দুধ বড় করার উপায় - ব্রেস্ট বড় করার ক্রিম - ব্রেস্ট বড় করার তেল
আমরা অনেকেই স্তন ছোট হওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকি। আবার আমরা অনেকে দুধ বড় করার উপায় খুঁজতে থাকি বা বেস্ট বড় করার ক্রিম অথবা বেস্ট বড় করা তেল খুজে থাকি। কিন্তু কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করা ছাড়া অর্গানিক বা প্রাকৃতিক ভাবে বড় করার উপায় আমরা কয়জনই বা জানি। তাই আমি আজকে আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে দুধ বড় করা যায় অর্থাৎ দুধ বড় করার উপায়।
দুধ বড় করার উপায়
দুধ বড় করার জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে। এগুলো দুধ বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। তবে দয়া করে মনে রাখবেন, কিছু খাবার বা অভ্যাস কাজ করতে সময় নিতে পারে এবং প্রতিটি মানুষের শরীর ভিন্ন। নিচে কিছু দুধ বড় করার প্রাকৃতিক উপায় দেওয়া হলো-
- প্রোটিন: দুধের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডাল, সয়াবিন, বাদাম ইত্যাদি খাবার খাওয়া যেতে পারে।
- ফল ও সবজি: বিশেষ করে পেঁপে, গাজর, বিট এবং পাতাবহুল সবজি দুধ উৎপাদনে সাহায্য করতে পারে।
- মেথি: মেথির বীজে ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে, যা স্তনের গ্রন্থিকে সক্রিয় করতে পারে।
- বুকের ব্যায়াম: বুকের পেশি শক্তিশালী করলে স্তনের আকারে পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। পুশ-আপ, প্রেস-আপ, চেস্ট ফ্লাই এগুলো করতে পারেন।
- ম্যাসাজ: স্তনে নিয়মিত হালকা ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং দুধের পরিমাণ বাড়তে পারে।
- শরীরে পানির পরিমাণ পর্যাপ্ত থাকলে স্তনের দুধ উৎপাদন ভালো হয়, তাই পর্যাপ্ত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ।
- সঠিক বিশ্রাম এবং মানসিক চাপমুক্ত জীবনযাপন হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং দুধের উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক।
- কিছু ভেষজ যেমন, শতমূলি, মেথি, সিসাবন ইত্যাদি দুধ উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। তবে এ বিষয়ে কোনো সাপ্লিমেন্ট নেয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
এগুলো প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে পরিচিত হলেও, যদি সমস্যাটি বেশি হয় বা দ্রুত ফল চান, তবে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে দেখাই ভালো। তবে এই উপায় গুলো অবলম্বন করে আপনি প্রাকৃতিকভাবে ফল পাবেন যা একদম অর্গানিকভাবে আপনার মধ্যে থেকে যাবে শেষ পর্যন্ত।
ব্রেস্ট বড় করার তেল
ব্রেস্ট বড় করার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের তেল পাওয়া যায়, তবে এগুলোর কার্যকারিতা প্রমাণিত নয়। কিছু প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করে নিয়মিত ম্যাসাজ করলে সামান্য ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। আপনাদের জন্য ব্রেস্ট বড় করার কয়েকটি তেলের নাম এবং তাদের ব্যবহার সম্পর্কে কিছু ধারণা দেওয়া হলো-
- ১. অলিভ অয়েল (জলপাই তেল): অলিভ অয়েলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের জন্য উপকারী। নিয়মিত অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করলে ত্বক মসৃণ এবং টানটান থাকতে পারে।
- ২. ফেনুগ্রিক অয়েল (মেথি তেল): মেথি তেলে ফাইটোইস্ট্রোজেন থাকে, যা স্তনের গ্রন্থিকে সক্রিয় করে। এর ফলে স্তনের আকার কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। সপ্তাহে ২-৩ বার মেথি তেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন।
- ৩. আলমন্ড অয়েল (বাদাম তেল): বাদাম তেল ত্বককে নরম এবং মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে স্তনের টানটান ভাব বৃদ্ধি পেতে পারে।
- ৪. নারকেল তেল: নারকেল তেলে ময়েশ্চারাইজিং গুণ থাকে এবং এটি ত্বকের ইলাস্টিসিটি বৃদ্ধি করতে সহায়ক। নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে স্তনের ত্বক সুস্থ ও মসৃণ থাকবে।
- ৫. এসেনশিয়াল অয়েল (যেমন ফেনেল অয়েল, ল্যাভেন্ডার অয়েল): ফেনেল এবং ল্যাভেন্ডার তেলে প্রাকৃতিক এস্ট্রোজেনিক উপাদান থাকে, যা স্তনের আকার বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। তবে এসেনশিয়াল তেলগুলো খুবই শক্তিশালী, তাই এগুলো ব্যবহার করার আগে একটি ক্যারিয়ার অয়েলের (যেমন নারকেল বা জলপাই তেল) সাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
তেলগুলো নিয়ম না মেনে ব্যবহার করলে উপকার হওয়ার থেকে ক্ষতি হতে পারে, তাই অবশ্যই ব্যবহার পদ্ধতি জানতে হবে। যে পদ্ধতিতে ব্যবহার করে ফল পাবেন তা হলো-
- ১. তেল হালকা গরম করুন।
- ২. তেলটি হাতে নিয়ে স্তনের ওপর হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন, বিশেষ করে বৃত্তাকার গতিতে।
- ৩. নিয়মিত দিনে ১০-১৫ মিনিট করে ম্যাসাজ করুন।
তবে এগুলো প্রাকৃতিক এবং সাময়িক উপায়। স্তনের আকার বৃদ্ধি করতে সঠিক ডায়েট, ব্যায়াম, এবং নিয়মিত স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সহায়ক হতে পারে। কোনো বিশেষ উপায় বেছে নেওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
ব্রেস্ট বড় করার ক্রিম
বাজারে অনেক ধরনের ব্রেস্ট এনহ্যান্সমেন্ট ক্রিম পাওয়া যায়, তবে এগুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ সীমিত। এই ধরনের ক্রিমের মধ্যে সাধারণত ফাইটোইস্ট্রোজেন, প্রাকৃতিক তেল এবং ভেষজ উপাদান থাকে, যা ত্বকে পুষ্টি যোগায় এবং সাময়িকভাবে স্তনের আকার কিছুটা বড় মনে হতে পারে। নিচে বেশ কিছু জনপ্রিয় উপাদানের বর্ণনা দেওয়া হলো-
- ১. ফাইটোইস্ট্রোজেন সমৃদ্ধ ক্রিম: ফাইটোইস্ট্রোজেন হলো প্রাকৃতিক উপাদান যা হরমোনের মতো কাজ করে। এই উপাদানগুলো স্তনের কোষকে সক্রিয় করতে সহায়ক হতে পারে, যা স্তনের আকার কিছুটা বাড়াতে সহায়ক বলে দাবি করা হয়। তবে এ ধরনের ক্রিমের ব্যবহার দীর্ঘমেয়াদে কতটা কার্যকর তা প্রমাণিত নয়।
- ২. ভিটামিন-সমৃদ্ধ ক্রিম: অনেক ব্রেস্ট ক্রিমে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন এ-এর মতো উপাদান থাকে, যা ত্বকের পুষ্টি জোগাতে এবং ইলাস্টিসিটি বাড়াতে সাহায্য করে। এগুলো স্তনকে টানটান রাখতে সহায়ক হতে পারে।
- ৩. ক্যাফেইন সমৃদ্ধ ক্রিম: ক্যাফেইন ত্বকের ওপর কাজ করে, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং স্তনের ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে।
- ৪. অ্যালো ভেরা এবং কোলাজেন সমৃদ্ধ ক্রিম: অ্যালো ভেরা এবং কোলাজেন ত্বককে মসৃণ এবং দৃঢ় রাখতে সাহায্য করে। এগুলো স্তনের ত্বক টানটান ও উজ্জ্বল রাখতে সহায়ক।
প্রতিটি উপাদানেরই ব্যবহার করার মাত্রা বা নিয়ম রয়েছে। এসব উপাদান গুলোরও ব্যবহার পদ্ধতি রয়েছে। তাই পদ্ধতি অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। নিচে ব্যবহার বিধি বর্ণনা করা হয়েছে-
- ১. স্তনের ত্বক পরিষ্কার করুন।
- ২. প্রয়োজনীয় পরিমাণ ক্রিম নিয়ে স্তনে মৃদু করে ম্যাসাজ করুন।
- ৩. প্রতিদিন বা নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবহার করুন।
কোনো ব্রেস্ট ক্রিম ব্যবহারের আগে তার উপাদান পরীক্ষা করুন এবং ত্বকের জন্য সুরক্ষিত কিনা নিশ্চিত করুন। যদি কোনো ধরনের চুলকানি, জ্বালা বা অস্বস্তি হয়, তবে ব্যবহার বন্ধ করুন এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
বিঃদ্রঃ স্তনের আকার বাড়ানোর জন্য কোনো বিশেষ পণ্য ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ব্রেস্ট সুন্দর করার উপায়
ব্রেস্টের ত্বক এবং আকারকে আকর্ষণীয় ও স্বাস্থ্যকর রাখতে কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় ও ব্যায়াম অনুসরণ করতে পারেন। সঠিক যত্ন এবং জীবনধারা মেনে চললে স্তনের ত্বক সুন্দর এবং টানটান রাখতে সহায়ক হতে পারে।
- সঠিক সাইজের ব্রা পরিধান: সঠিক সাইজের ব্রা পরিধান স্তনের আকার ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ভুল সাইজের ব্রা পরিধান করলে স্তনের ত্বক ঝুলে যেতে পারে।
- স্পোর্টস ব্রা: ব্যায়াম করার সময় স্পোর্টস ব্রা পরা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি স্তনের অতিরিক্ত নড়াচড়া কমিয়ে স্তনের আকার ধরে রাখে।
- ময়েশ্চারাইজার: প্রতিদিন ব্রেস্টের ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা উচিত। নারকেল তেল, অলিভ অয়েল বা বাদাম তেল ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল থাকে।
- এক্সফোলিয়েশন: সপ্তাহে একবার ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে পারেন। এটি মৃত কোষ দূর করে এবং নতুন কোষ তৈরিতে সহায়ক।
- পুশ-আপ: এটি বুকের পেশি শক্তিশালী করতে সহায়ক, যা স্তনের আকার ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- চেস্ট ফ্লাই: ডাম্বেল ব্যবহার করে চেস্ট ফ্লাই ব্যায়াম করা যেতে পারে। এটি চেস্টের পেশি মজবুত করে।
- দেয়ালের সাপোর্টে পুশ-আপ: দেয়ালে হালকা ভর দিয়ে পুশ-আপ করা চেস্টের পেশির জন্য ভালো।
- নিয়মিত ম্যাসাজ করলে স্তনে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। হালকা হাতে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করতে পারেন। নারকেল বা জলপাই তেল ম্যাসাজের জন্য ভালো।
- প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাদ্য খেলে শরীরের হরমোনগুলো ভারসাম্যপূর্ণ থাকে এবং স্তনের আকার ও ত্বক সুন্দর থাকে।
- ভিটামিন ই, সি, এবং বি সমৃদ্ধ খাবার খেলে ত্বক উজ্জ্বল থাকে।
- শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকা ত্বককে সজীব রাখে এবং স্তনের ত্বক সুস্থ ও টানটান রাখতে সহায়ক।
- সঠিক ঘুম এবং মানসিক চাপমুক্ত থাকলে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং স্তনের আকার ও ত্বক স্বাভাবিক থাকে।
যদি স্তনের আকৃতি বা ত্বক নিয়ে কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা অনুভব করেন, তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ঝুলে যাওয়া ব্রেস্ট টাইট করার ক্রিম
ঝুলে যাওয়া ব্রেস্ট টাইট করার জন্য কিছু ক্রিম বাজারে পাওয়া যায়, কিন্তু তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ সীমিত। বেশিরভাগ ক্রিমে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান এবং ভিটামিন থাকে, যা স্তনের ত্বককে মসৃণ, টানটান এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করতে পারে। কিছু জনপ্রিয় উপাদান ও তাদের সুবিধাগুলি নিচে উল্লেখ করা হলো-
- ১. কোলাজেন সমৃদ্ধ ক্রিম: কোলাজেন ত্বকের স্থিতিশীলতা এবং ইলাস্টিসিটি বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক টানটান ও মসৃণ হতে পারে।
- ২. হাইঅ্যালুরোনিক অ্যাসিড: এটি ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে, ফলে ত্বক কোমল এবং টানটান থাকে।
- ৩. ফাইটোইস্ট্রোজেন সমৃদ্ধ ক্রিম: ফাইটোইস্ট্রোজেন স্তনের কোষকে সক্রিয় করতে সাহায্য করে এবং কিছু সময়ের জন্য ব্রেস্টের আকার বৃদ্ধি করতে পারে।
- ৪. ভিটামিন ই এবং সি: ভিটামিন ই ত্বকের পুষ্টি জোগায় এবং ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, যা ত্বককে টানটান রাখতে সহায়ক।
- ৫. এলাস্টিন: এলাস্টিন ত্বককে নরম এবং নমনীয় রাখে। এটি নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- প্রথমে ত্বক পরিষ্কার করুন: ব্রেস্টের ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।
- হালকা গরম করুন: প্রয়োজনীয় পরিমাণ ক্রিম হালকা গরম করুন।
- ম্যাসাজ করুন: ক্রিমটি স্তনের ত্বকে প্রয়োগ করে হালকা হাতে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করুন। প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট ম্যাসাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
- নিয়মিত ব্যবহার: ক্রিমটি নিয়মিত ব্যবহার করা উচিত, যেহেতু ক্রিমের কার্যকারিতা ধীরে ধীরে দেখা যায়।
ক্রিম ব্যবহারের আগে তার উপাদানগুলো পরীক্ষা করুন এবং এলার্জি হলে ব্যবহার বন্ধ করুন। যদি কোনো ধরনের অস্বস্তি বা জ্বালা অনুভব করেন, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। যদিও এই ধরনের ক্রিম কিছু সময়ের জন্য কাজ করতে পারে, তবে সঠিক ডায়েট, ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ঝুলে যাওয়া ব্রেস্ট টাইট করতে সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
ঝুলে যাওয়া ব্রেস্ট টাইট করার ঘরোয়া উপায়
ঝুলে যাওয়া ব্রেস্ট টাইট করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা আপনি অনুসরণ করতে পারেন। এই উপায়গুলো প্রাকৃতিক এবং নিরাপদ, এবং নিয়মিত ব্যবহারে কিছু ফলাফল দেখা যেতে পারে। নিচে কিছু কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো-
- নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল: নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল দিয়ে স্তনের ত্বকে নিয়মিত ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক টানটান হয়।
- কিভাবে করবেন: হাতের তালুতে কিছু তেল নিয়ে স্তনের ওপর হালকা হাতে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করুন। দিনে একবার ১০-১৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: মুরগির মাংস, মাছ, ডাল, এবং ডিমের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। এটি স্তনের পেশির জন্য শক্তি জোগাবে।
- ফল ও সবজি: বিশেষ করে পেঁপে, গাজর, বিট, এবং সবুজ শাকসবজি খাওয়া ভালো।
- শরীরের পর্যাপ্ত পানি পান করা ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং স্তনের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে। দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
- পুশ-আপ এবং চেস্ট ফ্লাই: এই ধরনের ব্যায়াম বুকের পেশিকে শক্তিশালী করে এবং স্তনকে টানটান রাখতে সাহায্য করে।
- পুশ-আপ: হাতের সাহায্যে শরীরকে উপরে ঠেলে ধরে রাখা।
- চেস্ট ফ্লাই: ডাম্বেল নিয়ে বাহু দুটি সোজা করে খুলে ধরে ফেলা।
- বরফের টুকরা: বরফের টুকরা ব্যবহার করে স্তনের ত্বকে কয়েক মিনিটের জন্য মৃদু ম্যাসাজ করতে পারেন। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ত্বককে টানটান করতে সাহায্য করে।
- বুকের পেশির জন্য বিভিন্ন ব্যায়াম: ব্যায়াম করার সময় বুকের পেশি শক্তিশালী হয়, যা স্তনকে টানটান রাখে। সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- এলকোহল ও সিগারেট স্তনের ত্বকের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত করে। সঠিকভাবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে স্তন সুস্থ থাকে।
- ভিটামিন ই, সি, এবং কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। এগুলো ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সহায়ক।
- সঠিক সাইজের এবং সমর্থনশীল ব্রা পরিধান করা উচিত। এটি স্তনকে সঠিকভাবে ধরে রাখতে সাহায্য করে।
এটি মনে রাখতে হবে যে, যেকোনো পরিবর্তন বা পদ্ধতি গ্রহণের আগে আপনার শরীরের প্রতিক্রিয়া দেখা জরুরি। যদি কোনো সমস্যা থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url