এলার্জি জাতীয় খাবার কি কি - এলার্জি দূর করার উপায়
বর্তমান সময়ে এসে কম-বেশি সকলেই এলার্জির সমস্যায় ভুগছি। আমরা কি জানি এলার্জি কেন হয় বা কোন খাবার খেলে এলার্জি হয়। আমাদের মনে সচারচর এই প্রশ্নগুলো জাগে কিন্তু এর সঠিক উত্তর আমরা জানিনা। এছাড়াও আপনার মনে কি কখনো প্রশ্ন জেগেছে এলার্জি কত ধরনের হয়ে থাকে।
আজকের এই পোস্টে এলার্জি নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। এলার্জি কেন হয়, কিভাবে হয়, আবার কি খেলে এলার্জি হয় জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। এছাড়াও জানতে হবে এলার্জি দূর করার উপায় বা এনার্জি থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যায়। এনার্জি দূর করার উপায় গুলো কি কি এইসব বিষয় জানতে আজকের এ পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্র
এলার্জি কেন হয়
এলার্জি একটি জটিল এবং মারাত্মক রোগ। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সকল বয়সী মানুষ এ রোগে ভুগে থাকেন। এনার্জি থেকে হাঁচি, খাদ্য সমস্যা, ওষুধের প্রতিক্রিয়া, শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এসব কারণেই মূলত এলার্জি একটি মারাত্মক রোগ। কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জি সামান্য অসুবিধা সৃষ্টি করে। কিন্তু আবার কারো ক্ষেত্রে জীবন বিষিয়ে দেয়।
এনার্জি কেন হয় এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক "অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস" বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান হঠাৎ করে হাঁচি এবং পরে শ্বাসকষ্ট হলে অথবা ফুলের গন্ধ নিচ্ছেন বা গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ, গরুর দুধ, বেগুন খেলেই শুরু হলো গা চুলকানি বা চামড়ায় লাল লাল চাকা হয়ে ফুলে ওঠা তাহলে বুঝে নিবেন আপনার এলার্জি আছে নিশ্চিত।
এছাড়াও ডা. আতিকুর রহমান বলেন, বাতাসে যে ধুলাবালি, বালুকণা, বিভিন্ন ধোঁয়া, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া, কেমিক্যাল থাকে এগুলো ডাস্ট। এসব ডাস্ট যখন আমাদের নাসারন্ধ্রের বা চোখের সংস্পর্শে আসে তখন এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং কারো কারো তো এলার্জি হয়ে যায়।
শীতকালে, বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় বাতাস অনেক বেশি শুষ্ক থাকে, এ সময়টাতে বাতাসে ডাস্ট এর পরিমাণও বেড়ে যায়, ফুলের রেনু, বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এগুলো খালি চোখে দেখা না গেলেও এগুলো খুবই মারাত্মক। এগুলো একবার নাকের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করলে এনার্জি হবে নিশ্চিত।
এগুলো প্রথম অবস্থায় সামান্য পরিমাণ রিঅ্যাকশন করে, এরপর আবার যখন নাআ কিংবা চোখের সংস্পর্শে এই ডাস্ট গুলো আসে তখন এলার্জির রিঅ্যাকশন বেড়ে যায়। তাই এই সময়টাতে একটু সতর্ক থাকার চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনের মার্কস পরিধান করে থাকবেন, আর ধুলাবালি থেকে একটু দূরে থাকবেন।
এলার্জি কত ধরনের
অনেক ক্ষতিকর মারাত্মক একটি রোগ হচ্ছে এলার্জি। আমরা অনেকেই মনে করি সকল এলার্জি একই ধরনের হয়ে থাকে। আসলে কিন্তু এমনটি না, এলার্জির নানান ধরন রয়েছে। এই ভিন্ন ভিন্ন ধরনের এলার্জি আমাদের শরীরের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন রকম ভাবে আক্রান্ত করে।
এলার্জি কেন হয় এ সম্পর্কে তো আপনারা উপরে ইতিমধ্যে জেনে গেছেন। এখন জানতে হবে এলার্জি কত ধরনের হয়ে থাকে। এলার্জি মূলত অনেক ধরনের হয়ে থাকে তবে এই সকল এলার্জি কে প্রধান চার শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। প্রধান চার শ্রেণীর এলার্জি হল-
- ত্বকের সংস্পর্শে
- ইনজেকশন
- আহারে
- শ্বাস-প্রশ্বাসে
এই চার শ্রেণী মূলত এলার্জির প্রধান শ্রেণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই চার শ্রেণীর এলার্জির মধ্যে আবার বিভিন্ন ধরনের এলার্জি রয়েছে। যেমন ধরেন ত্বকের সংস্পর্শে এলার্জি আবার চার ধরনের। ত্বকের যে চার ধরনের এলার্জি রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে-
বিষাক্ত গাছ - পয়জন আইভি নামক এক ধরনের গাছ বর্তমান সময়ে খুব বেশি দেখা যায়। এই গাছের সংস্পর্শে আসলেই এলার্জির সমস্যা হয়। তবে সবার ক্ষেত্রে এরকমটা হয় না, যাদের শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম একটু দুর্বল শুধুমাত্র তাদের বেলায় গা চুলকানো ও জ্বালা করা সমস্যা বেশি হচ্ছে। যাদের পয়জন আইভি গাছে এলার্জি রয়েছে, তাদের ওক এবং সুমাক গাছের সংস্পর্শে আসলেও এলার্জি হতে পারে।
পোষ্য এলার্জি - বর্তমান সময়ে কম-বেশি সকলেরই পোষ্য কুকুর বা বিড়াল থাকে। এই পোষ্য কুকুর-বিড়ালের লোম থেকে আমাদের শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি হয়। এই ধারণাটি আসলে ভুল। আসল ব্যাপার হচ্ছে পোষা কুকুর বা বিড়ালের লোম এর মাধ্যমে আমাদের শরীরে এলার্জি সৃষ্টি হয়। কেননা এদের লোমে অধিক পরিমাণে ডাস্ট থাকে যা এলার্জি সৃষ্টি করতে কাজ করে।
ল্যাটেক্স এলার্জি - প্রাকৃতিক রাবার জাতীয় প্রোডাক্ট-কেই ল্যাটেক্স বলে। তিন ধরনের ল্যাটেক্স এলার্জি রয়েছে। যেমন - টাইপ-১ (IgE-mediated latex allergy), টাইপ-৪ (Cell-mediated contact dermatitis latex allergy), ইরিট্যান্ট কনটাক্ট ডার্মাটিটিস (Irritant contact dermatitis)। ল্যাটেক্স এর সংস্পর্শে গেলেই এই এলার্জিগুলো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
জুয়েলারি এলার্জি - কোন গহনা থেকে যে এলার্জি এইচ এস টি হয় তাকে জুয়েলারি এনার্জি বলে। শুনে অবাক হচ্ছেন তাই তো যে গহনা থেকে আবার এলার্জি কিভাবে হয়। গহনাতে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। গহনা থেকে হওয়া এলার্জিকে নিকেল এলার্জিও বলা হয়। সবার ক্ষেত্রে হয়তো গহনা থেকে এলার্জি হয় না। তবে গহনা থেকে এলার্জি হওয়া খুবই মারাত্মক।
এলার্জি জাতীয় খাবার কি কি
বর্তমান সময়ে এলার্জি খুবই কমন একটি সমস্যা। লক্ষ্য করলে দেখা যায় প্রায় প্রতিটি পরিবারে এলার্জিতে আক্রান্ত রোগী রয়েছে। কারো কারো দুধে এলার্জি, কারো বিশেষ কোনো সবজি ফলে, আবার কারো ধুলা বালিতে। পরিবারে হতে পারে এমন একজনার খাবারের এলার্জি রয়েছে আরেকজনের খাবারে এলার্জি নেই।
সেজন্য জানতে হবে সবচেয়ে বেশি এলার্জি জাতীয় খাবার কি কি বা কোন কোন খাবারগুলোতে এলার্জি বেশি হয়। এটা শুধু আমার আপনার না পৃথিবীতে সকলেরই ক্ষেত্রে এমনটা হয়ে থাকে। শুধু যে ডাস্ট এর কারনে এলার্জি হয় এমনটি না খাওয়া দেওয়ার জন্য এলার্জি দ্বিগুণ পরিমাণে বেড়ে যায়। তাই চলুন জেনে নিয়ে এলার্জি জাতীয় খাবার কি কি-
- ডিম : অধিকাংশ শিশুর ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ডিমে এলার্জি হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রোটিন থেকে মূলত এলার্জি টা সৃষ্টি হয়ে থাকে। তবে যদি এলার্জি থাকে তাহলে পুরোপুরি ভাবে ডিম এড়িয়ে চলাই উত্তম।
- দুধ : তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের মূলত গরুর দুধে এলার্জি হয়ে থাকে। গণনা অনুযায়ী অধিকাংশ শিশুর ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি দেখা দিয়েছে। তবে দুধে এলার্জি থাকা আর ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স হওয়া, কখনই এক নয়।
- মাছ : অনেকের ক্ষেত্রে এমনটা হয় কি, যেকোনো বিশেষ একটি মাছে তার এলার্জি থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সামুদ্রিক মাছ থেকে বেশি অ্যালার্জি সৃষ্টি হয়। স্যালমন, টুনা, ম্যাকরলে জাতীয় সামুদ্রিক মাছ খেলে এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
- গম : গমের আটা থেকে তৈরি পাউরুটি খেলে এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকের মধ্যে দেখা যায়। শিশুদের যদি গমে এলার্জি থাকে তাহলে অন্যান্য শস্যদানার ক্ষেত্রেও সে এলার্জি দেখা দিতে পারে।
- সয়া : সাধারণত শিশুদের ক্ষেত্রে সয়া থেকে এলার্জি বেশি হয়। সয়া বিনস, সয়া মিল্কে এলার্জি বেশি হয়।অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১০ বছর বয়সের পর থেকে, সয়া থেকে এলার্জি কম হয়।
- শেল ফিশ : এই এলার্জিটা সকলের ক্ষেত্রে খুবই কমন। চিংড়ি, কাঁকড়া, ওয়েস্টার, শামুক জাতীয় খাবার, যার শক্ত খোল রয়েছে তার থেকেই মূলত এই এলার্জি হয়। বিশ্বের প্রায় ৬০% মানুষের এই খাবারগুলো থেকে এলার্জি হয়ে থাকে।
- ফাল ফাইট : খাবারের রং নষ্ট হয়ে যাওয়া বা বাদামি রং ধরাতে অনেক খাবারে সালফাইট ব্যবহার করা হয়। এই সালফাইট থেকে অনেকের এলার্জি হয়।
- চিনা বাদাম : শিশুদের ক্ষেত্রে চিনা বাদাম থেকে এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়। এজন্য অনেক বড় বড় দেশে চিনাবাদাম নিষেধ করে দেওয়া হয়েছিল। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল ক্যাম্পাসগুলোতে ১৯৯৭-২০০৮ সাল পর্যন্ত চিনা বাদাম নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
- ফল ও সবজি : বেশ কিছুও ফল ও সবজি রয়েছে যেগুলো থেকে অনেকেরই এলার্জি হয়ে থাকে। যেমন- বেগুন, গাজর, টোম্যাটো, পিচ, কলা থেকে অনেকেই এলার্জির সমস্যায় ভুগেন।
- ট্রি নাটস : কাজু, পেস্তা, আমন্ড, আখরোট, ব্রাজিল নাটে অনেকেরই এলার্জি থাকে। তবে কোন এক ধরনের বাদামে এলার্জি রয়েছে এর মানে এই নয় যে সকল বাধা মেয়ে এলার্জি থাকবে।
- গরুর মাংস : আপনার শরীরে যদি তিল পরিমাণ এলার্জি থাকে, তাহলে সে এলার্জি টাকে তিল থেকে তাল পরিমাণ করতে গরুর মাংস বেশ কার্যকরী। মূলত সবার ক্ষেত্রেই এমনটা হয়ে থাকে। যারা মূলত একটু এনার্জির সমস্যায় ভোগেন তারা অবশ্যই গরুর মাংস কে বর্জন করবেন। গরুর মাংস এলার্জি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
এলার্জি ঔষধ এর নাম
এলার্জি ভালো করার জন্য বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে। তবে এলার্জির ওষুধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।এলার্জির ওষুধ খেলে ঘুম বেশি পায়, শরীরের কিছুটা ক্লান্ত অনুভূতি হয়। এলার্জি যদি কম পরিমাণ হয়ে থাকে তাহলে ওষুধ না খাওয়াই উত্তম আমি মনে করি। আর এলার্জি যদি জটিল পর্যায়ে চলে যায় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করবেন। এলার্জি ভালো করার ওষুধের নাম হচ্ছে -
- Loratadine 10mg(Loratadine/ Loratine/Pretin)
- Cetirizine 10 mg(Alatrol/Artizin/Cetizin)
- Fexofenadine 60mg, 120mg, 180mg( Fexo/ Fenadine)
- Rupatadine 10 mg (Rupa/Rupatrol/ Duvent)
- Chlorpheniramine 4mg( Histacin/Histal/ Histagen)
- Nasivion Allergy 120mg
এলার্জি দূর করার উপায়
অনেক সময় দেখা যায় যে এলার্জি মারাত্মক আকার ধারণ করে। তখন আমাদের শারীরিক অবস্থা একদম খুবই বিপর্যয় চলে যায়। এলার্জি কেন হয় এ বিষয়ে তো আপনারা ইতিমধ্যে উপরে জেনে গেছেন। এলার্জি মূলত বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এক এক ধরনের এলার্জি এক এক রকম ভাবে আমাদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
এলার্জি যখন মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে পড়ে তখন আমাদের শরীর একদম নিস্তেজ হয়ে যায়। আমরা অত্যন্ত ক্লান্ত বোধ করি। সেই সাথে আমাদের শ্বাসকষ্ট সমস্যা হয়ে যায়। তাই এনার্জি দূর করা প্রয়োজন। এলার্জি দূর করতে হলে প্রথমে এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। তাই আমরা আজকে জানাবো কিভাবে এলার্জি দূর করবেন-
- ত্বকের এলার্জি দূর করতে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। তবে এটি ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ত্বকের ph এর ভারসাম্য বজায় রেখে বেকিং সোডা ব্যবহার করবেন।
- এলার্জি দূর করার জন্য দুর্দান্ত একটি উপাদান টি-ট্রি অয়েল। এটি ত্বকের এলার্জি দূর করতে অত্যন্ত সহায়ক। এতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিআইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা অনেক ত্বককে এলার্জি থেকে মুক্তি দেয়।
- ত্বকের এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার সেরা আরো একটি উপাদান হলো অ্যালোভেরা জেল। এলার্জির কারণে যদি তোকে চুলকানি এবং শুকনো সমস্যা হয় তাহলে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুলকানি দূর করতে বেশ কার্যকারী, সাথে এলার্জিও দূর করে।
- ত্বকের এলার্জি দূর করতে আপেল সিডার ভিনেগার অত্যন্ত কার্যকারী একটি উপাদান। এতে রয়েছে অ্যাসিটিক এসিড যা ত্বকের চুলকানি এবং এলার্জির প্রভাব কমিয়ে দেয়। তবে সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এটি ব্যবহার না করাই উত্তম।
- নারকেলের তেল একটি বিশেষ উপাদান যা স্ক্রিন কেয়ার করার পাশাপাশি চুলকানি এবং এলার্জির দূর করতে বিশেষভাবে কাজ করে। তাই প্রতিদিন গোসলের পরে একটু করে নারকেলের তেল শরীরে মাখবেন।
- ঠান্ডা মেঝে তে খালি পায়ে হাটবেন না। কেননা ঠান্ডা মেঝেতে কালি পায়ে হাঁটলে মুহূর্তেই ঠান্ডা লেগে যায়। যার ফলে ডাস্ট এলার্জি হয়ে থাকে। এজন্য ঠান্ডা মেঝেতে খালি পায়ে হাঁটা যাবে না।
- পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার, বিশেষ করে ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার, যেমন- লেবু, কমলা, মাল্টা, স্ট্রবেরি, জাম্বুরা, কাঁচা মরিচ, পেয়ারা ইত্যাদি ফল ও তাজা শাকসবজি নিয়মিত খাবেন।
- যেসব খাবারে এলার্জি সৃষ্টি হয় সেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন।
- গৃহপালিত পশু পাখির বাসস্থান বাড়ির বাহিরে তৈরি করবেন এবং তাদের নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করবেন।
- বাড়ির যেসব জায়গায় বেশি সময় কাটান সেসব জায়গাগুলো সব সময় ডাস্ট মুক্ত রাখবেন। কেননা ডাস্ট থেকে অধিক পরিমাণ এলার্জি ছড়ায়।
- বিছানা গোছানো ও ঝাড়া-মোছা করার সময় মাক্স পরিধান করে, কাজ করবেন।
- গরমে যদি গা ঘেমে যায় তাহলে গা শুকিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন, কেননা ঘাম থেকে এলার্জি তৈরি হয়।
- ছত্রাক থেকে সুরক্ষার জন্য বাড়ির আশেপাশে পরিবেশ শুকনো রাখবেন। পাশাপাশি বাতাস চলাফেরার ভালো ব্যবস্থা রাখবেন। সেই সাথে ঘরের ভিতরে কাপড় শুকানো থেকে বিরত থাকবেন।
- ঋতু পরিবর্তনের সময় চলাফেরার সময় বিশেষভাবে খেয়াল রাখবেন। মুখে মাক্স পরিধান করে থাকবেন।
- বিভিন্ন প্রসাধনীতে থাকা কেমিক্যালে এলার্জি হতে পারে। এজন্য সাবান, শ্যাম্পু ব্যবহার করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে। কোনটা ত্বকের জন্য উপকারী আর কোনটা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url