ভাবে দিনে ৩-৪ বার করবেন।
- ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলাঃ সাধারণত প্রতি ৩-৪ সেকেন্ড পরপর চোখের পাতা ফেলা চোখের ছোটোখাটো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। বিশেষ করে যখন আমরা একটানা কম্পিউটার বা টিভির দিকে তাকিয়ে থাকি তখন ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলা, চোখের জন্য ভাল। এছাড়াও টানা ১ মিনিট ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলা, একটি ব্যায়ামের মতো কাজ করে। এতে দৃষ্টিশক্তি ভাল থাকে।
- দূরের কোনও বস্তুর প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধন করাঃ প্রায় ৬ থেকে ১০ মিটার দুরের কোনও একটি নির্দিষ্ট বস্তুর দিকে এক দৃষ্টিতে মাথা বেশি না নরিয়ে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থাকার চেষ্টা করুন। এটিও চোখের একটি ভাল ব্যায়াম। এতে দৃষ্টিশক্তির প্রখরতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও নিজের হাত মুঠ করে বুড়ো আঙুল সোজা করে তুলে ধরে সামনের দিকে ছড়িয়ে আঙুলের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার ব্যায়ামটিও করতে পারেন।
- চোখ ঘোরানোঃ চোখের সামনে একটি বড় গোলাকৃতি কল্পনা করে নিন। এরপর এই আকৃতি অনুযায়ী চোখ ঘোরাতে থাকুন, ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে এবং ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ৪ বার করে। এরপর চোখ বন্ধ করে রাখুন ২ সেকেন্ড। বড় করে শ্বাস নিন। দিনে ২ বার করে এই ব্যায়াম করুন। এটি চোখের পেশি ভাল রাখতে সহায়তা করে।
আপনি যদি এই ব্যায়ামগুলো করেন তাহলে আপনি আপনার চোখকে অনেকটা সুস্থ রাখতে পারবেন।এগুলো কিভাবে করতে হয় সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে তা আপনি এপ্লাই করে দেখতে পারেন। আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়েন, তাহলে আপনি আপনার চোখকে সুস্থ রাখতে পারবেন। দৃষ্টি শক্তি সহজেই কমবে না।
SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url