মাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা - লাল মাশরুমের উপকারিতা
প্রকৃতি আমাদের গাছপালা আকারে আরেক ধরনের খাদ্য উপাদান দিয়েছে, মাশরুম তার মধ্যে একটি। মাশরুম হাই প্রোটিন যুক্ত একটি খাবার। আবার এটি হজম হয় তাড়াতাড়ি। বর্তমানে মাশরুমের চাষ ব্যাপকভাবে করা হয় এবং মাশরুমের অনেক ধরনের প্রজাতি রয়েছে।
মাশরুম চাষ পদ্ধতি
বাংলাদেশের সাধারণত চার জাতের খাবার উপযোগী মাশরুম চাষ করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে অয়েস্টার মাশরুম বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয়। মাসুম সারা বছর চাষ করা যায় তবে বর্ষাকাল এবং শীতকালে এটির বেশ ভাল ফলন পাওয়া যায়। ঝিনুক মাশরুম খুব সহজেই চাষ করা যায়।
অয়েস্টার মাশরুম যেভাবে চাষ করতে হয়- চাষের জন্য প্রথমে এক ইঞ্চি মাপের খড় কেটে জীবাণুম মুক্ত করার জন্য ফুটন্ত গরম পানিতে প্রায় ২০ মিনিট ফুটিয়ে নিন, অথবা ব্লিচিং পাউডার ও চুন মেশানো পরিষ্কার পানিতে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। ফুটানো পর পানি এমনভাবে ঝরিয়ে ফেলবেন যাতে হাত দিয়ে খড় চাপলে পানি না পড়ে, অথচ হাতে একটা ভেজা ভাব থাকবে। এরপর পলিব্যাগে মধ্যে ২ ইঞ্চি পুরো করে খড় বিছিয়ে তার ওপর ব্যাগের ধার ঘেসে বীজ ছড়িয়ে দিতে হবে।
বীজের ওপরে আবার খড় ও খড়ের ওপর আবার বীজ এইভাবে প্রায় ৭-৮টা স্তর তৈরি করে, পলিব্যাগের মুখ কয়েকটা প্যাঁচ দিয়ে শক্ত করে বন্ধ করে দিবেন। খড় বিছানোর সময় প্রতিবার হাত দিয়ে ভালো করে চেপে দিবেন যাতে খড়ের ভিতর হওয়া জমে না থাকে।
এরপরে প্যাকেটে ১০ থেকে ১২ টা ছোট ছোট ছিদ্র করে, তুলা দিয়ে ছিদ্রের মুখ বন্ধ করে দিলে স্বাভাবিক হাওয়া চলাচল বজায় থাকবে। আবার তুলা থাকায় ধুলো ঢুকতে পারবে না। প্যাকেটটি ৭ থেকে ১০ দিনের জন্য কোন অন্ধকার জায়গায় রেখে দিতে হবে।
খেয়াল রাখবেন অন্ধকার হলেও জায়গাটিতে যেন হাওয়া চলাচল করে। জায়গাটি যাতে পরিষ্কার ও পোকামাকড় মুক্ত থাকে সে খেয়ালও রাখতে হবে। মাছি মাশরুম চাষে ভয়ানক ক্ষতিকর, এজন্য মাছি যাতে প্রবেশ না করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
কয়েকদিনের মধ্যে সেই প্যাকেটে বীজের জায়গায় সাদা আস্তরণ দেখা যাবে, যাকে মাইসেলিয়াম বলে।অল্প কয়েকদিনের মধ্যে পুরো ব্যাগটাই মাইসেলিয়ামে ভরে গেলে তুলো সরিয়ে ফেলে, আরো কয়েকটি ছিদ্র করে ব্যাগটিকে কিছুটা আলোর মধ্যে রাখতে হবে।
তবে সরাসরি রোধে নয়, ঘরের ভিতর যেটুকু আলোতে বই পড়া যায়, তেমন আলোয় রাখতে হবে।বাতাসে আদ্রতা বুঝে প্রয়োজন মাফিক প্যাকেটের উপরে মাঝে মাঝে জল স্প্রে করতে হবে। এর কয়েকদিনের মধ্যেই ছিদ্র দিয়ে মাশরুমের উঁকি দেবে। সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে মাশরুম খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায়। একটি ব্যাগ থেকে কমপক্ষে তিনবার ফলন পাওয়া যায়।
মাশরুমের প্রকারভেদ
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন প্রকার মাশরুম চাষ করা হয়। এর মধ্যে কিছু মাশরুম রয়েছে খাবার উপযোগী আবার কিছু মাশরুম রয়েছে খাবার অনুপযোগী। যে মাশরুমগুলো খাবার উপযোগী সেগুলো সুস্বাদু খাবারের সঙ্গে ভালো ডেজার্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর যেগুলো খাবার উপযোগী নয় সেগুলো বিষ তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। নিচে মাশরুমের প্রকারভেদ গুলো উল্লেখ করা হলো-
পাফবলস - সচরাচর খাবার উপযোগী।
চান্টারেলেস - ভক্ষণযোগ্য।
কোরাল ফাঙ্গি - ভক্ষণযোগ্য।
পলিপোরেস - সুস্বাদু খাদ্যরূপে বিবেচিত।
কাপ ফাঙ্গি - সচরাচর খাবার উপযোগী।
টুথ ফাঙ্গি - বিষাক্ত না হলেও, খাবার উপযোগী না।
স্টিঙ্কহর্নস - খাবার উপযোগী হলেও গন্ধ তেমন চমকপ্রদ নয়।
জেলি ফাঙ্গি - সচরাচর খাবার উপযোগী হলেও খেতে তেমন সুস্বাদু নয়।
মাশরুম এর উপকারিতা
মাশরুম পছন্দ করে না এমন লোক কমই পাওয়া যায়। বিশ্বের নানা দেশে নানাভাবে মাশরুম খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। এক এক দেশে মেলে মাশরুমের একেক রকম প্রজাতি। মাশরুমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও ভিটামিন পাওয়া যায়। মাশরুম ভিটামিন বি, ডি, পটাশিয়াম, কপার, আয়রন এবং সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ। এছাড়া মাশরুমে কলিন নামক একটি বিশেষ পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা পেশীর স্বয়ংক্রিয়তা ও স্মৃতিশক্তি বজায় রাখতে খুবই কার্যকারী।
- মাশরুম এন্টি অক্সিডেন্ট এ ভরপুর। এর মধ্যে বিশেষ এরগোথিওনিন, যা বার্ধক্যের লক্ষণ কমাতে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে।
- মাশরুমের মধ্যে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। প্রোটিন ভিটামিন সি ভিটামিন বিটামিন ডি কপার পটাশিয়াম ফসফরাস সেলিনিয়াম ফাইটো কেমিক্যালস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত বিভিন্ন উপাদান মাশরুমে পাওয়া যায়। যার শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। মাশরুমে কোলিন নামক একটি উপাদান রয়েছে যা স্মৃতি শক্তির জন্য অনেক উপকারী।
- মাশরুমে উপস্থিত উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর কারনে সর্দি, কাশি, জ্বর এগুলো রোগ দ্রুত আমাদেরকে আক্রমণ করতে পারে না।
- এছাড়া মাশরুমে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এই ভিটামিন ডি হাড়ের মজবুতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত মাশরুম খেলে আমরা ভিটামিন ডি এর চাহিদার ২০ শতাংশ পাই।
- মাশরুমে খুব কম পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে ফলে ওজন এবং রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ে না।
- মাশরুমে কোলেস্টেরল খুব কম পরিমাণে থাকে। যার ফলে এটি খেলে দীর্ঘক্ষন ক্ষুদা লাগে না।
- মাশরুম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো একটি উপকরণ। এটি মানব দেহের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে। ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকায় মাশরুম যোগ করা উচিত।
- মাশরুমে পলিস্যাকারাইড থাকে যা প্রিবায়োটিক হিসাবে কাজ করে। মাশরুম পেটের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে এবং হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- শরীরের রক্তের অভাব হলে মাশরুম খাওয়া উপকারী। কারণ মাশরুমে ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রন ভালো পরিমানে পাওয়া যায় যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
- এছাড়াও মাশরুম চুল ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ত্বক সুস্থ ও সুন্দর রাখার জন্য মাশরুম খাওয়া যায়।মাশরুমের এন্টিব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বকে ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে।
- চিকিৎসকদের মতে মাশরুম খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।
মাশরুম এর অপকারিতা
মাশরুমে নানা পুষ্টিগুণ রয়েছে। তবে এর অপকারিতা কি আপনি তা জানেন। আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে প্রচলন আছে ব্যাংকের ছাতা নামক একটা কথা, আসলে এগুলো হচ্ছে বন্য মাশরুম। যেগুলো আপনার উপকারের বদলে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। অন্য মাশরুমে রয়েছে নানা ক্ষতিকারক উপাদান ও উচ্চ স্তরের ভারী ধাতব ও অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ।
মাশরুম কাঠের গুড়ি খড় বাস ইত্যাদির ওপর জন্মে তাদের খাওয়া যাবেনা, এগুলো ক্ষতি সাধন করে।
অপরিচিত বুনো মাশরুম খাওয়া ঠিক নয়, কারণ এগারিক্স এর কিছু প্রজাতি বেশ বিষাক্ত। বিষাক্ত মাশরুম খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলে মানুষ ও প্রাণীর মৃত্যু হতে পারে।
মাশরুম খাওয়ার নিয়ম
মাশরুম অনেকেই অনেক রকম পদ্ধতিতে খেয়ে থাকেন। আবার বাজারে মাশরুম পাউডার কিনতে পাওয়া যায়। মাশরুম পাউডার কিভাবে খেতে হয় অনেকে জানে না। আমরা জানবো মাশরুম কিভাবে খেতে হয়।
মাশরুম দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমনি সুস্বাদু। মাশরুমকে হালকা ফ্রাই করে বানানো কারী বা সুপ হিসেবে খাওয়া যায়। মাশরুমে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মাশরুম খেলে আমাদের শরীরে এই উপকরণগুলো বৃদ্ধি পাবে।
মাশরুমের চপঃ মাশরুম ৪০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, বাঁধাকপি ২০০ গ্রাম, ছোলার বেশন ৫০০ গ্রাম, গাজর ১০০গ্রাম, পিঁয়াজ ১০০ গ্রাম, কাঁচামরিচ ১৫ থেকে ১৭ টা, লবণ পরিমাণ মতো, সরিষার তেল ১০০ গ্রাম। এই উপকরণ গুলো দিয়ে আপনি মাশরুমের চপ বানিয়ে নিতে পারবেন।
প্রথমে আলু সিদ্ধ করে নিবেন। মাশরুম বাঁধাকপি, গাজর, লবণ, পিঁয়াজ, মরিচ দিয়ে একসাথে মিশিয়ে নিবেন। আলোর সাথে মিলিয়ে সবগুলো একসঙ্গে করে নিবেন। অন্য একটি পাত্রে বেসন গুলিয়ে নিবেন। তারপর চুলে করে দিয়ে তেল গরম করুন এরপরে ফ্রাই করে নিয়ে পরিবেশন করুন।
মাশরুমের আচারঃ মাশরুম টুকরো করে ১০ ১৫ মিনিট কুসুম গরম পানিতে ব্লানচিং করে নিবেন।কড়াইতে তেল গরম করে নিয়ে আদা, রসুন ও পিয়াজ বাটা মিশিয়ে নাড়ুন। তাতে মাশরুম গুলো দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপরে ভিনেগার, চিনি, শুকনা মসলা দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে জীবাণুমুক্ত করে সংরক্ষণ করুন।
মাশরুমের আচার তৈরি করতে যে উপকরণগুলো প্রয়োজন হয়, মাশরুম ৫০০ গ্রাম, আদা ৪০ গ্রাম, রসুন ২০ গ্রাম, সরিষার গুঁড়া ৪০ গ্রাম, মরিচের গুঁড়া ৪ গ্রাম, শুকনো মরিচ ১০ গ্রাম, পেঁয়াজ ২০০ গ্রাম, ভিনেগার এক কাপ, কাঁচা মরিচ ১২ থেকে ১৫ টি, সরিষার তেল ২০০ গ্রাম, চিনি ২০০ গ্রাম, লবণ পরিমাণ মতো। আপনার যদি মাশরুমের পরিমাণ বেশি হয় তাহলে আপনি উপকরণগুলো বাড়িয়ে নিতে পারেন।
মাশরুম চিকেন সুপঃ মুরগীর স্টক তৈরী করার জন্য ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি মুরগীর গিলা, কলিজা, মাথা ও পা বাদে ২-২.৫ লিটার পানি দিয়ে আদা ও লবণ দিয়ে সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ হয়ে গেলে হাড়গুলো ছাড়িয়ে মাংসগুলো পানির সাথে মিশিয়ে নিবেন। মাশরুম হাতে ছিড়ে ব্লানচিং করে নিবেন। প্যানে বাটার গরম করে মাশরুম ভেজে নিন। ভাজা মাশরুম গুলো এতে মিশিয়ে দিবেন। কর্ণ-ফ্লাওয়ার ঠান্ডা পানিতে গুলে দিয়ে দিন। ডিমের কুসুম আলাদা করে ফেটিয়ে নিবেন ও স্যুপের মধ্যে দিয়ে ভালো করে ঘুটে দিবেন। টেস্টিং সল্ট ও দুধ তাতে মিশিয়ে দিবেন, প্রয়োজনে সাধারণ লবণ দেওয়া যায়। নামিয়ে সস মিশিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
মাশরুমের চিকেন সুপ তৈরি করতে আপনার যে যে উপকরণ গুলো প্রয়োজন হবে, মাশরুম ২৫০ গ্রাম, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, মুরগির স্টক ৪ কাপ, টেস্টিং সল্ট ৫০ গ্রাম, ডিম ২ টা, দুধ ১ কাপ, বাটার ৫০ গ্রাম, আধা ৫০ গ্রাম, লবণ পরিমাণ মতো।
মাশরুমের কোপ্তাঃ রুমের কোপ্তা তৈরি করতে যে সকল উপকরণ প্রয়োজন হয়, মাশরুম ৫০০ গ্রাম, বেসন ৬ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১ চামচ, মরিচ গুঁড়ো ২ চামচ, লবণ পরিমাণ মত, সরিষার তেল ১ কাপ। আপনার যদি মাশরুমের পরিমাণ আরো বেশি হয় তাহলে আপনি উপকরণগুলো বাড়িয়ে নিতে পারেন।
মাশরুম পরিষ্কার করে ধুয়ে বেটে নিবেন। সবগুলো উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিবেন। প্রয়োজনের সামান্য পানি দিবেন। ছোট ছোট বল বানিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিবেন। গরম গরম পরিবেশন করবেন।
লাল মাশরুমের উপকারিতা
রোগমুক্ত স্বাস্থ্য যদি চান তাহলে নিয়মিত মাশরুম খান, অথবা মাশরুম পণ্য খান এবং ব্যবহার করুন।লাল মাশরুমে অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে, চলুন জেনে নেই লাল মাশরুমের উপকারিতা-
- ডায়াবেটিস কমিয়ে দেয়।
- কিডনি রোগ প্রতিরোধ করে।
- ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধ করে।
- হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
- হাড় ও দাঁতের গঠনে কার্যকারী।
- চর্মরোগ প্রতিরোধ করে।
- দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।
- খাদ্য হজম করতে সহায়তা করে।
- আমাশয় নিরাময় করে।
- মেদ ভুঁড়ি নিয়ন্ত্রণ করে।
- হাইপারটেনশন দূর করে।
- মেরুদন্ড হয় এবং ব্রেন সুস্থ থাকে।
- ভাইরাস জনিত রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
- যক্ষা রোগের রাতের ঘাম বন্ধ করতে এটি উপকারী।
- এছাড়াও গায়ের রং সুন্দর করার জন্য উপকারী।
- দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে এবং শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে।
- হেপাটাইসিস বি ও জন্ডিস প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
- এলার্জি ও চর্মরোগ দূর করে।
- রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় উন্নতি ঘটায় এবং প্রতিরোধক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে।
- টক্সিন মুক্ত করে দেহ কোষকে উজ্জিবিত করার মাধ্যমে এটি আভ্যন্তরিন অঙ্গসমুহকে সঠিক কারযকারিতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
সবশেষে বলা যায় যে মাশরুম অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। এর তেমন কোন অপকারিতা নেই।আপনি যদি এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে মাশরুমের উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন। এবং কোন ধরনের মাশরুম খাওয়া যায় সেগুলো সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url